বাংলাদেশ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো? গৌরীপুরের মিঠু হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রাহুল হত্যা মামলার আসামী ইমাম আবু জাফর রজ্জবকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বিপুল পরিমাণে ফেনসিডিলসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ভান্ডারিয়ায় সংবাদকর্মী বেলায়েত মুন্সীর ইন্তেকাল বোয়ালখালীতে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত সিংগাইরে বড় ভাইয়ের বসতভিটায় জোরপূর্বক বিল্ডিং করার অভিযোগ রায়পুরায় ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ নারী আটক বিসিএ শেফ অব দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতায় ৭৫ জন উদিয়মান শেফ এর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত শলী বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাহিদা অনুযায়ী নেই বিদ্যুৎ; তবু গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিল ধনবাড়ীতে উপ‌জেলা বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

যার প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং মাউশির বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তারা আজ মুখোমুখি অবস্থানেঃ কিন্তু কেন?!

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে কিছুটা মনোযোগ ও সময় দিতে হবে বৈকি !শিক্ষকদের কাজ ক্লাসে থাকা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা- এটা আমরা সবাই জানি!

অবশ্য শিক্ষকদেরও তো অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো সম্মান, মর্যাদা, পদোন্নতি, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা এগুলো প্রয়োজন রয়েছে ; তাই নয় কী? আর এই প্রয়োজনের তাগিদেই BCS ( Education: general education) composition and cadre rules 1980, BCS recruitment rules-1981, BCS examination and promotion rules 1986, মাউশির নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯১,(সংশোধিত- ২০১৮) মাউশির কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগবিধিমালা-২০২১ এ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এই আইনের ফলে শিক্ষকরা পদোন্নতি, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির ও নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেতেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দুইটি ব্রাঞ্চের মধ্যে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন কানুন সংশোধন না করে এবং বিভিন্নভাবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করে শিক্ষকদের পদোন্নতির যতটুকু সুযোগ ছিল তার সব টুকুই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাধ্যমিক শাখার বিষফোঁড়া হিসেবে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেগুলোকে নানা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রকল্প ও জনবলের মেয়াদ বারবার বৃদ্ধি করা হয়েছে; এমনকি তাদেরকে বাঁকা পথ দিয়ে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প গুলো নেওয়া হয় মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কিন্তু এখানে বরাবরই কলেজ থেকে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রকল্প পরিচালনায় সকল পদে ডেপুটেশনের মাধ্যমে দায়িত্ব দেয়া হয়। আবার মাঠ পর্যায়ের দপ্তর সমূহের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্ত ভাড়াটিয়া জনবল এবং কলেজ থেকে আগত মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পর্কে অবগত নন এমন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করার পরেও মাধ্যমিক শিক্ষার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন তো করেনি বরং তারা উল্টো এমপিওভুক্ত স্কুলগুলোর উপরে নতুন নতুন খবরদারি করে থাকেন। আর এই খবরদারি সুযোগও করে দিয়েছে আমাদের উপনিবেশিক শাসক খ্যাত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রাজনৈতিক সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পদায়ন পাওয়া কতিপয় সুবিধা ভোগী কর্মকর্তা!

এদিকে, বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে সরাসরি এবং পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় কর্মরতদের পদোন্নতি না দিয়ে এবং পদোন্নতির সুযোগ যতটুকু ছিল সেগুলোকে বন্ধ করে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম জনবল সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে! আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদ শূন্য থাকার কারণে প্রকল্পের ভাড়াটিয়া জনবল আজ তাদের লোলুপ দৃষ্টি ফেলেছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের চেয়ার গুলোর দিকে!

