মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞাসহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান থাকার পরও সিংগাইরে বড় ভাইয়ের বসতভিটায় জোরপূর্বক বিল্ডিং নির্মাণ করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার অপর ভাইদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইল উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের কামুড়া গ্রামের।
বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কামুড়া গ্রামের মৃত বছর উদ্দিনের বড় পুত্র মোঃ আব্দুর রহিম মোল্লার সাথে তার সহোদর ভাই-বোন ছামাদ মোল্লা, গনি মোল্লা, আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা ও হাবিয়া খাতুন এর সাথে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। প্রায় ২ মাস পূর্বে বড় ভাই রহিম মোল্লার দখলীয় ভূমিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করিতে আসলে তিনি বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মানিকগঞ্জ এ পিটিশন মামলা নং ১৬৮ (সিং)/২০২৪, ধারা: ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মোকদ্দমাটি আমলে নিয়ে তফসিল বর্ণিত ভূমিতে শান্তি শৃখলা বজায় রাখতে থানা কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করেন। সিংগাইর থানা কর্তৃপক্ষ রীতিমত শান্তি শৃখলা বজায় রাখতে নোটিশ জারী করেন।
কিন্তু আদালতের উক্ত আদেশ অমান্য করে বিগত ০৮/০৯/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় ছামাদ মোল্লা, গনি মোল্লা, আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা ও হাবিয়া খাতুন, ছামাদ মোল্লার স্ত্রী সোমা আক্তার, গনি মোল্লার স্ত্রী হ্যাপী আক্তার অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন আমার ভূমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া জোর পূর্বক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রভাব খাটাইয়া স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে রহিম মোল্লা তাদেরকে বাধা প্রদান করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করিতে উদ্যত হয়। রহিম মোল্লার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানোসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আঃ রহিম মোল্লা জানান, আমি ছোট ভাইদের ও তাদের পরিবারের অন্যান্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত, মানিকগঞ্জ এ দেওয়ানী ১০২/২০২৪নং মোকদ্দমায় আমার দখলীয় ভূমিতে বিবাদীগণ যাতে অবৈধভাবে জোর পূর্বক বিল্ডিং (পাকা স্থাপনা) নির্মাণ করতে না পারে তার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। তারপর থেকে তারা আরো মরিয়া হয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে উঠে পরে লেগেছে।
আমি বিজ্ঞ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার চাই। এখন বিজ্ঞ আদালতই আমার শেষ ভরসা। বিবাদীগণ কর্তৃক আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ সংশয়ের আশংকা রয়েছে।