মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ বরিশালের হিজলা উপজেলায় ধূলখোলা ইউনিয়নের ৭ নং পালপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ জামাল মাঝি রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে খুন হন।
নিহত পরিবারের দাবি তিনি বরিশাল ০৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এমপি অনুসারী। অপর দিকে বর্তমান ধূলখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল ঢালী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসন ১৭ সংসদ সদস্য ড. শাম্মী আহমেদ এর অনুসারী। এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বহিরাগত লোকজন নিয়ে গতকাল শুক্রবার বাজারে অবস্থান করেন।
এরই জেরে আজ ১৬/০৩/২৪ তারিখে শনিবার সকাল অনুমান ৯টায় দিকে মেঘনা নদীর তীরবর্তি সয়াবিন খেতে জামাল মাঝির মরদেহ পরে আছে। এলাকায় লোকজন ডাক চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এসে দেখে জামাল মাঝি মরদেহ।
এবিষয় পরিবারে কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ৬নং ধূলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াময়ান জামাল ঢালীর লোকজন তাকে খুন করেছে। পূর্বেও তাদের বসতবাড়িতে আগুন দেওয়া সহ হুমকি ধামকি দিয়েছেন, পরিবার আরো বলেন চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর কাছ থেকে প্রশাসনের দায়িত্বরপ্ত এএসআই শরিফুল ইসলাম গত কালকের ঘটনায় চেয়ারম্যান এর পক্ষে থেকে মোটা অর্থ নিয়ে পঙ্কজ নাথ এমপি লোকজনকে ধাওয়া করেছেন এবং এসআই সোহরাব হোসেনের বিষয় একই অভিযোগ উঠেছে ।
এ বিষয় গণমাধ্যম কর্মীরা যখন ক্যামেরা ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে এএসআই শরিফুল ইসলাম বাধা প্রদান করে এবং ক্যামেরায় হাত দিয়ে আঘাত করেন। এ বিষয় মেহেন্দিগঞ্জ- হিজলার সহকারী পুলিশ সুপার বাইজিদ এর কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা দায়িত্বশীল দুইজন এএস আই, ও এস আই পুলিশ এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।ড.শাম্মি আহমেদ এর অনুসারী বর্তমান চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর কাছে সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে কথা বলেননি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে আলাপ করে তিনি বলেন এটা রাজনৈতিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। লাশের খবর পেয়ে হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবায়ের (ওসি) ও মেহেন্দিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ইয়াসিনুল হক পুলিশ পরিদর্শনে আসেন। ব্যাপারে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুবায়ের বলেন, হত্যার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি এবং গতোকালকের ঘটনার রেশ ধরেই এই হত্যা, তবে এখনও আমরা কোন বিষয়ে নিশ্চিত না, কে বা কাহারা এই হত্যা করেছে তবে যেই হত্যা করুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, এবং স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এই হত্যার পেছনের পুলিশের হাত আছে এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের বলেন, এই প্রশ্ন একদম ভিত্তিহীন ও অবান্তর।