বাংলাদেশ ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু ব্রাহ্মণপাড়ায় ভেসাল জালে ধরা পরছে দেশী মাছ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননাকারীর বিচারের দাবিতে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ভালুকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১২৫ বস্তা চাল জব্দ আটক- ২ হোসেনপুরে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন গৌরীপুরে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর, আটক-১, পরিবারের দাবি আটককৃত ছেলে ইয়াসিন মানসিক প্রতিবন্ধী মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো আম্বিয়ার পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনা একজন নিহত সলঙ্গায় মহিলা মাদ্রাসায় কোরআনের প্রথম ছবক অনুষ্ঠিত ট্রাকে অভিনব কায়দায় লুকানো বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গৌরীপুরে বাংলাদেশ স্কাউটের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত গফরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিলার নিয়োগ পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কাদের মির্জা বিরুদ্ধে হত্যা মামলা শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গৌরীপুর পৌরসভায় মতবিনিময় সভা ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশিক্ষণ শেষে নারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ

চা চাষে সম্ভবনার সপ্ন দেখছে ঠাকুরগাঁওয়ের- চা চাষিরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬০০ বার পড়া হয়েছে
সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর গাঁও  প্রতিনিধিঃ চা চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল পঞ্চগড়ের পর এখন পার্শ্ববতী জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও অসংখ্য চায়ের বাগান গড়ে উঠেছে। চা শিল্পের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিগন্তবিস্তৃত এসব বাগানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়ের আবাদ শুরু হয়েছে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামেও।
জেলা ঘুরে দেখা মেলে, সমতলভূমিতে গড়ে তোলা ছোট-বড় অসংখ্য চা বাগান। বসতবাড়ির পেছনের জমিতে, বাড়ির আঙিনার আশপাশে, রাস্তার ধারে— আনাচকানাচের বিভিন্ন জমিতে এখন চা গাছের সবুজ রংয়ের সমারহে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এতে চা শিল্পে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন জেলার চাষিরা।
একসময় যে জমিতে আগাছা ছাড়া কোনো ফসল হত না সেই জমিতে এখন চা গাছের সমারোহ। নদীর ধারে যেসব জমি শুধু গোচারণ ভূমি হিসেবে পড়ে থাকতো, সেই দিগন্তবিস্তৃত জমিও চা চাষে সবুজের লীলাভূমিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর দিগন্তবিস্তৃত চা-বাগান ছাড়াও দেখা গেছে, যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই চায়ের গাছ লাগিয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা চায়ে লাভবান হওয়ায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে চায়ের চাষ। এতে চা অর্থকারি ফসল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে জেলায়। আর এসব বাগানে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে জরিপ চালায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০০০ সালের দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। পরে ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে চা চাষ হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম এর তথ্যমতে, জেলায় মোট ১৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে চায়ের বাগান। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬ একর ৯৩ পয়েন্ট জমিতে ছোট-বড় মিলে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬ একর জমিতে ১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১১শ একর ৭৫ পয়েন্ট জমিতে ছোট বড় মোট ১০০টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৯ একর জমিতে ৪টি ও হরিপুর উপজেলায় ১০ একর জমিতে ৩টি চা বাগান রয়েছে।
সব থেকে বেশি চা চাষ করা হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১ শ ৭৫ পয়েন্ট জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রনবাগ ও বেউরঝাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কাছে অবস্থিত দু অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু

চা চাষে সম্ভবনার সপ্ন দেখছে ঠাকুরগাঁওয়ের- চা চাষিরা

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর গাঁও  প্রতিনিধিঃ চা চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল পঞ্চগড়ের পর এখন পার্শ্ববতী জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও অসংখ্য চায়ের বাগান গড়ে উঠেছে। চা শিল্পের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিগন্তবিস্তৃত এসব বাগানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়ের আবাদ শুরু হয়েছে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামেও।
জেলা ঘুরে দেখা মেলে, সমতলভূমিতে গড়ে তোলা ছোট-বড় অসংখ্য চা বাগান। বসতবাড়ির পেছনের জমিতে, বাড়ির আঙিনার আশপাশে, রাস্তার ধারে— আনাচকানাচের বিভিন্ন জমিতে এখন চা গাছের সবুজ রংয়ের সমারহে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এতে চা শিল্পে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন জেলার চাষিরা।
একসময় যে জমিতে আগাছা ছাড়া কোনো ফসল হত না সেই জমিতে এখন চা গাছের সমারোহ। নদীর ধারে যেসব জমি শুধু গোচারণ ভূমি হিসেবে পড়ে থাকতো, সেই দিগন্তবিস্তৃত জমিও চা চাষে সবুজের লীলাভূমিতে ভরপুর হয়ে উঠেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর দিগন্তবিস্তৃত চা-বাগান ছাড়াও দেখা গেছে, যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই চায়ের গাছ লাগিয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা চায়ে লাভবান হওয়ায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে চায়ের চাষ। এতে চা অর্থকারি ফসল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে জেলায়। আর এসব বাগানে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে জরিপ চালায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট। ২০০০ সালের দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। পরে ২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে চা চাষ হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম এর তথ্যমতে, জেলায় মোট ১৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে চায়ের বাগান। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬ একর ৯৩ পয়েন্ট জমিতে ছোট-বড় মিলে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬ একর জমিতে ১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১১শ একর ৭৫ পয়েন্ট জমিতে ছোট বড় মোট ১০০টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৯ একর জমিতে ৪টি ও হরিপুর উপজেলায় ১০ একর জমিতে ৩টি চা বাগান রয়েছে।
সব থেকে বেশি চা চাষ করা হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১ শ ৭৫ পয়েন্ট জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রনবাগ ও বেউরঝাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কাছে অবস্থিত দু অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।