প্রশ্ন হচ্ছে: প্রকল্পে কারা কর্মরত? তা দেশের মানুষ সবাই কমবেশি জানে! এসব প্রকল্পে কর্মরত জনবল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িত তা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা সকলে দেখতে পাই। এই প্রকল্পের জনবল নিয়োগ পাবার সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ্য ছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সাথে সাথে তাদের চাকরি কাল অবসান হবে; এক্ষেত্রে আলাদা কোন চিঠি বা প্রজ্ঞাপনেরও প্রয়োজন হবে না কিন্তু তারা তদবির ও বাঁকা পথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এবং রাজনৈতিক সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে তাদের একটি অংশ রাজস্ব খাতে চলে আসেন! এই প্রকল্পের কর্মরত জনবলের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে মাউশিতে এমনকি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী এদেরকে নানাভাবে প্রমোট করে এসেছেন! এই প্রকল্পের জনবলকে নাকি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং তারা নাকি শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ-এমন বক্তব্য দিতে শুরু করেন! অথচ তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের বাস্তব চিত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। এই প্রকল্পের কর্মরত জনবল কে যদি শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার মতো গুরু দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুনুন্ঠিত হতে বাধ্য। প্রকল্প থেকে আসা জনবল অনেকটা গায়ের জোরে এবং নিজেদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের অপব্যবহার এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গত ১৭/০৯/২০২৪ শিক্ষা ভবনে প্রভাব বিস্তার করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি চলাকালে সরকারি মাধ্যমিকের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা হয় এবং এটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়!

এ অবস্থায় সরকারি মাধ্যমিক তথা বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাগণ পরদিন ১৮/০৯/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ ও দাবী সম্বলিত একটি ব্যানার বিদ্যালয়ের প্রথা প্রধান ফটোকে চালানোর মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন।

অন্যদিকে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির নামে ১৮/০৯/২০২৪ তারিখে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর বিদ্যালয়ে পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন যার নম্বর ৬৩৩৫ ডকেট করা হয়। এ আবেদনে শিক্ষক কর্মকর্তাদেরকে ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য এবং চোরাপথে নিয়োগ প্রাপ্ত বলে উল্লেখ্য করা হয়! এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবকদের নাম উল্লেখ করবো এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক সহ ফেসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করে তাদের বদলি দাবি করেন।

এ অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিকের বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষকগণ সারাদেশে চরমভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন এবং বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়!

সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত সাধারন শিক্ষকেরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদেয় এমন আবেদন ও তাদের ভাষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন এবং অনেক জেলায় বিসিএস থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকগণ সংক্ষিপ্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং বিদ্যালয়ের সমূহে মানববন্ধনের পাশাপাশি কর্মবিরতিও পালন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের ওপর কঠোর কর্মসূচি দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারকে সহযোগিতা করার ইতিবাচক চিন্তা কে মাথায় রেখে কঠোর কোন কর্মসূচি না দিয়ে বরং সারাদেশের শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঢাকায় একটি যৌথ সভায় মিলিত হন। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির এক জরুরি সভা ২০/০৯/২০২৪ তারিখে ঢাকার খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এ পরিস্থিতিতে করনীয় নির্ধারণ এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। দুপুর বেলায় হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির কর্মসূচি সম্বলিত একটি প্রচার পত্র মিটিংয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের নজরে আসে। ( কপি সংযুক্ত ) উক্ত প্রচার পত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতি যে কর্মসূচি দেয় তাতে সুস্পষ্টভাবে তিন থেকে চারটি পক্ষকে মাঠে নামিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ তাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/ কর্মচারীদের , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারীকরণ / জাতীয়করণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন!

এ বিষয়টি সত্যতা রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে , বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ/ সরকারিকরণ করার ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারেরা তাদের সহযোগিতা দেবেন। এই শর্তে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পক্ষ অবলম্বন করে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের বিপক্ষে তারা অবস্থান নিতে তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে প্ররোচিত করছেন! যেখানে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যে কোন শিক্ষকদের আন্দোলন বা কর্মসূচি ঘোষণা কে নিরুৎসাহিত করার কথা সেখানে উল্টো দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে জাতীয়করণের মতো একটি বড় ইস্যুকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে বিপুল সংখ্যক এমপি ভুক্ত শিক্ষককে পথে নামিয়ে একটি বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন! যা শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এই সেক্টরে কর্মরত সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষক কর্মকর্তাগণ মনে করেন।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস ) এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় খুলনা এর সহকারী শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুকের সাথে কথা বলে জানা যায়- কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৯১ অনুযায়ী বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার প্রশাসনিক পদগুলো নিচের দিক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করার সুস্পষ্ট আইন/বিধিমালা রয়েছে। বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ (কপি সংযুক্ত ) বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখার নিচের দিকের দুটি পদ বাদে উপরের সবগুলো পদ-ই বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডার ভুক্ত। নিচের দিকের নন ক্যাডার পদ থেকে উপরের দিকে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সহিত পরামর্শক্রমে পদোন্নতি বা নিয়োগ করার বিধান রয়েছে।

