বাংলাদেশ ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

বাঙ্গির বাম্পার ফলন; দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষীরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০২ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গির বাম্পার ফলন; দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষীরা

 

আল-আমিন হোসাইন, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের স্থানীয় ভাষায় ফুট নামে সবাই চিনলেও স্থান ভেদে এর অপর নাম বাঙ্গি, খরমুজ, কাঁকুড় ইত্যাদি। নাম যাই হোক বাঙ্গি একটি স্বাস্থ্যকর ফল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এবং অনেক উপকোরী ফল এটি। ফুট বা বাঙ্গি এক রকমের শশা জাতীয় ফল। তবে বাঙ্গি শশার চেয়ে বেশ বড় হয়। কাঁচা বাঙ্গি সবুজ, পাকলে হলুদ রঙের হয়। এর বাইরের দিকটা মিষ্টি কুমড়ার মত হালকা ডোরাকাট খাজযুক্ত এবং ভেতরের দিকটা ফাকা। এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ভাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান, কৃষকেরা। বাঙ্গি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বাঙ্গি চাষে ঝুকছে। গত বছরের তুলনায় এবার এ উপজেলায় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ১৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া, ঢেপসাবুনিয়া, মাঝেরচর, পত্তাশী ও চরনী পত্তাশী গ্রামে দিগন্তজোড়া মাঠে শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। এই সবুজের মাঝে থরে থরে সাজানো আছে বড় বড় বাঙ্গি। দেখলে শুধু চোখ নয় মনও জুড়িয়ে যায়। গত বুধবার সকালে উপজেলা ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে বাঙ্গি ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকের কর্মব্যস্তা। কেহ বিক্রীর জন্য ক্ষেত থেকে বাঙ্গি তুলছে কেহ আবার বাঙ্গি গাছে পানি দিচ্ছে।

বাঙ্গি চাষি ইমাম হোসেন জানান, তিনি, বাহার ও নাসির মিলে এবার ২৪ বিঘা (৮ একর) জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। এত তাদের ১ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে। গত বছর একই পরিমান জমির বাঙ্গি ৮ লাখ টাকায় বিক্রী করেছেন। এবার তারা ৮ হাজার গর্তে ৩২ হাজার (প্রতি গর্তে ৪টি) চারা লাগিয়েছেন। এক্ষেত্রে একটি গর্তে ৩টি করে বাঙ্গি হলেও ২৪ হাজার বাঙ্গি বিক্রীর আশা করছেন তিনি।

ইমাম হোসেন আরও বলেন, রমজানের কারনে বাঙ্গির দাম ভাল থাকায় এবার ১৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রীর আশা করছেন। বর্তমানে ক্ষেত থেকে প্রতিটি বাঙ্গি পাইকাররা গড়ে ৭৫ টাকা দরে কিনে নিয়েছেন।

চাষী খোকন শিকদার জানান, আগে যে বাঙ্গি তারা ৪০ টাকা দরে বেচত এবার তা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। এভাবে দাম থাকলে ভাল লাভ হবে বলে জানান তিনি।

বগুড়া থেকে বাঙ্গি কিনতে আসা বেপারী আব্দুল লতিফ বলেন, ইন্দুরকানী অঞ্চলের ভাঙ্গি মানে ভাল। তাই তিনি এখানে ভাঙ্গি কিনতে এসেছেন।

লতিফ বেপারী জানান, তিনি কৃষকের ক্ষেত থেকে ৭৫/৮০ টাকা দরে প্রতিটি ভাঙ্গি কিনেছেন। ক্ষেত থেকে এনে গাড়ীতে উঠানো এবং গাড়ী ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আড়ত পর্যন্ত পৌছাতে ভাঙ্গি প্রতি আরো প্রায় ১৩/১৪ টাকা খরচ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন্নেছা সুমি বলেন, ইন্দুরকানীর উপজেলার মাটি বাঙ্গি চাষের উপযোগী। উপজেলায় এ বছর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। গত বছর এখানে ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হলেও ফলন ভাল এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষীরা বাঙ্গি চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ বছর আমাদেরর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি পরিমান জমিতে বাঙ্গি চাষের আশা করছি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

