বাংলাদেশ ১১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ  হাইকোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ। দুই স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাবির জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে ঢাবির দুই দল ঝালকাঠীর দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতি-সড়ক অবকাঠামো দায়ী। সোনারগাঁয় শেষ হলো পনেরো দিনব্যাপী বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  নাগরপুরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।  স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০০০ রিকশাচালকের মাঝে শোভনের ক্যাপ বিতরণ রাঙ্গাবালী খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে নৌবাহিনী। পঞ্চগড়ে ট্রাফিক পুলিশের উদ্যেগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ক্লিন,গ্রীন ও স্মার্ট সি‌লেট গড়ার ল‌ক্ষ্যে সিসিক মেয়র এর সা‌থে আন্তর্জা‌তিক ব্যবসায়ীদের বৈঠক ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্ৰেডে (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড) উন্নীত করা হোক।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্ৰেডে (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড) উন্নীত করা হোক।

 

মোঃ ওমর ফারুক

আমাদের দেশে বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামোর দ্বিতীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো মাধ্যমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উচ্চ শিক্ষার পূর্ববর্তী এ স্তরটি “মাধ্যমিক শিক্ষা” নামে পরিচিত। আর বয়সসীমা অনুযায়ী (১২-১৯) মাধ্যমিক শিক্ষা হলো বয়ঃসন্ধিকালের এই মাধ্যমিক শিক্ষার সময়কাল। ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত হলো মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর। ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি তে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে মাধ্যমিকের জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তর করার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একই শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রেক্ষিতে বেশ আগেই মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য এখনও পর্যন্ত আলাদা ও স্বতন্ত্র কোনো অধিদপ্তর গড়ে ওঠেনি!

এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাস্তরটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে সুদীর্ঘকাল ধরে মুমূর্ষু অবস্থায় চলছে। ইতোপূর্বে সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটির সমগ্রেড বা তার নিচের গ্রেডের অন্যান্য দপ্তরের যে পদগুলো ছিল সেগুলোর প্রায় সব পদ বর্তমানে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত। অথচ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের আইকন এবং শিক্ষক সমাজের হৃদযন্ত্র হিসেবে বিবেচিত সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটি আজও ১০ ম গ্রেড ভুক্ত দ্বিতীয় শ্রেণির ই রয়ে গেছে! সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হলো এই পদটি কে নবম গ্রেডে উন্নীত (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড) করা হোক।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের এ দাবির স্বপক্ষে বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরা হলো:

শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিতকরণে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদটিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০২/০৫/১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১৪/০৫/১৯৭৫ তারিখেই দ্বিতীয় শ্রেণি ঘোষণা করেছিল। যে পদটি স্বাধীনতার পরপরই দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পেয়েছিল, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে এই পদের কর্মপরিধি, প্রবেশের যোগ্যতা বাড়লেও মর্যাদা বাড়েনি! অথচ আগে যেসব পদ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকের করেসপন্ডিং পোস্ট (পরস্পর বদলি যোগ্য পদ) ছিল, (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সৃষ্টির আগে) সেগুলো অনেক আগেই প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে! অথচ জাতির পিতার আদর্শ মানলে শিক্ষাগুরুর মর্যাদা নিশ্চিতে শিক্ষকদেরই সবার আগে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা উচিত ছিল।

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থানা শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৭৩ সালের পে-স্কেলে সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিচের ধাপে ছিল, এই পদটি পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের সমমানের হয় এবং ১৯৮৩ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের টপকিয়ে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।

আবার,

বর্তমানে ৯ম গ্রেডের অন্যান্য সরকারি চাকরির এন্ট্রি পদে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়, সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের ক্ষেত্রেও অনুরূপ যোগ্যতা চাওয়া হয়। উপরন্তু এই পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগের ৫ বছরের মধ্যে অতিরিক্ত প্রফেশনাল ডিগ্রি হিসেবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষককে ১০ গ্রেডে এনে সহকারী শিক্ষকদের তাদের পরের গ্রেডে আনার প্রক্রিয়াও বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। অথচ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত সহকারী শিক্ষকগণ গত ৫৩ বছর ধরে একই পদে (বেতন স্কেল ও মর্যাদায়) কর্মরত রয়েছেন!

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ২০০৮ সালে কয়েকটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক চালু হয় এবং পর্যায়ক্রমে অন্য স্কুলগুলোতেও চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অনেকটাই বেমানান!

