নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।। আজ (১৪ মার্চ) একটি ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানী ও কথিত অপহরণ চেষ্টা ও শ্লীলতাহানীর মামলায় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ বিজ্ঞ বিচারক হালিম উল্লাহ্ চৌধুরী দুই জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে কতিথ সাংবাদিক পরিচয়ধারী রহস্যময় নারী ফরজুন আক্তার মনি নবীগঞ্জের ৫জন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। সাজানো ঐ মামলায় ৫জন সাংবাদিকসহ ৬জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক এম, এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক এম, মুজিবুর রহমান, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠ সাংবাদিক আলমগীর মিয়া, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি শাহ সুলতান আহমদ, চ্যানেল এস এর সাংবাদিক বুলবুল আহমদ এবং কলেজ ছাত্র সাকির আহমদ ।
প্রাথমিক ভাবে ঐ মামলায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ একজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিলে পরবর্তীতে কথিত সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনির নারাজির প্রেক্ষিতে তদন্ত হবিগঞ্জ পিবিআই পুলিশের কাছে প্রদান করা হয়। পিবিআই এর এসআই শাহনেয়াজ মানিত বেশির স্বাক্ষীদের জবান বন্ধী গ্রহন না করেই নিজের ইচ্ছা মতো আরজির চেয়ে অতিরঞ্জিত লিখে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
যা স্বাক্ষীরা এফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন। গত ৭ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল এর বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যূ করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক এম, এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক এম,মুজিবুর রহমান গতকাল ১৪ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ বিজ্ঞ বিচারক হালিম উল্লাহ্ চৌধুরী কাছে দুই জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকের জামিনের আবেদন করা হয়। বিঞ্জ আদালত বিরোধীয় জেরধরে করা মামলাটির আসামী দুইজনকে জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য যে কথিত সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি ফেসবুকে সাংবাদিক আজাদসহ সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোষ্ট করলে তিনি বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তিন মাস জেল হাজতে থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিনে বেরিয়ে আসেন। এর পরই ঐ নারী নির্যাতন মামলাটি করেন।
গতকাল দুই সিনিয়র সাংবাদিকের পক্ষে মামলার শোনানিতে অংশ নেন বিজ্ঞ অ্যাডভোকেট ও হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ বদরু মিয়া বদরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, এডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান বিশিষ্ট আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এডভোকেট সুলতান মাহমুদ, এডঃ মুজিবুর রহমান কাজল, এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল বাছিত প্রমূখ, বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. নুরুজ্জামান চৌধুরী ও রাষ্ট্র পক্ষে স্পেশাল পিপি এড, মোঃ মোস্তফা মিয়া প্রমূখ।