বাংলাদেশ ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর মৃত্যু। সিলেটের উপজেলা নির্বাচনের হালচাল। নরসিংদীতে দুই উপজেলায় কাপ-পিরিচের জয় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেলো বেলাল উদ্দিন সোহেল শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব উদযাপন বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ প্রধান রাবিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত ক্যান্সারে আক্রান্ত রাবি শিক্ষার্থী হৃদয় বাঁচতে চায় জনতাকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন দাখিল করলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন শোভন তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না”ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর ও সোনিয়া নির্বাচিত বেকারীতে শিশু দিয়ে চালাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী পিরোজপুরের ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের এক সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে মিথ্যা মামলার অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলন

প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৬১০ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,

মেডিকেল কলেজের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা কোথায় যাবে? যেখানে ভবিষ্যতের জন্য ডাক্তার তৈরি হয় তারা কি শিখতেছে? মানুষের অসুস্থতার সময় শেষ ভরষা ডাক্তার সেখানে কি হচ্ছে?

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর পর লাশ আইসিইউতে নিয়ে বেঁচে আছে বলে আশ্বাস দিয়ে ৫২ হাজার টাকা বিল করার অভিযোগ স্বজনদের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রোগী মারা গেলেও স্বজনদের জানানো হয় বিকেল ৪ টায়।

এতে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হসপিটালে হট্টগোল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহতের নাম সালমা হোসেন (৪২)। তিনি ফতুল্লার ইজদাইর বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের বড় বোন হোসনে আরা ইসলাম জানান, পেট ব্যথার কারণে সালমাকে ২৭ মার্চ দুপুরে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এর সারা রাত সে ভাল ছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

 

ভোরে তাকে একটি ইনসেকশন দেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হয়। তখন তাড়াহুড়া করে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যায়। ভাল রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলা হয় রোগী কুমায় চলে গেছে। আইসিইউতে রাখলে ঠিক হয়ে যাবে। সকাল ৮ টার দিকে বোনের শরীরে হাত দিয়ে দেখি বরফের মত টান্ডা। সেহারা কালো হয়ে গেছে। আমার বোন মারা গেছে বলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় চিন্তার কোন কারণ নেই রোগী বেঁচে আছেন।

তিনি অভিযোগ তুলেন, ব্যবস্থাপত্রে যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে তিনি রোগীর চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসা করেছেন অন্য একজন। যিনি চিকিৎসা করেছেন তিনি ডাক্তার না।

নিহতের ভাই আতাউর রহমান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসি। তখনো আমাদের বলা হয়নি রোগী মারা গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বারে ফোন করলে পুলিশ আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে রোগী মারা গেছে।

রোগী সকালে মারা গেলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দিনবর আইসিইউতে রেখে ৫২ হাজার টাকা বিল করেছে। ব্যবসা করার জন্য তারা ভুল ইনজেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে আইসিইউতে নিয়েছে।

হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক একে.এম ফেরদৌস রহমানের তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছিল। সকালেও তিনি রোগী দেখে গেছেন। দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে ৫ নম্বর আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থা রোগীর মৃত্যু হয়। ডাক্তার ফেরদৌস রহমানের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি দেননি।

তিনি চলে যাওয়ার পর কে চিকিৎসা করেছে জানতে চাইলে তার নাম না বলে জানান, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে সামাধান হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি।

মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাতে চাইলে স্বজনরা রাজি হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগও করতে ইচ্ছুক নয়। মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই মর্মে নিহতের স্বামী ফারুক হোসেন লিখিত দিয়ে সাড়ে ৫ টার দিকে লাশ নিয়ে গেছেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে

আপডেট সময় ০২:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

 

 

 

 

খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,

মেডিকেল কলেজের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা কোথায় যাবে? যেখানে ভবিষ্যতের জন্য ডাক্তার তৈরি হয় তারা কি শিখতেছে? মানুষের অসুস্থতার সময় শেষ ভরষা ডাক্তার সেখানে কি হচ্ছে?

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর পর লাশ আইসিইউতে নিয়ে বেঁচে আছে বলে আশ্বাস দিয়ে ৫২ হাজার টাকা বিল করার অভিযোগ স্বজনদের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রোগী মারা গেলেও স্বজনদের জানানো হয় বিকেল ৪ টায়।

এতে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হসপিটালে হট্টগোল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহতের নাম সালমা হোসেন (৪২)। তিনি ফতুল্লার ইজদাইর বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের বড় বোন হোসনে আরা ইসলাম জানান, পেট ব্যথার কারণে সালমাকে ২৭ মার্চ দুপুরে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এর সারা রাত সে ভাল ছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

 

ভোরে তাকে একটি ইনসেকশন দেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হয়। তখন তাড়াহুড়া করে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যায়। ভাল রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলা হয় রোগী কুমায় চলে গেছে। আইসিইউতে রাখলে ঠিক হয়ে যাবে। সকাল ৮ টার দিকে বোনের শরীরে হাত দিয়ে দেখি বরফের মত টান্ডা। সেহারা কালো হয়ে গেছে। আমার বোন মারা গেছে বলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় চিন্তার কোন কারণ নেই রোগী বেঁচে আছেন।

তিনি অভিযোগ তুলেন, ব্যবস্থাপত্রে যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে তিনি রোগীর চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসা করেছেন অন্য একজন। যিনি চিকিৎসা করেছেন তিনি ডাক্তার না।

নিহতের ভাই আতাউর রহমান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসি। তখনো আমাদের বলা হয়নি রোগী মারা গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বারে ফোন করলে পুলিশ আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে রোগী মারা গেছে।

রোগী সকালে মারা গেলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দিনবর আইসিইউতে রেখে ৫২ হাজার টাকা বিল করেছে। ব্যবসা করার জন্য তারা ভুল ইনজেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে আইসিইউতে নিয়েছে।

হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক একে.এম ফেরদৌস রহমানের তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছিল। সকালেও তিনি রোগী দেখে গেছেন। দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে ৫ নম্বর আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থা রোগীর মৃত্যু হয়। ডাক্তার ফেরদৌস রহমানের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি দেননি।

তিনি চলে যাওয়ার পর কে চিকিৎসা করেছে জানতে চাইলে তার নাম না বলে জানান, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে সামাধান হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি।

মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাতে চাইলে স্বজনরা রাজি হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগও করতে ইচ্ছুক নয়। মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই মর্মে নিহতের স্বামী ফারুক হোসেন লিখিত দিয়ে সাড়ে ৫ টার দিকে লাশ নিয়ে গেছেন।