আশরাফুল ইসলাম সাওন,
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ই বাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা-শানুর বাজার খালের সংযোগ ব্রিজটি গতকাল শনিবার (১৯ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে ব্রিজটি হঠাৎ খালে ভেঙে পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ব্রিজটি ভেঙে হাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ। ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকায় ঝুকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ। এই ব্রিজটি প্রায় ৫ বছর ধরে ঝুক পূর্ণ ছিলো।
স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা-শানুর বাজার খালের ওপর ব্রিজটি প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এর পর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি। এই ব্রিজটি দিয়ে তালতলী সদর বাজারসহ জেলা শহরে ঐ এলাকার প্রায় ১০ টি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার গ্রামবাসীর চলাচল করে। একই সাথে এবং বেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করে।
ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় লোহার এঙ্গেলগুলো নোনা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণ ও স্কুলশিক্ষর্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া। এছাড়ও ঝুকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরের দিকে সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে। আর ব্রিজটির দুই পাড়ে স্কুল শিক্ষার্থ ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন। ওই দুই ইউনিয়নের ৮ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম।
শানুর বাজারে প্রতিষ্ঠিতা শানু হাওলাদার বলেন, ব্রিজের পাশে আমার বাসা রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই। এরপরে গিয়ে দেখি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়।তিনি আরও বলেন এই ব্রিজটি প্রায় ১৫ বছরেও বেশি সময় ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা সংস্কার করে র্দীঘ দিন ঝুকি নিয়ে চলাচল করেছে। পরে একাধিক বার নতুন ব্রিজ নির্মানের আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ। তাই দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মান করা দরকার।
মাদব চন্দ্র দেবনাথ ও আ.রশীদ বলেন, বাজারের কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্রিজে উঠার সাথে সাথে ভেঙে পরে। এসময় দৌড়ে এক পারে চলে আসি। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ব্রিজটি পূর্ণ নির্মানে জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন বরাদ্ধের জন্য অপেক্ষ করছি। এর ভিতরেই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। তবে বরাদ্ধ খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবো। বরাদ্ধ পেলেই ব্রিজটি পূর্ণ নির্মানের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন স্থানীয়দের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।