এদিকে,

গত ১১/০২/২০১৮ তে শিক্ষকদের ৮ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে মোট শিক্ষকের ৫০% কে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যেটা আলোর মুখ দেখে ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে! অর্থাৎ উক্ত তারিখে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক (নবম গ্রেড, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা) হিসেবে ৫,৪৫২ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি মাধ্যমিকে সাকুল্যে শিক্ষক আছেন ১১ হাজারের কিছু বেশি। ৫০% অর্থাৎ ৫৫০০ হাজার চলে গেলে আর বাকি থাকে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি। যাদের মধ্যে ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে ২০০০ এর মত শিক্ষক নিয়োগবিধির শর্ত মেনে আট বছর পূর্ণ হওয়া এবং বি এড ডিগ্রি সম্পন্ন থাকা সত্বেও ৫০% কোটার কারণে (সকল প্রকার যোগ্যতা থাকার পরেও) পদোন্নতি বঞ্চিত রয়ে গেছেন!

অথচ এই শিক্ষকদের সবাইকে একযোগে নবম গ্রেডে উন্নীত করা তেমন বিরাট মহাযজ্ঞের কোনো কাজ ছিল না। কারণ এদের প্রত্যেকের নবম গ্রেডের সম পরিমাণ বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হয়ে থাকেন; শিক্ষকগণ শুধুমাত্র মর্যাদার বুবুক্ষ আর তাই তারা নবম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রি পদটি দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক কারণে দাবী করে আসছেন।

সরকার ইতোমধ্যে সরকারি প্রাথমিকের লাখ লাখ শিক্ষককে ১৪ থেকে ১১ গ্রেডে এবং লক্ষাধিক প্রধান শিক্ষককে ১২ থেকে ১০ গ্রেডে আনতে যে অর্থ ব্যয় হবে সে তুলনায় পাঁচ ছয় হাজার শিক্ষককে ১০ম থেকে ৯ম গ্রেডে নিতে যৎসামান্য খরচ হবে বললেই চলে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রম দরকার। শিক্ষকরা যদি নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে দেখেন তখন তারা হীনম্মন্যতায় না ভুগে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে।

সরকারি মাধ্যমিকের বেশিরভাগ শিক্ষক সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একটা বৃহৎ অংশ বিসিএস নন-ক্যাডার। এই শিক্ষকরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা দেশের সবচাইতে বড় দুটি পাবলিক পরীক্ষার (জেএসসি ও এসএসসি) প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষক ও প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সুতরাং সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্তরের দায়িত্ব পালনকারী।

তাছাড়া,

শিক্ষকদের শুধুমাত্র তাদের কাজের পরিধি বিবেচনায় নয় বরং এই পেশার মহত্ত্ব ও গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষকদের যথাযথ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই পদকে নবম গ্রেডে উন্নীত করা সময়ের অনিবার্য দাবি।

নবম গ্রেডের কর্মকর্তা না হওয়ার কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষকগণ বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হন। কেননা শিক্ষা প্রশাসনের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারাই এই সুবিধাগুলো ভোগ করেন। অথচ প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য দেশের কারিকুলাম সম্পর্কে অবগত হওয়া শিক্ষকদের জন্য খুবই জরুরী। অন্যদিকে, শিক্ষকের মর্যাদা বিষয়ক ইউনেস্কো ও আইএলও সনদ একটি আন্তর্জাতিক সনদ, যা শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে তৈরি করে। ১৯৬৬ সালের ৫ই অক্টোবরে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশেষ আন্তরাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সনদটি গৃহীত হয়।

এটি শিক্ষকের অধিকার, কর্তব্য ও মর্যাদা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় প্রণীত ও স্বীকৃত প্রথম ঐতিহাসিক সনদ। সনদটি শিক্ষার অগ্রগতি, মানবজাতির ক্রমোন্নতি এবং আধুনিক সমাজের বিকাশ সাধনে শিক্ষক সম্প্রদায়ের অপরিহার্য ভূমিকা ও অবদানের কথা জোরের সঙ্গে ঘোষণা করে এবং শিক্ষকরা যাতে এসব ভূমিকা পালনের জন্য উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। এখানে অন্য পেশাজীবীর তুলনায় শিক্ষকদের কাজকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে এবং অন্য পেশার তুলনায় পারিশ্রমিক ও মর্যাদা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিতের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে।

এই ধারাটি সম্পর্কে আরো স্পষ্টভাবে বলতে গেলে একটি জাতির সার্বিক অগ্রগতির জন্য একটি দায়িত্বশীল ও দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সামরিক পেশাজীবী শ্রেণি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। যা বাস্তবায়নে শিক্ষকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই সর্বাগ্রে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত জরুরি। সনদে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যেসব দেশে শিক্ষক সরকারি চাকরির বিধিমালায় চাকরিরত, তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। যদি শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চত না হয় তাহলে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সনদটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিল হিসেবে পরিগণিত। এই সনদের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা প্রতিটি দেশের সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করা হয়।

তাই,

উপরের আলোচিত আন্তর্জাতিক সনদ, দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং নতুন কারিকুলাম কে সফলতার দ্বারপ্রান্তে উন্নীত করতে সার্বিক বিবেচনায় সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করা হোক।