এছাড়াও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার বা সমমান এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বা সমমান পদগুলোর বিশ শতাংশ পদ পিএসসির কর্তৃক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পূরণ করার বিধান রয়েছে। নিচের দিকে নন ক্যাডার পদ থেকে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিমালায় সমগ্রেড জনিত জটিলতার কারণে সিনিয়র শিক্ষক (নন ক্যাডার ৯ম গ্রেড) থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক/ সমমান ৯ম গ্রেড ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদগুলো কার্যত ফাঁকা। আর এ কারণে প্রধান শিক্ষক/ জেলা শিক্ষা পদেও কাউকে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। কারণ নিচে দিকে সহকারী প্রধান বা সহকারী জেলা শিক্ষা পদে কেউ কর্মরত নেই। সেখানে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক/ জেলা শিক্ষা অফিসার পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে একটি অংশকে বিদ্যালয় পরিদর্শক করার কথা। কিন্তু বিদ্যালয় পরিদর্শক পদটি ষষ্ঠ গ্রেডের ক্যাডার পদ অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক পদটিও ষষ্ঠ গ্রেড ভুক্ত একটি ক্যাডার পদ। এখানেও সমগ্রেড জনিত জটিলতার কারণে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের সকল শিক্ষা অঞ্চলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শকের পদ ফাঁকা। বিদ্যালয় পরিদর্শক পদ ফাঁকা হবার কারণে উপপরিচালক পদটিতে কাউকে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদ্যালয় পরিদর্শক পদ থেকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি হয়। আর এই শূন্যতা সৃষ্টি হবার কারণে প্রকল্পের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে পদগুলোর উপরে। কিন্তু পদগুলো মূলত সরকারি মাধ্যমিক তথা বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার এবং এখানে কর্মরত সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধিমালা ও রিক্রুটমেন্ট রুলস রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ মূলত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট হিসেবে বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের কে জাতীয়করণ করিয়ে দেওয়ার টোপ দেখিয়ে মাঠে নামিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেবার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় একটি অস্থিরতা তৈরীর কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করছে! তারা এত বছর বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণের ব্যাপারে সহযোগিতা না দিয়ে এখন হঠাৎ করে নতুন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং জাতীয়করণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয়ে ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার চেইন অফ কমান্ড ভেঙে দেয়ার একটি গভীর চক্রান্ত শুরু করেছেন। যা ফ্যাসিস্ট আওমি সরকারের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী কর্তৃক নতুন সরকারকে বেকায়দা ফেলার আরেকটি নীল নকশার অংশ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে! এদিকে মন্ত্রণালয়ে এবং মাউশিতে চাপ প্রয়োগ করে এই শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়োগ বিধি বহির্ভূত ভাবে জোরপূর্বক শিক্ষা প্রশাসনের পদগুলোতে নিজেদের পদায়নের চেষ্টা করছে।

তাদের এই হীন প্রচেষ্টার ফলে সারা দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থানের মত একটি বাজে অবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে! অভিযোগ রয়েছে যে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা বাহারের মদদপুষ্ট এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পিএসের বন্ধু! শোনা যাচ্ছে ঐ পিএস বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অসহযোগিতা করতে এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বেসরকারি এমপিও ভুক্ত স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে তারা আগামী ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে এমপি ভুক্ত বেসরকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের কে মাঠে নামিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেবার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল ও গোয়েন্দা সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করা শিক্ষাবিদ এবং একাধিক শিক্ষক সংগঠনের নেতারা দাবি জানিয়েছেন।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

আপডেট সময় ০৯:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্ররোচনায় বেসরকারি শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে সরকারকে বিব্রত করা পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বাসনের নতুন কোনো অপচেষ্টা নয়তো?

