ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে পরীক্ষা মূলক ভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ শুরু হয়েছে। এতে সমপরিমাণ জায়গায় দ্বিগুণ মাছ উৎপাদন হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদের সার্বিক পরিকল্পনায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিহারী গ্রামের ১ একর জায়গা নিয়ে মৎস্য চাষের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুগ্মসচিব মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার, ইউজিডিপি প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার মোঃ আজিজুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ, ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্, কিশোরগঞ্জ জেলায় সংযুক্ত মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি সাহা, ত্রিশাল উপজেলার ফ্যাসিলিটেটর শাহানা আক্তার প্রমূখ।
ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ত্রিশাল উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ উপজেলা থেকে যেপরিমাণের মাছ উৎপাদন হয়ে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে আমিষের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করছে। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে তথা ত্রিশালকে সারাদেশে অধিকভাবে পরিচিত করতে পরীক্ষামূলক ভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষের মাধ্যমে দ্বিগুণ উৎপাদন করা সম্ভব।
বর্তমানে সবকিছু ম্যানুয়ালি করা হলেও ভবিষ্যতে এটাকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করবো। এটা ফলপ্রসূ হলে সারাদেশের জন্য এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
যুগ্মসচিব মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে মৎস্য উৎপাদনে চতুর্থ। এর পেছনে ত্রিশালের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সেইজন্য আমি ত্রিশালবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটা জিনিস চিন্তা করা এবং তা বাস্তবে পরিণত করা সহজ নয়। আজকের এমন উদ্যোগের জন্য ইউএনও কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।