জবি প্রতিনিধি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবিতে) ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক বহিস্কার এবং চার জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
(রবিবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, এতে কারও এক সেমিস্টার, কারও দুই সেমিস্টার এবং কারও তিন সেমিস্টার মেয়াদে এ বহিস্কার করা হয়। এছাড়া ৪ জনের সেমিস্টার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৫৮ তম সভায় বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রক্টিরয়াল বডির সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ শৃঙ্খলা বোর্ডের আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল সহ কমিটির ৯ জন সদস্যের উপস্থিতিতে ৫৮ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি পাশ হয়।
সাময়িক বহিস্কারপ্রাপ্ত ১৬ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১ জন, সঙ্গীত বিভাগের ১ জন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৪ জন, ইংরেজি বিভাগে ১ জন, ইতিহাস বিভাগে ১ জন (তিন সেমিস্টার বহিস্কার), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১ জন, পরিসংখ্যান ৪ জন, রসায়ন বিভাগের ৩ জন।
এদিকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২ জনের এক সেমিস্টার শাস্তি মওকুফ করা হলেও তাদের এক সেমিস্টারের সকল তত্ত্বীয় পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের ১ জন ও পরিসংখ্যান বিভাগের ১ জনের অসাধু উপায় অবলম্বন করায় সংশ্লিষ্ট কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু মুসা আনসারীর বিরুদ্ধে থাকা সাময়িক বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই শিক্ষার্থীর আদালত থেকে জামিনে থাকায় ও বাদীর সহিত আপোষনামা সম্পাদন করায়, বাদীর অভিযোগ না থাকায় এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তার আবেদনটি বিবেচনা করে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বহিস্কারসহ এ সকল আদেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান বলেন, বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের নোটিশ পেয়েছি। এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদেরকে বলা হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নোটিশ পাঠানো হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সবার নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।