যার প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং মাউশির বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তারা আজ মুখোমুখি অবস্থানেঃ কিন্তু কেন?!

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে কিছুটা মনোযোগ ও সময় দিতে হবে বৈকি !শিক্ষকদের কাজ ক্লাসে থাকা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা- এটা আমরা সবাই জানি!

অবশ্য শিক্ষকদেরও তো অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো সম্মান, মর্যাদা, পদোন্নতি, আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা এগুলো প্রয়োজন রয়েছে ; তাই নয় কী? আর এই প্রয়োজনের তাগিদেই BCS ( Education: general education) composition and cadre rules 1980, BCS recruitment rules-1981, BCS examination and promotion rules 1986, মাউশির নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯১,(সংশোধিত- ২০১৮) মাউশির কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগবিধিমালা-২০২১ এ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এই আইনের ফলে শিক্ষকরা পদোন্নতি, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির ও নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পেতেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের দুইটি ব্রাঞ্চের মধ্যে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন কানুন সংশোধন না করে এবং বিভিন্নভাবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করে শিক্ষকদের পদোন্নতির যতটুকু সুযোগ ছিল তার সব টুকুই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাধ্যমিক শাখার বিষফোঁড়া হিসেবে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেগুলোকে নানা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রকল্প ও জনবলের মেয়াদ বারবার বৃদ্ধি করা হয়েছে; এমনকি তাদেরকে বাঁকা পথ দিয়ে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প গুলো নেওয়া হয় মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কিন্তু এখানে বরাবরই কলেজ থেকে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রকল্প পরিচালনায় সকল পদে ডেপুটেশনের মাধ্যমে দায়িত্ব দেয়া হয়। আবার মাঠ পর্যায়ের দপ্তর সমূহের জন্য নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্ত ভাড়াটিয়া জনবল এবং কলেজ থেকে আগত মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পর্কে অবগত নন এমন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করার পরেও মাধ্যমিক শিক্ষার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন তো করেনি বরং তারা উল্টো এমপিওভুক্ত স্কুলগুলোর উপরে নতুন নতুন খবরদারি করে থাকেন। আর এই খবরদারি সুযোগও করে দিয়েছে আমাদের উপনিবেশিক শাসক খ্যাত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রাজনৈতিক সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পদায়ন পাওয়া কতিপয় সুবিধা ভোগী কর্মকর্তা!

এদিকে, বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে সরাসরি এবং পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় কর্মরতদের পদোন্নতি না দিয়ে এবং পদোন্নতির সুযোগ যতটুকু ছিল সেগুলোকে বন্ধ করে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম জনবল সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে! আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদ শূন্য থাকার কারণে প্রকল্পের ভাড়াটিয়া জনবল আজ তাদের লোলুপ দৃষ্টি ফেলেছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনের চেয়ার গুলোর দিকে!

প্রশ্ন হচ্ছে: প্রকল্পে কারা কর্মরত? তা দেশের মানুষ সবাই কমবেশি জানে! এসব প্রকল্পে কর্মরত জনবল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িত তা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা সকলে দেখতে পাই। এই প্রকল্পের জনবল নিয়োগ পাবার সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ্য ছিল প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সাথে সাথে তাদের চাকরি কাল অবসান হবে; এক্ষেত্রে আলাদা কোন চিঠি বা প্রজ্ঞাপনেরও প্রয়োজন হবে না কিন্তু তারা তদবির ও বাঁকা পথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এবং রাজনৈতিক সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে তাদের একটি অংশ রাজস্ব খাতে চলে আসেন! এই প্রকল্পের কর্মরত জনবলের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে মাউশিতে এমনকি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী এদেরকে নানাভাবে প্রমোট করে এসেছেন! এই প্রকল্পের জনবলকে নাকি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং তারা নাকি শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ-এমন বক্তব্য দিতে শুরু করেন! অথচ তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের বাস্তব চিত্র অত্যন্ত নিম্নমানের। এই প্রকল্পের কর্মরত জনবল কে যদি শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনার মতো গুরু দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ভুনুন্ঠিত হতে বাধ্য। প্রকল্প থেকে আসা জনবল অনেকটা গায়ের জোরে এবং নিজেদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের অপব্যবহার এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গত ১৭/০৯/২০২৪ শিক্ষা ভবনে প্রভাব বিস্তার করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি চলাকালে সরকারি মাধ্যমিকের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে তাদের বাক-বিতন্ডা হয় এবং এটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়!

