বাংলাদেশ ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি লাইব্রেরিয়ান রফিকুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন: পথচারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে তরুণ ঐক্য ব্লাড ডোনার ও স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন রাবিতে প্রথমবারের মতো হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি রাজশাহী নগরীর কেদুরমোড় এলাকার মাদক কারবারী তোসলি গ্রেফতার গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত প্রধান আসামী মোক্তার গ্রেফতার। পিরোজপুর জেলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা প্রচণ্ড গরমের পর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী‌তে স্বস্তির বৃষ্টি। কালকিনিতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় আজ শুভ উদ্বোধন হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাঈল কর্তৃক বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে সিলেট মহানগর শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। মুলাদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার তালুকদারের উড়োজাহান প্রতিকের সমর্থনে গনসংযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হলেন কোরবান শেখ

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৬১ বার পড়া হয়েছে

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।
জনপ্রিয় সংবাদ

এপেক্স শো-রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।