বাংলাদেশ ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৯২ বার পড়া হয়েছে

 

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ

 

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের গতদিনের এক বক্তব্যের সূত্র ধরে বলতে চাই সত্যি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে খুব কম সময়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। বাংলাদেশকে আজ একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও উদাহরণ হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় আরও বলেছেন শিক্ষায় সবচাইতে বড় মেগা প্রকল্প নেওয়া হবে। সত্যি বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালে এক স্বপ্নীল ইশতেহার দিয়ে ক্ষমতায় আসার পরে যে মেগা প্রকল্প গুলো হাতে নিয়েছিল তার বাস্তবায়ন পরবর্তী সফলতা আমাদের কে স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করছে।

আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা নির্দেশনা পেয়ে তারই স্বপ্ন আমাদের মধ্যে বুনে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আধুনিক বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য সর্বোত্তম খাত হচ্ছে শিক্ষা খাত। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ড. শেখ হাসিনা এমপি এই বিষয়টিকে খুব ভালোভাবেই তার বিচক্ষণতা দিয়ে অনুভব করেছেন, এজন্য শিক্ষক সমাজ এবং জাতির মেরুদন্ড গড়ার কারিগর হিসেবে আমরা সত্যিই আমোদিত।

শিক্ষায় উন্নয়ন মানেই আমাদের সর্বত্রই খুশির সংবাদ। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তীকালে অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও আমাদের শিক্ষা খাতে গুণগত মান নিয়ে বেশ প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রায়ই পত্রিকা খুললে আমরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারি। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনা করলে আমাদের অবস্থান তলানিতে এটা আমরা দেখতে পাই। এর জন্য অবশ্য শিক্ষায় বিনিয়োগের অভাব ( শিক্ষার বিনিয়োগের হার জিডিপির ২% এর নিচে ) এবং যে বিনিয়োগ টুকু করা হয় তার সঠিক তদারকির অভাব অনেক অংশ দায়ী। এজন্যই মনে হয় আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষায় মেগা প্রকল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

আমরা স্বপ্ন দেখছি এবং শিক্ষার্থীদের দেখাচ্ছি যে, আমরা হব আগামী দিনে অর্থাৎ ২০৪১ সালে, আর মাত্র ১৬ বছর পরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। এরই বাস্তবতায় সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন ও ও বাস্তবায়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে।

আমরা ইতোমধ্যে এ কারিকুলাম ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে বাস্তবায়ন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছি। কিন্তু কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে যে রূঢ় বাস্তবতা আমাদের চোখে পড়েছে তা হল বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাতের জটিলতাঃ

এই কারিকুলামে একজন শিক্ষক শ্রেণিতে একত্রে সর্বোচ্চ ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম সফলভাবে চালাতেই হিমশিম খাওয়ার অবস্থা সেখানে কোন কোন বিদ্যালয়ে এক সাথে ১০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হয়।

 

তা ছাড়াও এক দিনে একটানা ৬টি (প্রতেকটি ৫০/৬০ মিনিট) ক্লাসের কার্যক্রম চালিয়ে একজন শিক্ষক কীভাবে এ জটিল মূল্যায়ন রেকর্ড করবেন ? কারণ একজন শিক্ষক সকালে ক্লাসে গিয়ে যা পড়ালেন তার উপরে কোন শিক্ষার্থী কী অভিজ্ঞতা অর্জন করল তা প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে দিন শেষে রেকর্ড করা কীভাবে সম্ভব ? অবশ্য রোবট শিক্ষক হলে পারতে পারেন! ফলে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা একজন শিক্ষকের পক্ষে অসম্ভব। যেখানে এই কারিকুলামে ধারাবাহিক মূল্যায়ন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার ভঙ্গুর অবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দুইটি শাখা।

 

যথাঃ ১.কলেজে শাখা (College Branch) এবং ২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা (School & Inspection Branch) কলেজ শাখার জনবল দিয়ে সরকারি কলেজ এবং মাউশি পরিচালিত হলেও বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জনবল দিয়ে এ শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় নামকাওয়াস্তে। কারণ এ শাখায় প্রশাসনিক সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সংকটের জন্য আমলা তান্ত্রিক জটিলতা এবং বিশাল কলেবরে সারা দেশব্যপী বিস্তৃত প্রতিষ্ঠান মাউশি স্বদিচ্ছার অভাব অনেকাংশে দায়ী।

ব্যানবেইজ পরিসংখ্যান ২০২২ অনুযায়ী – “দেশে বর্তমানে ২০,৩৫৩ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ৪৭৪৭টি কলেজ রয়েছে যা নিয়ে মাউশি গঠিত।

