বাংলাদেশ ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

মাহে রমজানে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে,তাও কেজি দরে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০১ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুরের খানসামার এক দোকানে তরমুজের পসরা।

 

মো. আজিজার রহমান,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; চলমান পবিত্র মাহে রমজানে চৈত্রের দাবদাহ না থাকলেও দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে শীত, দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। ইফতারে জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি। খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অধিক মুনাফা পেতে ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে অপরিপক্ব তরমুজ। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনলেও ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজি দরে।

তারপরও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর লাল রং ধারণ করলেও নেই প্রকৃত স্বাদ। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে নিম্নবিত্তদের তরমুজ কিনে খাওয়ার সাধ্যের বাইরে। স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই এদের। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে নজরদারির দাবি ভোক্তাদের।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল উঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়।

শুক্রবার (২২ মার্চ) উপজেলা গেটের সামনে ফল বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না।

অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার উপজেলায় কেউ আবাদ করেনি এই তরমুজ। তাই বাহির থেকে আনা হচ্ছে।

পাইকারি ফল বিক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রমজান মাস শুরু হয়েছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান অনেকেই।

তরমুজ বখতিয়ার বলেন, ‘রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। তা ছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ব। বেশি বড় হয়নি। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। যদি দামটা ৩০-৪০ টাকা কেজি হলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কঠোর ভাবে নজরদারির প্রয়োজন।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

মাহে রমজানে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে,তাও কেজি দরে

আপডেট সময় ০১:১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

 

মো. আজিজার রহমান,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; চলমান পবিত্র মাহে রমজানে চৈত্রের দাবদাহ না থাকলেও দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে শীত, দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। ইফতারে জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি। খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অধিক মুনাফা পেতে ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে অপরিপক্ব তরমুজ। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনলেও ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজি দরে।

তারপরও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর লাল রং ধারণ করলেও নেই প্রকৃত স্বাদ। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে নিম্নবিত্তদের তরমুজ কিনে খাওয়ার সাধ্যের বাইরে। স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই এদের। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ে নজরদারির দাবি ভোক্তাদের।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল উঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়।

শুক্রবার (২২ মার্চ) উপজেলা গেটের সামনে ফল বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না।

অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার উপজেলায় কেউ আবাদ করেনি এই তরমুজ। তাই বাহির থেকে আনা হচ্ছে।

পাইকারি ফল বিক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রমজান মাস শুরু হয়েছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান অনেকেই।

তরমুজ বখতিয়ার বলেন, ‘রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। তা ছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ব। বেশি বড় হয়নি। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। যদি দামটা ৩০-৪০ টাকা কেজি হলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কঠোর ভাবে নজরদারির প্রয়োজন।