ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ লালপুরে কৃষি বীজ, চেক ও সেলাই মেশিন বিতরণ ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ সেমাই এবং অনুমোদনহীন ও নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা অভিনব কায়দায় ০২ টি প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ কুমিল্লায় র‌্যাব সদস্যের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো ছোট শিশু ইসরাতের র‌্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ০২ টি খাবার তৈরী প্রতিষ্ঠান এবং ০২ টি আয়রন রড, শীট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান’কে জরিমানা ভান্ডারিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে এসআইয়ের ওপর মাদক কারবারির হামলা পুর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে যশোরে দুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের কন্ট্রোলারের শ্রদ্ধা মুলাদীতে সিনিয়র আইনজীবি মজিবুর রহমান দুলালের মৃত্যুতে বিভিন্ন জনের শোক॥ মুলাদীতে সর্বজনীন কল্যানে ইসলামী ব্যাংকিং শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল॥ প্রথম আলো’র সম্পাদকের উপর মামলার ঘটনায় সিলেট জেলা বিএনপির নিন্দা জামালগঞ্জে ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার হিড়িক থানায় জিডি দায়ের

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা বিএনপিতে পাপলুর স্থগিত, দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।