 

অর্থাৎ ২৫১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাউশি তার সকল কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে পারছে না। ফলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মতো এতো গুরুত্তপূর্ণ কাজে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার দিকে নজর দেবার সময়ও মাউশির হাতে নেই। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জনবলের দিকে শুধু শূন্য আর ভারপ্রাপ্ত দেখা যায়। ৬১৯ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬৪ টি জেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী প্রধানের ৫২২ টি এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের ৬৪ টি পদ শূন্য।

১০ অঞ্চলে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক ১০ জন এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক ১০ জন সম্পূর্ণরূপে শূন্য রয়েছে এবং ১০ জন উপপরিচালকে পদও শূন্য।সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৩০০ টিও অধিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের প্রায় ২০০ টি পদ শূন্য রয়েছে।

 

আরো অনেকগুলো শূন্য হবার পথে। নিচের দিক থেকে উপরের পদে পদোন্নতি না দেয়া এবং প্রশাসনিক সংস্কারের অভাব বা উপযুক্ত অর্গানোগ্রাম বা পদ সোপান না থাকার কারণে এই শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বল্প পরিসরে কিছু প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও সেখানে নতুন নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে।

যেমনঃ ২০১৫ সালে এক সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম গ্রেডের সিনিয়র শিক্ষক( নন ক্যাডার) নামীয় পদ সৃষ্টির ফলে নিচের দিক থেকে উপরের দিকে পদোন্নতির পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

 

কারণ আগে থেকেই নবম গ্রেডে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদটি বিদ্যমান ছিল এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫/১০/ ২০০৯ তারিখে জারিকৃত স্মারক নং সম/সওবা/প-২২/০৩ (সিঃ স্কেঃ গ্রেঃ)/(অংশ-১৮)/১-২৫৮ এর ক্রমিক ‘গ’ এ পরিপত্র অনুযায়ী সম গ্রেডে পদোন্নতি বিধিসম্মত নয় পরিপত্রটি থাকার কারণে এটা যেমন আটকে গেছে ঠিক তেমনি ভাবে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শক/ পরিদর্শিকা পদে পদোন্নতিও আটকে গেছে, কারণ এখানেও দুটি পদে ষষ্ঠ গ্রেডে। ২০০৯ সালে এই চিঠি দেয়ার সময় জানানো হয় দ্রুত বিধিমালা সংশোধন করে বিদ্যালয়ের পরিদর্শক/ পরিদর্শিকা পদটি গ্রেড উন্নয়ন করে সংস্কার না করলে এ পথটি শূন্য হয়ে যাবে।

 

কিন্তু সংস্কার করা হয়নি উল্টো ২০১৫ সালে একই রকম আরেকটা নতুন জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। ফলের শিক্ষা অধিদপ্তরের বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে এবং নতুন মেধাবীরা এ শাখায় চাকরি নিয়ে এসে বেশিদিন থাকতে চাইছে না।

এছাড়াও প্রশাসনিক পদগুলোতে শূন্যতা থাকার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিদর্শন কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অভিজ্ঞতা ভিত্তিক এই কারিকুলামে প্রাইভেট টিউশন ব্যবস্থা কে নিরোৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন কারিকুলামে পরিদর্শন কার্যক্রম কে যেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেখানে পরিদর্শন শাখা কে নখদন্তহীন করে রাখা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে শুরু করে শহর-পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথায় কে কি পড়াচ্ছেন তা দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অন্তঃসারশূন্য এক কঙ্কাল রূপে উপনীত হওয়ার অবস্থা।

জাতীয় শিক্ষানীতি২০১০ অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শনের জন্য প্রধান শিক্ষা পরিদর্শকের দপ্তর স্থাপনের কথা বলা হয়েছে এবং মাধ্যমিকও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কে ভেঙে দুইটি আলাদা অধিদপ্তর যথা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

কারণ একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মাউশি দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দেখভাল করায় লেজে গোবরে অবস্থা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই সরকারি কলেজে উচ্চ শিক্ষার বেহাল অবস্থা। যেখানে কলেজ শিক্ষা শাখা নিজেরাই কলেজে শিক্ষা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে তারা কিভাবে মাধ্যমিক শিক্ষার দিকে নজর দিবেন!

