কুড়িগ্রামের উলিপুরে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল গুলোতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এতে করে গত বছর চরাঞ্চলের কৃষকদের অধিক লাভ হওয়ায় এবার এই বিদেশি জাতের মিষ্টি আলু চাষের ব্যাপক সারা পড়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের আদর্শ মিষ্টি আলু চাষিদের মাঝে জাপানি জাতের মিষ্টি আলুর বীজ ও সার প্ররোদনা হিসাবে দেয়া হয়। জাপানি জাতের মিষ্টি আলু- ওকিনাওয়া ও মুরাসাকি বাউ মিষ্টি আলু ১, ২ ও ৩ জাত বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত হয়ে কুড়িগ্রামের উলিপুরে চরাঞ্চল এলাকায় ব্যাপক প্রসারতা লাভ করেছে। গত বছর অধিক ফলন হওয়ায় এবারে উপজেলার চরাঞ্চলে হেক্টর ময় হেক্টর জমিতে এ মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন মিষ্টি আলু চাষিরা।
আরও জনা যায়, ব্যাপক ফলনের আশায় উপজেলার চরাঞ্চলে জাপানি উন্নতমানের মিষ্টি আলুর জাত গুলোর মধ্যে ওকিনাওয়া ও মুরাসাকি বাউ মিষ্টি আলু প্রায় ২ হেক্টর জমির মধ্যে ১৫ টি প্রদর্শণি রয়েছে। উক্ত ১৫ টি প্রদর্শণি ভুক্ত কৃষকদের মধ্যে প্ররোদনা হিসাবে বিনা পয়সায় বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। প্রদর্শণি প্লট আকারে আছে উপজেলার বেগমগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, থেতরাই, গোড়াইপিয়ার, কদমতলা, দলদলিয়া, বুড়াবুড়ি, হকেরচর। এছাড়াও গত বছর এ উন্নত জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে অধিক ফলনে বাজারে রপ্তানি করে অনেক মুনাফা পাওয়ায় প্রদর্শণির প্লট সহ প্রায় ১৬৫ হেক্টর জমির মধ্যে মিষ্টি আলুর চাষ করা হয়।
মিষ্টি আলু চাষি আইয়ুব আলী, মোস্তাফিজুর, রাশেদুল ও মোজাম্মেল হক বলেন আমরা প্রদর্শণী হিসাবে প্লট আকারে উন্নত মানের মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। উক্ত বীজ ও সার উলিপুর কৃষি অফিস থেকে প্ররোদনা হিসাবে বিনাপয়সায় পেয়েছি। এবারে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি বাজারে রপ্তানি করে অনেক মুনাফা অর্জন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব সাইফুল ইসলাম বলেন, উন্নত মানের মিষ্টি আলুর জাত হওয়ায় অধিক ফলন হয়। যা আলু চাষিরা বাজারে রপ্তানি করে অনেক টাকা আয় করে। এর ফলে মিষ্টি আলুর চাষ করতে চাষিদের অনেক আগ্রহ বেড়েছে। বাউ মিষ্টি আলুতে রয়েছে অনেক পুষ্টি মানুষের শরিরে এন্টি- অক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। তিনি আরও বলেন এবারে উপজেলার চরাঞ্চলে মোট ১৭ টি প্রদর্শনি প্লটে আছে প্রায় ২ হেক্টর জমি। এ ছাড়া এ মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন উপজেলায় প্রায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে।”