এ অবস্থায় সরকারি মাধ্যমিক তথা বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাগণ পরদিন ১৮/০৯/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ ও দাবী সম্বলিত একটি ব্যানার বিদ্যালয়ের প্রথা প্রধান ফটোকে চালানোর মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছেন।

অন্যদিকে, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির নামে ১৮/০৯/২০২৪ তারিখে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর বিদ্যালয়ে পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন যার নম্বর ৬৩৩৫ ডকেট করা হয়। এ আবেদনে শিক্ষক কর্মকর্তাদেরকে ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য এবং চোরাপথে নিয়োগ প্রাপ্ত বলে উল্লেখ্য করা হয়! এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবকদের নাম উল্লেখ করবো এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক সহ ফেসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করে তাদের বদলি দাবি করেন।

এ অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিকের বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষকগণ সারাদেশে চরমভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন এবং বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়!

সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত সাধারন শিক্ষকেরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদেয় এমন আবেদন ও তাদের ভাষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন এবং অনেক জেলায় বিসিএস থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকগণ সংক্ষিপ্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা এবং বিদ্যালয়ের সমূহে মানববন্ধনের পাশাপাশি কর্মবিরতিও পালন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের ওপর কঠোর কর্মসূচি দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারকে সহযোগিতা করার ইতিবাচক চিন্তা কে মাথায় রেখে কঠোর কোন কর্মসূচি না দিয়ে বরং সারাদেশের শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ঢাকায় একটি যৌথ সভায় মিলিত হন। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির এক জরুরি সভা ২০/০৯/২০২৪ তারিখে ঢাকার খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এ পরিস্থিতিতে করনীয় নির্ধারণ এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। দুপুর বেলায় হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির কর্মসূচি সম্বলিত একটি প্রচার পত্র মিটিংয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের নজরে আসে। ( কপি সংযুক্ত ) উক্ত প্রচার পত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতি যে কর্মসূচি দেয় তাতে সুস্পষ্টভাবে তিন থেকে চারটি পক্ষকে মাঠে নামিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ তাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/ কর্মচারীদের , মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারীকরণ / জাতীয়করণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষায় একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন!

এ বিষয়টি সত্যতা রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে , বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ/ সরকারিকরণ করার ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারেরা তাদের সহযোগিতা দেবেন। এই শর্তে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পক্ষ অবলম্বন করে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের বিপক্ষে তারা অবস্থান নিতে তাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে প্ররোচিত করছেন! যেখানে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যে কোন শিক্ষকদের আন্দোলন বা কর্মসূচি ঘোষণা কে নিরুৎসাহিত করার কথা সেখানে উল্টো দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে জাতীয়করণের মতো একটি বড় ইস্যুকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে বিপুল সংখ্যক এমপি ভুক্ত শিক্ষককে পথে নামিয়ে একটি বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন! যা শুধু আচরণবিধি লঙ্ঘনই নয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মত শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এই সেক্টরে কর্মরত সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষক কর্মকর্তাগণ মনে করেন।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস ) এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় খুলনা এর সহকারী শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুকের সাথে কথা বলে জানা যায়- কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৯১ অনুযায়ী বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার প্রশাসনিক পদগুলো নিচের দিক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করার সুস্পষ্ট আইন/বিধিমালা রয়েছে। বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ (কপি সংযুক্ত ) বিদ্যালয় পরিদর্শন শাখার নিচের দিকের দুটি পদ বাদে উপরের সবগুলো পদ-ই বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডার ভুক্ত। নিচের দিকের নন ক্যাডার পদ থেকে উপরের দিকে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সহিত পরামর্শক্রমে পদোন্নতি বা নিয়োগ করার বিধান রয়েছে।