এছাড়াও স্বল্প সময়ের জন্য কলেজ শাখা থেকে যে সকল কর্মকর্তা মাধ্যমিকে পরিচালক পদে আসেন তারাও অনেকেই মাধ্যমিক সম্পর্কে খুব বেশি ওয়াকিবহাল থাকেন না। তাছাড়ও এই বিশাল অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয়ে ১৪২ জন কর্মকর্তার পদ থাকলেও বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা থেকে মাত্র ০৩ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।

ডিজিটাল তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ICT বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকাতায় সকল এমপিও ভুক্ত স্কুল গুলোর জন্য ১৯৯৪ সাল থেকেই ICT বিষয়ে শিক্ষকের পদ সৃজন ও নিয়োগ করা হলেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোন পদ সৃজন ই এখন পর্যন্ত হয়নি। এবং ১৫/০৬/১৯৯৪ খ্রি. তারিখে, সম/ সওব্য/টিম-৩(২)- শিম-১১/৯৪ স্মারকে এক চিঠিতে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে ICT বিষয়ে ক্লাস পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও লিডিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও এখানে কোন ল্যাব সহকারী নিয়োগ করা হয় নাই ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ল্যাব গুলো কার্যতঃ অচল হয়ে পরে আছে অথচ এমপিও ভুক্ত স্কুল গুলোতে ল্যাব সহকারী নিয়োগ করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ICT শিক্ষা জোড়া তালি দিয়ে চলছে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে জনবল সংকটের কথাতো বাদই দিলাম।

তাই এই সংকট সমাধানে সবচেয়ে উত্তম বিকল্প হতে পারে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার প্রশাসনিক সংস্কার এবং মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য একাডেমিক পদ সোপান তৈরি ও প্রধান শিক্ষা পরিদর্শক এর দপ্তর স্থাপন।

এছাড়াও মহান জাতীয় সংসদের বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত দিয়ে অনুমোদিত ২০১০ শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন তথা শিক্ষা নীতির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি ফিরে আসবে অন্যদিকে এখানে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মধ্যে জেঁকে বসা দীর্ঘদিনের হতাশা দূরীভূত হবে। নতুন প্রবর্তিত কারিকুলাম সফল বাস্তবায়ন অনেকখানি এগিয়ে যাবে বলে শিক্ষা ক্ষাতে কর্মরত শিক্ষক রর্মকরতাগণ মনে করেন।

সালাউদ্দিন
সহকারী শিক্ষক
ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।
Email: [email protected]

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ

আপডেট সময় ১১:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ

 

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুপারিশ
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের গতদিনের এক বক্তব্যের সূত্র ধরে বলতে চাই সত্যি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে খুব কম সময়ে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। বাংলাদেশকে আজ একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও উদাহরণ হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় আরও বলেছেন শিক্ষায় সবচাইতে বড় মেগা প্রকল্প নেওয়া হবে। সত্যি বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালে এক স্বপ্নীল ইশতেহার দিয়ে ক্ষমতায় আসার পরে যে মেগা প্রকল্প গুলো হাতে নিয়েছিল তার বাস্তবায়ন পরবর্তী সফলতা আমাদের কে স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করছে।

আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা নির্দেশনা পেয়ে তারই স্বপ্ন আমাদের মধ্যে বুনে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আধুনিক বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য সর্বোত্তম খাত হচ্ছে শিক্ষা খাত। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ড. শেখ হাসিনা এমপি এই বিষয়টিকে খুব ভালোভাবেই তার বিচক্ষণতা দিয়ে অনুভব করেছেন, এজন্য শিক্ষক সমাজ এবং জাতির মেরুদন্ড গড়ার কারিগর হিসেবে আমরা সত্যিই আমোদিত।

শিক্ষায় উন্নয়ন মানেই আমাদের সর্বত্রই খুশির সংবাদ। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তীকালে অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও আমাদের শিক্ষা খাতে গুণগত মান নিয়ে বেশ প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রায়ই পত্রিকা খুললে আমরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারি। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনা করলে আমাদের অবস্থান তলানিতে এটা আমরা দেখতে পাই। এর জন্য অবশ্য শিক্ষায় বিনিয়োগের অভাব ( শিক্ষার বিনিয়োগের হার জিডিপির ২% এর নিচে ) এবং যে বিনিয়োগ টুকু করা হয় তার সঠিক তদারকির অভাব অনেক অংশ দায়ী। এজন্যই মনে হয় আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষায় মেগা প্রকল্পের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

আমরা স্বপ্ন দেখছি এবং শিক্ষার্থীদের দেখাচ্ছি যে, আমরা হব আগামী দিনে অর্থাৎ ২০৪১ সালে, আর মাত্র ১৬ বছর পরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড। এরই বাস্তবতায় সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন ও ও বাস্তবায়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে।