বাঙ্গির বাম্পার ফলন; দাম বেশি পাওয়ায় খুশি চাষীরা

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

 

আল-আমিন হোসাইন, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের স্থানীয় ভাষায় ফুট নামে সবাই চিনলেও স্থান ভেদে এর অপর নাম বাঙ্গি, খরমুজ, কাঁকুড় ইত্যাদি। নাম যাই হোক বাঙ্গি একটি স্বাস্থ্যকর ফল। পুষ্টিগুনে ভরপুর এবং অনেক উপকোরী ফল এটি। ফুট বা বাঙ্গি এক রকমের শশা জাতীয় ফল। তবে বাঙ্গি শশার চেয়ে বেশ বড় হয়। কাঁচা বাঙ্গি সবুজ, পাকলে হলুদ রঙের হয়। এর বাইরের দিকটা মিষ্টি কুমড়ার মত হালকা ডোরাকাট খাজযুক্ত এবং ভেতরের দিকটা ফাকা। এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ভাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান, কৃষকেরা। বাঙ্গি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বাঙ্গি চাষে ঝুকছে। গত বছরের তুলনায় এবার এ উপজেলায় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ১৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া, ঢেপসাবুনিয়া, মাঝেরচর, পত্তাশী ও চরনী পত্তাশী গ্রামে দিগন্তজোড়া মাঠে শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। এই সবুজের মাঝে থরে থরে সাজানো আছে বড় বড় বাঙ্গি। দেখলে শুধু চোখ নয় মনও জুড়িয়ে যায়। গত বুধবার সকালে উপজেলা ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে বাঙ্গি ক্ষেতে গিয়ে দেখা গেছে কৃষকের কর্মব্যস্তা। কেহ বিক্রীর জন্য ক্ষেত থেকে বাঙ্গি তুলছে কেহ আবার বাঙ্গি গাছে পানি দিচ্ছে।

বাঙ্গি চাষি ইমাম হোসেন জানান, তিনি, বাহার ও নাসির মিলে এবার ২৪ বিঘা (৮ একর) জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। এত তাদের ১ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়েছে। গত বছর একই পরিমান জমির বাঙ্গি ৮ লাখ টাকায় বিক্রী করেছেন। এবার তারা ৮ হাজার গর্তে ৩২ হাজার (প্রতি গর্তে ৪টি) চারা লাগিয়েছেন। এক্ষেত্রে একটি গর্তে ৩টি করে বাঙ্গি হলেও ২৪ হাজার বাঙ্গি বিক্রীর আশা করছেন তিনি।

ইমাম হোসেন আরও বলেন, রমজানের কারনে বাঙ্গির দাম ভাল থাকায় এবার ১৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রীর আশা করছেন। বর্তমানে ক্ষেত থেকে প্রতিটি বাঙ্গি পাইকাররা গড়ে ৭৫ টাকা দরে কিনে নিয়েছেন।

চাষী খোকন শিকদার জানান, আগে যে বাঙ্গি তারা ৪০ টাকা দরে বেচত এবার তা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। এভাবে দাম থাকলে ভাল লাভ হবে বলে জানান তিনি।

বগুড়া থেকে বাঙ্গি কিনতে আসা বেপারী আব্দুল লতিফ বলেন, ইন্দুরকানী অঞ্চলের ভাঙ্গি মানে ভাল। তাই তিনি এখানে ভাঙ্গি কিনতে এসেছেন।

লতিফ বেপারী জানান, তিনি কৃষকের ক্ষেত থেকে ৭৫/৮০ টাকা দরে প্রতিটি ভাঙ্গি কিনেছেন। ক্ষেত থেকে এনে গাড়ীতে উঠানো এবং গাড়ী ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আড়ত পর্যন্ত পৌছাতে ভাঙ্গি প্রতি আরো প্রায় ১৩/১৪ টাকা খরচ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন্নেছা সুমি বলেন, ইন্দুরকানীর উপজেলার মাটি বাঙ্গি চাষের উপযোগী। উপজেলায় এ বছর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। গত বছর এখানে ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হলেও ফলন ভাল এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষীরা বাঙ্গি চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ বছর আমাদেরর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি পরিমান জমিতে বাঙ্গি চাষের আশা করছি।