বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নলছিটিতে নিয়োগ বানিজ্য দুর্নীতি আড়াল করতেই রেজুলেশন খাতা ছিনতাই করার চেস্টা সাবেক প্রধান শিক্ষকের।
নলছিটির সুবিদপুর ইউনিয়নে ইলেন ভুট্টো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাইল হাতিয়ে নেবার সময় সহকারী শিক্ষকের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সভাপতি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ কে হাতেনাতে স্কুলের শিক্ষকরা ধরে এনে স্কুলের লাইব্রেরিতে বসিয়ে রাখে।
এরপর স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও সুধীজন বসে এর রহস্য জানতে চাইলে। সহকারী শিক্ষক মাওলানা রব হাওলাদার জানান আমি সাবেক সভাপতির কাছ থেকে ৩ জন কর্মচারীর উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশন আনতে যাই তিনি সিগচেরা করলেও সাবেক প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ রেজুলেশন খাতা আটকে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের কাছে খাতা চাইলে জোড় পূর্বক সাবেক প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মোল্লা রেজুলেশন খাতা নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যেতে পারেনি ততখনে অত্র স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীরা মিলে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা হয় রেজুলেশন খাতা উদ্ধারের উদ্দেশ্যে।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি স্কুল থেকে বিদায় নিলেও আমাকে কোন কিছু বুঝিয়ে দেননি। তিনি এর আগে নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে দেওয়া দিক নির্দেশনায়। উদ্ধার হয় রেজুলেশন খাতা পরবর্তী সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ও মুচলেকা দেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সুলতান আহমেদ। স্থানীয় গনমাধ্যম ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে এই মুচলেকা দিয়ে রেজুলেশন খাতা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২য় তলা বিশিষ্ট স্কুলের নিচতলার বেশির ভাগ রুমে গরু ও ছাগলের খোয়ারে পরিনত হয়েছে। লাইব্রেরিতে দেখা যায় ভাঙ্গা আলমিরা যাহা দেখে কোনভাবেই মনে হবে না এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রসঙ্গত ইলেন ভুট্টো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ৩০ আগস্ট তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। কিন্ত তার পিএফ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করতে যেসব ডকুমেন্টস দরকার সেগুলো দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধান শিক্ষক। যে কারনেই তিনি রেজুলেশন খাতা আটকে তার কাগজপত্র আদায় করতে চেয়েছিলেন বলে জানান।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি আমাকে সমস্ত চার্জ বুঝিয়ে না দিয়েই স্কুল ছেড়েছেন এবং তার কাছে শিক্ষকদের টিউশন ফি রয়েছে যেটা তিনি দেননি সেটা দিলে আমরা ডকুমেন্টস দিতাম।