আমরা ইতোমধ্যে এ কারিকুলাম ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে বাস্তবায়ন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছি। কিন্তু কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে যে রূঢ় বাস্তবতা আমাদের চোখে পড়েছে তা হল বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাতের জটিলতাঃ

এই কারিকুলামে একজন শিক্ষক শ্রেণিতে একত্রে সর্বোচ্চ ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম সফলভাবে চালাতেই হিমশিম খাওয়ার অবস্থা সেখানে কোন কোন বিদ্যালয়ে এক সাথে ১০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হয়।

 

তা ছাড়াও এক দিনে একটানা ৬টি (প্রতেকটি ৫০/৬০ মিনিট) ক্লাসের কার্যক্রম চালিয়ে একজন শিক্ষক কীভাবে এ জটিল মূল্যায়ন রেকর্ড করবেন ? কারণ একজন শিক্ষক সকালে ক্লাসে গিয়ে যা পড়ালেন তার উপরে কোন শিক্ষার্থী কী অভিজ্ঞতা অর্জন করল তা প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে দিন শেষে রেকর্ড করা কীভাবে সম্ভব ? অবশ্য রোবট শিক্ষক হলে পারতে পারেন! ফলে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা একজন শিক্ষকের পক্ষে অসম্ভব। যেখানে এই কারিকুলামে ধারাবাহিক মূল্যায়ন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার ভঙ্গুর অবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের দুইটি শাখা।

 

যথাঃ ১.কলেজে শাখা (College Branch) এবং ২. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা (School & Inspection Branch) কলেজ শাখার জনবল দিয়ে সরকারি কলেজ এবং মাউশি পরিচালিত হলেও বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জনবল দিয়ে এ শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় নামকাওয়াস্তে। কারণ এ শাখায় প্রশাসনিক সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সংকটের জন্য আমলা তান্ত্রিক জটিলতা এবং বিশাল কলেবরে সারা দেশব্যপী বিস্তৃত প্রতিষ্ঠান মাউশি স্বদিচ্ছার অভাব অনেকাংশে দায়ী।

ব্যানবেইজ পরিসংখ্যান ২০২২ অনুযায়ী – “দেশে বর্তমানে ২০,৩৫৩ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ৪৭৪৭টি কলেজ রয়েছে যা নিয়ে মাউশি গঠিত।

 

অর্থাৎ ২৫১০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাউশি তার সকল কার্যক্রম ঠিকমতো চালাতে পারছে না। ফলে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মতো এতো গুরুত্তপূর্ণ কাজে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার দিকে নজর দেবার সময়ও মাউশির হাতে নেই। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার জনবলের দিকে শুধু শূন্য আর ভারপ্রাপ্ত দেখা যায়। ৬১৯ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬৪ টি জেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী প্রধানের ৫২২ টি এবং সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের ৬৪ টি পদ শূন্য।

১০ অঞ্চলে সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক ১০ জন এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক ১০ জন সম্পূর্ণরূপে শূন্য রয়েছে এবং ১০ জন উপপরিচালকে পদও শূন্য।সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৩০০ টিও অধিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের প্রায় ২০০ টি পদ শূন্য রয়েছে।

 

আরো অনেকগুলো শূন্য হবার পথে। নিচের দিক থেকে উপরের পদে পদোন্নতি না দেয়া এবং প্রশাসনিক সংস্কারের অভাব বা উপযুক্ত অর্গানোগ্রাম বা পদ সোপান না থাকার কারণে এই শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বল্প পরিসরে কিছু প্রশাসনিক সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও সেখানে নতুন নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে।

যেমনঃ ২০১৫ সালে এক সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম গ্রেডের সিনিয়র শিক্ষক( নন ক্যাডার) নামীয় পদ সৃষ্টির ফলে নিচের দিক থেকে উপরের দিকে পদোন্নতির পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

 

কারণ আগে থেকেই নবম গ্রেডে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদটি বিদ্যমান ছিল এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫/১০/ ২০০৯ তারিখে জারিকৃত স্মারক নং সম/সওবা/প-২২/০৩ (সিঃ স্কেঃ গ্রেঃ)/(অংশ-১৮)/১-২৫৮ এর ক্রমিক ‘গ’ এ পরিপত্র অনুযায়ী সম গ্রেডে পদোন্নতি বিধিসম্মত নয় পরিপত্রটি থাকার কারণে এটা যেমন আটকে গেছে ঠিক তেমনি ভাবে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শক/ পরিদর্শিকা পদে পদোন্নতিও আটকে গেছে, কারণ এখানেও দুটি পদে ষষ্ঠ গ্রেডে। ২০০৯ সালে এই চিঠি দেয়ার সময় জানানো হয় দ্রুত বিধিমালা সংশোধন করে বিদ্যালয়ের পরিদর্শক/ পরিদর্শিকা পদটি গ্রেড উন্নয়ন করে সংস্কার না করলে এ পথটি শূন্য হয়ে যাবে।

