রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা:
পিরোজপুরের কাউখালী বন্দরের রাস্তা ও ড্রেনের বেহল অবস্থা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে এবং বছরের পর বছর কাজ ফেলে রাখায় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন এভাবে ড্রেন ও রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় তাদের ব্যবসা বানিজ্য চরম দুরবস্থা, ক্রেতা শূণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার কবলে পরছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলার শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ ৩ বছর পূর্বে কাজ শুরু হলেও আংশিক কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আর কোন খোঁজ খবর নেই। দক্ষিন বাজার থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাজ রাস্তা প্রসস্থ ও ড্রেন নির্মানের কাজ করেন স্থানীয় ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন পলাশ। দক্ষিন বাজার থেকে থানা পর্যন্ত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ করে বাকী কাজ ফেলে রেখে যান। ফলে বাজারে আসা হাজার হাজার লোক এবং দোকানের সামনে ঢাকনা বিহীন ড্রেন থাকায় চরম বিপাকে পরেছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম ও রোমান হোসেন জানান, ড্রেনে ঢাকনা না থাকায় তারা দোকান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতারা ঝুকি নিয়ে ভিতরে আসে না। যার ফলে দোকান ভাড়াসহ আনুসাংগিক খরচ যোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। আর এই ড্রেন থেকে পানি নিষ্কাশন না পারায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে।
এসব এলাকার মানুষ ও পথচারীরা মশা-মাছিসহ বিভিন্ন কিট পতঙ্গের উৎপাতে অতিষ্ঠ। নতুন রাস্তা নির্মাণ করার জন্য পুরোনো রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় খুঁড়ে খুঁড়ে গর্ত করে রেখে দেয়া হয়েছে যার ফলে দুর্ভোগের মাত্র আরো বেড়ে গেছে। বন্দরের বিকল্প রাস্তা না থাকায় যান চলাচলসহ স্কুল কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল কাজকর্মের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র ভরসা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করা গিয়াস উদ্দিন পলাশ জানান, কাজল এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, অর্থ না পাওয়ায় কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। রোজার পূর্বেই কাজ শুরু করা যাবে।