বাংলাদেশ ০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক চকরিয়ায় নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সিডিয়ের জনসমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা 

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৬০ বার পড়া হয়েছে

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।
জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব!

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।