 

কিন্তু সংস্কার করা হয়নি উল্টো ২০১৫ সালে একই রকম আরেকটা নতুন জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। ফলের শিক্ষা অধিদপ্তরের বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে এবং নতুন মেধাবীরা এ শাখায় চাকরি নিয়ে এসে বেশিদিন থাকতে চাইছে না।

এছাড়াও প্রশাসনিক পদগুলোতে শূন্যতা থাকার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিদর্শন কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অভিজ্ঞতা ভিত্তিক এই কারিকুলামে প্রাইভেট টিউশন ব্যবস্থা কে নিরোৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন কারিকুলামে পরিদর্শন কার্যক্রম কে যেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেখানে পরিদর্শন শাখা কে নখদন্তহীন করে রাখা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে শুরু করে শহর-পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথায় কে কি পড়াচ্ছেন তা দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অন্তঃসারশূন্য এক কঙ্কাল রূপে উপনীত হওয়ার অবস্থা।

জাতীয় শিক্ষানীতি২০১০ অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শনের জন্য প্রধান শিক্ষা পরিদর্শকের দপ্তর স্থাপনের কথা বলা হয়েছে এবং মাধ্যমিকও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কে ভেঙে দুইটি আলাদা অধিদপ্তর যথা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

কারণ একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মাউশি দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম দেখভাল করায় লেজে গোবরে অবস্থা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই সরকারি কলেজে উচ্চ শিক্ষার বেহাল অবস্থা। যেখানে কলেজ শিক্ষা শাখা নিজেরাই কলেজে শিক্ষা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে তারা কিভাবে মাধ্যমিক শিক্ষার দিকে নজর দিবেন!

এছাড়াও স্বল্প সময়ের জন্য কলেজ শাখা থেকে যে সকল কর্মকর্তা মাধ্যমিকে পরিচালক পদে আসেন তারাও অনেকেই মাধ্যমিক সম্পর্কে খুব বেশি ওয়াকিবহাল থাকেন না। তাছাড়ও এই বিশাল অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয়ে ১৪২ জন কর্মকর্তার পদ থাকলেও বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা থেকে মাত্র ০৩ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।

ডিজিটাল তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ICT বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে চালু করেছে। এরই ধারাবাহিকাতায় সকল এমপিও ভুক্ত স্কুল গুলোর জন্য ১৯৯৪ সাল থেকেই ICT বিষয়ে শিক্ষকের পদ সৃজন ও নিয়োগ করা হলেও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোন পদ সৃজন ই এখন পর্যন্ত হয়নি। এবং ১৫/০৬/১৯৯৪ খ্রি. তারিখে, সম/ সওব্য/টিম-৩(২)- শিম-১১/৯৪ স্মারকে এক চিঠিতে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে ICT বিষয়ে ক্লাস পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও লিডিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও এখানে কোন ল্যাব সহকারী নিয়োগ করা হয় নাই ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ল্যাব গুলো কার্যতঃ অচল হয়ে পরে আছে অথচ এমপিও ভুক্ত স্কুল গুলোতে ল্যাব সহকারী নিয়োগ করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ICT শিক্ষা জোড়া তালি দিয়ে চলছে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে জনবল সংকটের কথাতো বাদই দিলাম।

তাই এই সংকট সমাধানে সবচেয়ে উত্তম বিকল্প হতে পারে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার প্রশাসনিক সংস্কার এবং মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য একাডেমিক পদ সোপান তৈরি ও প্রধান শিক্ষা পরিদর্শক এর দপ্তর স্থাপন।

এছাড়াও মহান জাতীয় সংসদের বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত দিয়ে অনুমোদিত ২০১০ শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন তথা শিক্ষা নীতির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি ফিরে আসবে অন্যদিকে এখানে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের মধ্যে জেঁকে বসা দীর্ঘদিনের হতাশা দূরীভূত হবে। নতুন প্রবর্তিত কারিকুলাম সফল বাস্তবায়ন অনেকখানি এগিয়ে যাবে বলে শিক্ষা ক্ষাতে কর্মরত শিক্ষক রর্মকরতাগণ মনে করেন।

সালাউদ্দিন
সহকারী শিক্ষক
ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।
Email: [email protected]