বাংলাদেশ ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ গণধর্ষণ মামলায় গ্রাম পুলিশসহ গ্রেপ্তার-২ ৪ বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই নানা আয়োজনে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপন  বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা নারী নির্যাতন মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ চার নেতাকে গ্রেফতারে বিএনপির নিন্দা অবাধে চলছে মোবাইলে টাকা দিয়ে লুডু খেলা প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দূর্ঘটনা  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছোট ভাই স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক পক্ষকাল ব্যাপি প্রচারাভিযান ইবি শিক্ষার্থী মানবতার সেবক মুরাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার পিরোজপুর জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আর নেই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • ১৮২১ বার পড়া হয়েছে

দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত হওয়ার পর চিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রতিবেশীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে  তার মৃত্যু হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী নিহত জাবেদ ইসলাম কাজিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে।
আটক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলম সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে  কাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন মোহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যাম মোঃ সোহাগ এবং আটকের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন  ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম।
ইউপি সদস্য মোঃ সোহাগ বলেন, আহত জাবেদ ইসলাম হাসপাতালে মারাগেছে খবর পেয়েছি।  গত সপ্তাহে গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দুটির মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলমসহ  উভয়পক্ষ আমার কার্যালয়ে আসলে আমি তাদের চিকিৎসার পরামর্শ দেই।
স্থানীয়দের বরাতে চেয়ারম্যান বলেন,  পরবর্তীতে কদিন বাদে তারা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসলে আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। এসময় উভয় পক্ষ আবারও আহত হয়৷ এতে জাবেদের গোপনাঙ্গ চেপে ধরার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষ এক মহিলার বিরুদ্ধে। এদিন সংঘর্ষে অপর পক্ষের এক নারী গুরুতর যখম হলে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোমেনা বেগম বলেন, গত ৭ মার্চ তারিখে দ্বিতীয়বারোর মতো মারামারি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।  জাবেদকে ধরে মারপিট করে রনি ও তার বৌ মামুনি আক্তার।  এ সময় রনীর বৌ জাবেদোর গোপনাঙ্গ চেপে ধরলে জাবেদ বাঁচাও বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে আধুনিক সদর  হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। গতকাল সে আবারও অসুস্থ
ওসি তানভীরুল জানান, এ ধরনের মারামারির ঘটনায় গতকাল জাবেদের  অভিযোগের প্রেক্ষীতে  মামলা দায়ের হয়েছে। এতে রনি ও তার স্ত্রী মামুনি সহ আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  সে তার স্ত্রীর সাথে রংপুরে আছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল হাসান চয়ন বলেন, জাবেদ গত ৭ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসা নিয়ে সে বাসায় যায়। গতকাল সে বিষপান করে অসুস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়।  জাবেদের মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে আমরা তদন্ত করছি বিষয়টি।
নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিষ পান করেনি। গোপানাঙ্গ চেপে ধরার কারনে তীব্র ব্যাথায় বেশ কদিন ধরে কাতরাচ্ছিল স্বামী। তাই গতকাল হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম।

দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান

আপডেট সময় ০৫:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
আব্দুল্লাহ আল সুমন স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মারামারিতে গোপনাঙ্গ চেপে ধরে আহত হওয়ার পর চিৎসাধীন অবস্থায় এক প্রতিবেশীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হাসপাতাল বলছে বিষপান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে  তার মৃত্যু হয়েছে।
২৮ বছর বয়সী নিহত জাবেদ ইসলাম কাজিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে।
আটক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলম সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে  কাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন মোহম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যাম মোঃ সোহাগ এবং আটকের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন  ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম।
ইউপি সদস্য মোঃ সোহাগ বলেন, আহত জাবেদ ইসলাম হাসপাতালে মারাগেছে খবর পেয়েছি।  গত সপ্তাহে গ্রামের দুই পরিবারের দুই ছোট বাচ্চা মাঠে খেলতে গিয়ে হাতাহাতি করে। এ নিয়ে পরিবার দুটির মাঝে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নূর আলমসহ  উভয়পক্ষ আমার কার্যালয়ে আসলে আমি তাদের চিকিৎসার পরামর্শ দেই।
স্থানীয়দের বরাতে চেয়ারম্যান বলেন,  পরবর্তীতে কদিন বাদে তারা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসলে আবারও তর্কে জড়িয়ে মারামারি করে। এসময় উভয় পক্ষ আবারও আহত হয়৷ এতে জাবেদের গোপনাঙ্গ চেপে ধরার অভিযোগ উঠে প্রতিপক্ষ এক মহিলার বিরুদ্ধে। এদিন সংঘর্ষে অপর পক্ষের এক নারী গুরুতর যখম হলে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোমেনা বেগম বলেন, গত ৭ মার্চ তারিখে দ্বিতীয়বারোর মতো মারামারি হয় দুই পক্ষের মধ্যে।  জাবেদকে ধরে মারপিট করে রনি ও তার বৌ মামুনি আক্তার।  এ সময় রনীর বৌ জাবেদোর গোপনাঙ্গ চেপে ধরলে জাবেদ বাঁচাও বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে আধুনিক সদর  হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। গতকাল সে আবারও অসুস্থ
ওসি তানভীরুল জানান, এ ধরনের মারামারির ঘটনায় গতকাল জাবেদের  অভিযোগের প্রেক্ষীতে  মামলা দায়ের হয়েছে। এতে রনি ও তার স্ত্রী মামুনি সহ আরও ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
ওসি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  সে তার স্ত্রীর সাথে রংপুরে আছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র থেকে জানা যায়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল হাসান চয়ন বলেন, জাবেদ গত ৭ তারিখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসা নিয়ে সে বাসায় যায়। গতকাল সে বিষপান করে অসুস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়।  জাবেদের মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে আমরা তদন্ত করছি বিষয়টি।
নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিষ পান করেনি। গোপানাঙ্গ চেপে ধরার কারনে তীব্র ব্যাথায় বেশ কদিন ধরে কাতরাচ্ছিল স্বামী। তাই গতকাল হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম।