বাংলাদেশ ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু  ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত  নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে বিএনপি নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু শাহজাহান ওমরের হলফনামায় মামলার কোন তথ্য নেই ঈশ্বরগঞ্জে যুব ফোরাম গঠিত সাংবাদিকদের নির্বাচনী সহিংসতার হুমকির আগাম বার্তা দিলেন বিএনপি নেতা জলিল মিয়াজী  নরসিংদীতে ৬০টি স্কুল কলেজ মাদ্রাাসার ডাইনামিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও হস্তান্তর পেকুয়ায় নিহত জিহাদের স্বরণে শোক সভা  বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেলেন নেত্রকোণার কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা (মরণোত্তর)  রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুলাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে অসময়ে বৃস্টিতে স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন বুড়িচংয়ে শ্রীমন্তপুর এম এ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পুলিশের কাজে বাঁধা দান ও হত্যার উদ্দ্যেশ্যে হামলা সংক্রান্ত নাশকতার মামলায় ০২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। ভান্ডারিয়ার মানুষের পাশে আছেন জননেতা মহিউদ্দিন মহারাজ: মশিউর রহমান মৃধা

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।

কেন্দুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 

সকালে বিকেলে রুটি ও ছোলা মুড়ি বেচেন রাতে চালান অটো

আপডেট সময় ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাইফুর নিশাদ নরসিংদী প্রতিনিধি 
বাজারে সকালে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন, বিকেলে বেচেন ছোলা মুড়ি। আর রাতে রাস্তায় রাস্তায় অটোতে যাত্রী টানেন। এই হচ্ছে একজন কর্মজীবি পরিশ্রমী মোখলেসের প্রোফাইল।
মনোহরদী উপজেলার নারান্দী গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোখলেস (৪৪)। আগে রিক্সায় যাত্রী টানতেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার। এখন মোটামুটি স্বচ্ছল দিন কাটছে তার। বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিবারাত্রি খাটতে হয় তাকে। তিনি জানান, কাক ডাকা ভোরে মনোহরদীর হাররদীয়া বাজারে বসে আটার রুটি বানিয়ে বেচেন। চলে ৯/১০ টা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মনোহরদী বাজারে বসেন ছোলামুড়ির পসরা নিয়ে।
চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।তারপর বাড়ী গিয়ে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পড়েন আবার অটো রিক্সা নিয়ে। অটোতে হাট ফেরত দোকানীদের বাড়ী পৌঁছে দেন রাতের যাত্রী হিসেবে। যাত্রীদের প্রায় সবাই হাট ফেরত দোকানী। চলে মধ্যরাত অবধি। এভাবে মুখে রক্ত তুলে খেটে চলেছেন তিনি বহু মাস ও বছর ধরে। দৈনিক আয় তার ১ হাজার টাকার মতো বলে জানালেন মোখলেস।আয় হিসেবে মাসিক হিসেবে বেশ ভালো একটি অংক। তার স্থলে মোটা অংকও বলা যেতে পারে। তবে গলার কাঁটার মতো ঋন আছে তার। ২ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন ঋন করে। সংসারে ৩ ছেলে তার।এক ছেলে করোনাকালীন দুর্যোগে ইরাক ফেরত।
এ বাবদ ১১ লাখ টাকা গেছে তাকে পাঠাতে ও ফেরত আনতে। আরেক ছেলে সৌদীতে চাকুরীর বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে ঝামেলার মুখোমুখি। লাখ টাকা গুনে দিয়ে তবেই সে সমস্যার সমাধান হলো তার। এ সব নিয়ে ঋনের বোঝা মাথায় তার। ফলে ৩ এনজিওর ঋনের বোঝা মাথায় তার। এ বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো কিস্তি দিতে হয় সপ্তাহান্তে। তিনি জানান,ঋনের কিস্তি শেষ হলে আর ভাবতে হবে না মোখলেসকে। তার দিবানিশির শ্রম ঘাম বৃথা যাবে না তখন আর। রীতিমতো আরাম আয়েসের স্বচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন ফিরবে তার সংসারে। এখন দিনরাতের খাটাখাটুনি বিফলে যাচ্ছে কেবল ঋনের বিরুদ্ধে লড়াই করে করে। ঋন পরবর্তী সেই সুদিনের আশায় এখন দিন গুনে চলেছেন এখন মোখলেস।