বাংলাদেশ ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,

মেডিকেল কলেজের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা কোথায় যাবে? যেখানে ভবিষ্যতের জন্য ডাক্তার তৈরি হয় তারা কি শিখতেছে? মানুষের অসুস্থতার সময় শেষ ভরষা ডাক্তার সেখানে কি হচ্ছে?

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর পর লাশ আইসিইউতে নিয়ে বেঁচে আছে বলে আশ্বাস দিয়ে ৫২ হাজার টাকা বিল করার অভিযোগ স্বজনদের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রোগী মারা গেলেও স্বজনদের জানানো হয় বিকেল ৪ টায়।

এতে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হসপিটালে হট্টগোল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহতের নাম সালমা হোসেন (৪২)। তিনি ফতুল্লার ইজদাইর বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের বড় বোন হোসনে আরা ইসলাম জানান, পেট ব্যথার কারণে সালমাকে ২৭ মার্চ দুপুরে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এর সারা রাত সে ভাল ছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

 

ভোরে তাকে একটি ইনসেকশন দেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হয়। তখন তাড়াহুড়া করে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যায়। ভাল রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলা হয় রোগী কুমায় চলে গেছে। আইসিইউতে রাখলে ঠিক হয়ে যাবে। সকাল ৮ টার দিকে বোনের শরীরে হাত দিয়ে দেখি বরফের মত টান্ডা। সেহারা কালো হয়ে গেছে। আমার বোন মারা গেছে বলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় চিন্তার কোন কারণ নেই রোগী বেঁচে আছেন।

তিনি অভিযোগ তুলেন, ব্যবস্থাপত্রে যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে তিনি রোগীর চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসা করেছেন অন্য একজন। যিনি চিকিৎসা করেছেন তিনি ডাক্তার না।

নিহতের ভাই আতাউর রহমান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসি। তখনো আমাদের বলা হয়নি রোগী মারা গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বারে ফোন করলে পুলিশ আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে রোগী মারা গেছে।

রোগী সকালে মারা গেলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দিনবর আইসিইউতে রেখে ৫২ হাজার টাকা বিল করেছে। ব্যবসা করার জন্য তারা ভুল ইনজেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে আইসিইউতে নিয়েছে।

হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক একে.এম ফেরদৌস রহমানের তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছিল। সকালেও তিনি রোগী দেখে গেছেন। দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে ৫ নম্বর আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থা রোগীর মৃত্যু হয়। ডাক্তার ফেরদৌস রহমানের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি দেননি।

তিনি চলে যাওয়ার পর কে চিকিৎসা করেছে জানতে চাইলে তার নাম না বলে জানান, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে সামাধান হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি।

মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাতে চাইলে স্বজনরা রাজি হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগও করতে ইচ্ছুক নয়। মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই মর্মে নিহতের স্বামী ফারুক হোসেন লিখিত দিয়ে সাড়ে ৫ টার দিকে লাশ নিয়ে গেছেন।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

প্রো- অ্যাকটিভ মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে বার বার ভুল চিকিৎসায় রোগী মেরে ফেলেও পারপাচ্ছে টাকার জোরে

আপডেট সময় ০২:২২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

 

 

 

 

খান মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি,

মেডিকেল কলেজের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা কোথায় যাবে? যেখানে ভবিষ্যতের জন্য ডাক্তার তৈরি হয় তারা কি শিখতেছে? মানুষের অসুস্থতার সময় শেষ ভরষা ডাক্তার সেখানে কি হচ্ছে?

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর পর লাশ আইসিইউতে নিয়ে বেঁচে আছে বলে আশ্বাস দিয়ে ৫২ হাজার টাকা বিল করার অভিযোগ স্বজনদের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রোগী মারা গেলেও স্বজনদের জানানো হয় বিকেল ৪ টায়।

এতে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হসপিটালে হট্টগোল করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহতের নাম সালমা হোসেন (৪২)। তিনি ফতুল্লার ইজদাইর বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের বড় বোন হোসনে আরা ইসলাম জানান, পেট ব্যথার কারণে সালমাকে ২৭ মার্চ দুপুরে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এর সারা রাত সে ভাল ছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

 

ভোরে তাকে একটি ইনসেকশন দেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হয়। তখন তাড়াহুড়া করে তাকে আইসিইউতে নিয়ে যায়। ভাল রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলা হয় রোগী কুমায় চলে গেছে। আইসিইউতে রাখলে ঠিক হয়ে যাবে। সকাল ৮ টার দিকে বোনের শরীরে হাত দিয়ে দেখি বরফের মত টান্ডা। সেহারা কালো হয়ে গেছে। আমার বোন মারা গেছে বলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় চিন্তার কোন কারণ নেই রোগী বেঁচে আছেন।

তিনি অভিযোগ তুলেন, ব্যবস্থাপত্রে যে ডাক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে তিনি রোগীর চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসা করেছেন অন্য একজন। যিনি চিকিৎসা করেছেন তিনি ডাক্তার না।

নিহতের ভাই আতাউর রহমান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হাসপাতালে আসি। তখনো আমাদের বলা হয়নি রোগী মারা গেছে। পরে ৯৯৯ নম্বারে ফোন করলে পুলিশ আসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে রোগী মারা গেছে।

রোগী সকালে মারা গেলেও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দিনবর আইসিইউতে রেখে ৫২ হাজার টাকা বিল করেছে। ব্যবসা করার জন্য তারা ভুল ইনজেকশন দিয়ে রোগীকে মেরে আইসিইউতে নিয়েছে।

হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক একে.এম ফেরদৌস রহমানের তত্ত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা চলছিল। সকালেও তিনি রোগী দেখে গেছেন। দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে ৫ নম্বর আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থা রোগীর মৃত্যু হয়। ডাক্তার ফেরদৌস রহমানের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি দেননি।

তিনি চলে যাওয়ার পর কে চিকিৎসা করেছে জানতে চাইলে তার নাম না বলে জানান, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে সামাধান হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি।

মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাতে চাইলে স্বজনরা রাজি হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগও করতে ইচ্ছুক নয়। মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই মর্মে নিহতের স্বামী ফারুক হোসেন লিখিত দিয়ে সাড়ে ৫ টার দিকে লাশ নিয়ে গেছেন।