লেখক:

সহকারী শিক্ষক
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা

মূখপাত্র
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি।
ইমেইল: [email protected]

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট যশোর জেলা কমিটির পথচারীদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ 

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্ৰেডে (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড) উন্নীত করা হোক।

আপডেট সময় ০৩:০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

 

মোঃ ওমর ফারুক

আমাদের দেশে বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামোর দ্বিতীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো মাধ্যমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী এবং উচ্চ শিক্ষার পূর্ববর্তী এ স্তরটি “মাধ্যমিক শিক্ষা” নামে পরিচিত। আর বয়সসীমা অনুযায়ী (১২-১৯) মাধ্যমিক শিক্ষা হলো বয়ঃসন্ধিকালের এই মাধ্যমিক শিক্ষার সময়কাল। ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত হলো মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর। ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি তে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে মাধ্যমিকের জন্য একটি আলাদা অধিদপ্তর করার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একই শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তরের নির্দেশনা প্রেক্ষিতে বেশ আগেই মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য এখনও পর্যন্ত আলাদা ও স্বতন্ত্র কোনো অধিদপ্তর গড়ে ওঠেনি!

এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাস্তরটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে সুদীর্ঘকাল ধরে মুমূর্ষু অবস্থায় চলছে। ইতোপূর্বে সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটির সমগ্রেড বা তার নিচের গ্রেডের অন্যান্য দপ্তরের যে পদগুলো ছিল সেগুলোর প্রায় সব পদ বর্তমানে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত। অথচ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের আইকন এবং শিক্ষক সমাজের হৃদযন্ত্র হিসেবে বিবেচিত সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটি আজও ১০ ম গ্রেড ভুক্ত দ্বিতীয় শ্রেণির ই রয়ে গেছে! সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হলো এই পদটি কে নবম গ্রেডে উন্নীত (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড) করা হোক।

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের এ দাবির স্বপক্ষে বেশকিছু যুক্তি তুলে ধরা হলো:

শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিতকরণে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদটিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০২/০৫/১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন এবং তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ১৪/০৫/১৯৭৫ তারিখেই দ্বিতীয় শ্রেণি ঘোষণা করেছিল। যে পদটি স্বাধীনতার পরপরই দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পেয়েছিল, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে এই পদের কর্মপরিধি, প্রবেশের যোগ্যতা বাড়লেও মর্যাদা বাড়েনি! অথচ আগে যেসব পদ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকের করেসপন্ডিং পোস্ট (পরস্পর বদলি যোগ্য পদ) ছিল, (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সৃষ্টির আগে) সেগুলো অনেক আগেই প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে! অথচ জাতির পিতার আদর্শ মানলে শিক্ষাগুরুর মর্যাদা নিশ্চিতে শিক্ষকদেরই সবার আগে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা উচিত ছিল।

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থানা শিক্ষা অফিসার পদটি ১৯৭৩ সালের পে-স্কেলে সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিচের ধাপে ছিল, এই পদটি পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের সমমানের হয় এবং ১৯৮৩ সালে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের টপকিয়ে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়।

আবার,

বর্তমানে ৯ম গ্রেডের অন্যান্য সরকারি চাকরির এন্ট্রি পদে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়, সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের ক্ষেত্রেও অনুরূপ যোগ্যতা চাওয়া হয়। উপরন্তু এই পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগের ৫ বছরের মধ্যে অতিরিক্ত প্রফেশনাল ডিগ্রি হিসেবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষককে ১০ গ্রেডে এনে সহকারী শিক্ষকদের তাদের পরের গ্রেডে আনার প্রক্রিয়াও বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। অথচ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে কর্মরত সহকারী শিক্ষকগণ গত ৫৩ বছর ধরে একই পদে (বেতন স্কেল ও মর্যাদায়) কর্মরত রয়েছেন!

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ২০০৮ সালে কয়েকটি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক চালু হয় এবং পর্যায়ক্রমে অন্য স্কুলগুলোতেও চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অনেকটাই বেমানান!

এদিকে,

গত ১১/০২/২০১৮ তে শিক্ষকদের ৮ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে মোট শিক্ষকের ৫০% কে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যেটা আলোর মুখ দেখে ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে! অর্থাৎ উক্ত তারিখে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক (নবম গ্রেড, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা) হিসেবে ৫,৪৫২ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকারি মাধ্যমিকে সাকুল্যে শিক্ষক আছেন ১১ হাজারের কিছু বেশি। ৫০% অর্থাৎ ৫৫০০ হাজার চলে গেলে আর বাকি থাকে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি। যাদের মধ্যে ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে ২০০০ এর মত শিক্ষক নিয়োগবিধির শর্ত মেনে আট বছর পূর্ণ হওয়া এবং বি এড ডিগ্রি সম্পন্ন থাকা সত্বেও ৫০% কোটার কারণে (সকল প্রকার যোগ্যতা থাকার পরেও) পদোন্নতি বঞ্চিত রয়ে গেছেন!

