বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ) মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরের মথুরাপুর ইউপির লালুকাবাড়ী গুচ্ছগ্রামে নির্যাতিত মহিলা মিনা বেগমের পাশে দাঁড়ানোর অপরাধে গুচ্ছগ্রাম সভাপতিকে মারের অভিযোগ, ২ মেম্বার ও ২ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে, অতঃপর থানায় অভিযোগ দায়ের।
জানা যায়, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) পিতা-মৃত আসতুল্লাহ মন্ডল, সাং- নালুকাবাড়ী, ইউনিয়ন- মথুরাপুর, জেলা- নওগাঁ, থানায় আসিয়া বিবাদী ১। মোঃ ওয়াহেদ আলী (৫৫) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- চকমপুর, ২। মোঃ লিটন (৪৫) (ইউপি সদস্য) পিতা- আফজাল, সাং- মথুরাপুর, ৩। মোঃ সাহিদ (৪০) পিতা- মোঃ মজিবর রহমান, সাং- নালুকবাড়ী, ৪। মোঃ হেলাল উদ্দীন (৩৫) পিতা-লহির, সাং- নালুকবাড়ী, সর্বথানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁগনের বিরুদ্ধে থানায় আসিয়া এই মর্মে অভিযোগ দাখিল করিতেছি যে, আমি নালুকাবাড়ী ( গুচ্ছগ্রাম) এর সভাপতি পদে কর্মরত আছি। মোছাঃ মিনা (৩০) স্বামী- মোঃ ওয়াহেদ আলী এর নামে একটি ঘর রহিয়াছে। তারা স্বামী স্ত্রী একত্রে বসবাস করিতেছে। এমতাবস্থায় গত দিন পূর্বে বিবাদী ওয়াহেদ ও মিনা সাংসারিক গন্ডগল লাগিয়া ওয়াহেদ গ্রামের বাড়ীতে চলিয়া যায় এবং মিনা তার মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ীতে রাখতে যায়। এরই মধ্যে ওয়াহেদ বাড়ীতে আসিয়া তালা চাবি মারে চলিয়া যায়। দুই দিন মিনা বাড়ী (গুচ্ছগ্রাম) তে আসিয়া দেখে যে, তার ঘরে ডবর তালা চাবি মারা আছে। উক্ত ঘটনা দেখে মিনা আমার নিকট আসিয়া বললে গত ইং ০৩/০৯/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:০০ ঘটিকার সময় বিবাদী ওয়াহেদকে ডাকিয়া লইয়া তালা চাবী খুলিয়া দিতে বলি। তখন বিবাদী ওয়াহেদ বলে যে, আমি তালা চাবি খুলতে পারিবো না এবং মিনাকে নিয়ে সংসার করিবে না একাই থাকিবে বলিয়া জানায়। উক্ত ঘর মিনার নামে করা আছে। তাকতে না চাওয়া তাহলে তালা চাবি দিয়ে যাও। আর একসাথে থাকলে থাকো এই বলিয়া আমি চলিয়া আসি। পরবর্তীতে একই তারিখ রাত অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় মিনা আমাকে বলে যে, তালা চাবি খুলে না দিয়ে বিবাদী ওয়াহেদ চলে গেছে। আমি দুই চারজন লোককে নিয়ে আসিয়া তালা চাবী খুলিয়া দেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র কেন্দ্র করিয়া অদ্য ইং ০৪/০৯/২০২৩ তারিখ বেলা অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় বিবাদী ওয়াহেদ উক্ত বিবাদীসহ গোফ্ফার মেম্বারকে সঙ্গে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে আসিয়া ২নং বিবাদী আমাকে ডাকিয়া পাঠায়।
সভাপতি ঘটনাস্থলে আসিলে ২নং বিবাদী বলে যে, তালা কেন খুলেছো। একলা মেয়ে মানুষ তাই খুলে দিছি। এই কথা বলা মাত্রই ১, ৩ ও ৪নং বিবাদীগন আমাকে কিল ঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা জখম করে। আমি ভয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকলে ২নং বিবাদী মোঃ লিটন ঘরের ভিতর ঢুকে আমাকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে মারপিট করে জখম করে এবং শ্বাস রোধ করার জন্য গলার উপর পা তুলে দেয়। আমি ডাক-চিৎকার করিলে সাক্ষী ১। মোছাঃ মিনা (৩০) স্বামী- ওয়াহেদ, ২। মোঃ রাজ্জাক (৫৫) পিতা-মৃত আরসতুল্লাহ, উভয়সাং- নালুকাবাড়ী ( গুচ্ছগ্রাম), থানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁছয় সহ আরো স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাদের রক্ষা করিলে উক্ত বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে ওয়াহেদের মোবাইলে বারংবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে লিটন মেম্বারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়েছিলাম তবে সেখানে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্ত চলছে, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।