এছাড়াও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার বা সমমান এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বা সমমান পদগুলোর বিশ শতাংশ পদ পিএসসির কর্তৃক উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পূরণ করার বিধান রয়েছে। নিচের দিকে নন ক্যাডার পদ থেকে ক্যাডার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিমালায় সমগ্রেড জনিত জটিলতার কারণে সিনিয়র শিক্ষক (নন ক্যাডার ৯ম গ্রেড) থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক/ সমমান ৯ম গ্রেড ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছেনা। ফলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদগুলো কার্যত ফাঁকা। আর এ কারণে প্রধান শিক্ষক/ জেলা শিক্ষা পদেও কাউকে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। কারণ নিচে দিকে সহকারী প্রধান বা সহকারী জেলা শিক্ষা পদে কেউ কর্মরত নেই। সেখানে সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক/ জেলা শিক্ষা অফিসার পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে একটি অংশকে বিদ্যালয় পরিদর্শক করার কথা। কিন্তু বিদ্যালয় পরিদর্শক পদটি ষষ্ঠ গ্রেডের ক্যাডার পদ অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক পদটিও ষষ্ঠ গ্রেড ভুক্ত একটি ক্যাডার পদ। এখানেও সমগ্রেড জনিত জটিলতার কারণে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের সকল শিক্ষা অঞ্চলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শকের পদ ফাঁকা। বিদ্যালয় পরিদর্শক পদ ফাঁকা হবার কারণে উপপরিচালক পদটিতে কাউকে পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদ্যালয় পরিদর্শক পদ থেকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি হয়। আর এই শূন্যতা সৃষ্টি হবার কারণে প্রকল্পের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে পদগুলোর উপরে। কিন্তু পদগুলো মূলত সরকারি মাধ্যমিক তথা বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার এবং এখানে কর্মরত সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধিমালা ও রিক্রুটমেন্ট রুলস রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ মূলত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট হিসেবে বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের কে জাতীয়করণ করিয়ে দেওয়ার টোপ দেখিয়ে মাঠে নামিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেবার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় একটি অস্থিরতা তৈরীর কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করছে! তারা এত বছর বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণের ব্যাপারে সহযোগিতা না দিয়ে এখন হঠাৎ করে নতুন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং জাতীয়করণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয়ে ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মকর্তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার চেইন অফ কমান্ড ভেঙে দেয়ার একটি গভীর চক্রান্ত শুরু করেছেন। যা ফ্যাসিস্ট আওমি সরকারের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী কর্তৃক নতুন সরকারকে বেকায়দা ফেলার আরেকটি নীল নকশার অংশ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে! এদিকে মন্ত্রণালয়ে এবং মাউশিতে চাপ প্রয়োগ করে এই শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়োগ বিধি বহির্ভূত ভাবে জোরপূর্বক শিক্ষা প্রশাসনের পদগুলোতে নিজেদের পদায়নের চেষ্টা করছে।

তাদের এই হীন প্রচেষ্টার ফলে সারা দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থানের মত একটি বাজে অবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে! অভিযোগ রয়েছে যে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা বাহারের মদদপুষ্ট এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পিএসের বন্ধু! শোনা যাচ্ছে ঐ পিএস বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অসহযোগিতা করতে এবং বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বেসরকারি এমপিও ভুক্ত স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে মাঠে নামিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে তারা আগামী ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে এমপি ভুক্ত বেসরকারী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের কে মাঠে নামিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেবার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল ও গোয়েন্দা সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করা শিক্ষাবিদ এবং একাধিক শিক্ষক সংগঠনের নেতারা দাবি জানিয়েছেন।