অথচ এই শিক্ষকদের সবাইকে একযোগে নবম গ্রেডে উন্নীত করা তেমন বিরাট মহাযজ্ঞের কোনো কাজ ছিল না। কারণ এদের প্রত্যেকের নবম গ্রেডের সম পরিমাণ বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হয়ে থাকেন; শিক্ষকগণ শুধুমাত্র মর্যাদার বুবুক্ষ আর তাই তারা নবম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রি পদটি দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক কারণে দাবী করে আসছেন।

সরকার ইতোমধ্যে সরকারি প্রাথমিকের লাখ লাখ শিক্ষককে ১৪ থেকে ১১ গ্রেডে এবং লক্ষাধিক প্রধান শিক্ষককে ১২ থেকে ১০ গ্রেডে আনতে যে অর্থ ব্যয় হবে সে তুলনায় পাঁচ ছয় হাজার শিক্ষককে ১০ম থেকে ৯ম গ্রেডে নিতে যৎসামান্য খরচ হবে বললেই চলে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত কার্যক্রম দরকার। শিক্ষকরা যদি নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে দেখেন তখন তারা হীনম্মন্যতায় না ভুগে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে।

সরকারি মাধ্যমিকের বেশিরভাগ শিক্ষক সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে একটা বৃহৎ অংশ বিসিএস নন-ক্যাডার। এই শিক্ষকরা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা দেশের সবচাইতে বড় দুটি পাবলিক পরীক্ষার (জেএসসি ও এসএসসি) প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষক ও প্রত্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সুতরাং সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্তরের দায়িত্ব পালনকারী।

তাছাড়া,

শিক্ষকদের শুধুমাত্র তাদের কাজের পরিধি বিবেচনায় নয় বরং এই পেশার মহত্ত্ব ও গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষকদের যথাযথ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই পদকে নবম গ্রেডে উন্নীত করা সময়ের অনিবার্য দাবি।

নবম গ্রেডের কর্মকর্তা না হওয়ার কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষকগণ বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হন। কেননা শিক্ষা প্রশাসনের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারাই এই সুবিধাগুলো ভোগ করেন। অথচ প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য দেশের কারিকুলাম সম্পর্কে অবগত হওয়া শিক্ষকদের জন্য খুবই জরুরী। অন্যদিকে, শিক্ষকের মর্যাদা বিষয়ক ইউনেস্কো ও আইএলও সনদ একটি আন্তর্জাতিক সনদ, যা শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে তৈরি করে। ১৯৬৬ সালের ৫ই অক্টোবরে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশেষ আন্তরাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সনদটি গৃহীত হয়।

এটি শিক্ষকের অধিকার, কর্তব্য ও মর্যাদা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় প্রণীত ও স্বীকৃত প্রথম ঐতিহাসিক সনদ। সনদটি শিক্ষার অগ্রগতি, মানবজাতির ক্রমোন্নতি এবং আধুনিক সমাজের বিকাশ সাধনে শিক্ষক সম্প্রদায়ের অপরিহার্য ভূমিকা ও অবদানের কথা জোরের সঙ্গে ঘোষণা করে এবং শিক্ষকরা যাতে এসব ভূমিকা পালনের জন্য উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা ভোগ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। এখানে অন্য পেশাজীবীর তুলনায় শিক্ষকদের কাজকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে এবং অন্য পেশার তুলনায় পারিশ্রমিক ও মর্যাদা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শিক্ষকের মর্যাদা নিশ্চিতের কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে।

এই ধারাটি সম্পর্কে আরো স্পষ্টভাবে বলতে গেলে একটি জাতির সার্বিক অগ্রগতির জন্য একটি দায়িত্বশীল ও দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সামরিক পেশাজীবী শ্রেণি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। যা বাস্তবায়নে শিক্ষকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই সর্বাগ্রে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত জরুরি। সনদে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যেসব দেশে শিক্ষক সরকারি চাকরির বিধিমালায় চাকরিরত, তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। যদি শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চত না হয় তাহলে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সনদটি আন্তর্জাতিক সমঝোতা দলিল হিসেবে পরিগণিত। এই সনদের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা প্রতিটি দেশের সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করা হয়।

তাই,

উপরের আলোচিত আন্তর্জাতিক সনদ, দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং নতুন কারিকুলাম কে সফলতার দ্বারপ্রান্তে উন্নীত করতে সার্বিক বিবেচনায় সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করা হোক।

লেখক:

সহকারী শিক্ষক
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা

মূখপাত্র
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি।
ইমেইল: [email protected]