বাংলাদেশ ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

লালমোহনে ইলিশ ধরা বন্ধ, জেলেদের দুর্দিন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
  • ১৭২১ বার পড়া হয়েছে

লালমোহনে ইলিশ ধরা বন্ধ, জেলেদের দুর্দিন

মনজুরুল আলম, লালমোহন (ভোলা)
মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন লালমোহনের ২৩ হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে না পারায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাদের।
জেলে পুর্নঃ বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও সেই চাল এখনও পৌঁছায়নি জেলেদের কাছে। এতে কস্টে আছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার জেলে থাকলেও এবার চাল বরাদ্দ আসছে ১১ হাজার জেলে নামে। এতে ১২ হাজার জেলে পূর্নবাসনের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মত এ বছরও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ সহ সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশ মানতে নদীতে যেতে পারছেন না জেলেরা। জাল-নৌকা তুলে ঘাটে নিয়ে রেখেছেন। কেউ বা বিকল্প পেশা খুজছেন। তবে পেটর টানে কিছু সংখ্যক জেলে নদীতে নামলেও তাদের আটক হয়ে জেল-জরিমানা গুনতে হচ্ছে হচ্ছে।
লালমোহনের বাতির খাল মৎস্য ঘাটের মোঃ আলমগীর মাঝি জানান,আমার নৌকার ১৮ জন নিয়ে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত আছি।মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা ধরা দেনা থাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট দিন কাটছে।এখনো জেলে পূর্নবাসনের চাল পাইনি।
আরেক জেলের মতো সিরাজ ও মোঃ রিপন জানান, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা জাল বুনে দিন পার করছি।কবে থেকে জেলে পুর্নবাসনের চাল পাবো তা এখনও অনিশ্চিত। সরকারে কাছে আমাদের দাবী আমরা যেন দূরত্ব চাল পাই সে ব্যবস্থা করে দেয়।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, আগামী তিন-চার দিনের ভিতরে জেলেদের চাউল বিতরণ করা হবে। তখন জেলেদের এই সমস্যা আর থাকবে না।
তিনি আরো জানান, যে পরিমাণ চাল বরাদ্দ আছে।তা পরিমানের ছাড়াও কম। ২৩ হাজারোও বেশি জেলে আছে।বরাদ্দ আসছে ১১ হাজারের।যদি পরবর্তীতে বরাদ্দ আসে, তাহলে বাকি জেলেদেরকে দেয়া হবে। আর যদি না আসে তাহলে মৎস্য অফিস কি ভাবে দিবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

লালমোহনে ইলিশ ধরা বন্ধ, জেলেদের দুর্দিন

আপডেট সময় ০৮:২১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
মনজুরুল আলম, লালমোহন (ভোলা)
মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন লালমোহনের ২৩ হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে যেতে না পারায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। অভাব-অনাটন আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাদের।
জেলে পুর্নঃ বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও সেই চাল এখনও পৌঁছায়নি জেলেদের কাছে। এতে কস্টে আছেন জেলেরা। উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার জেলে থাকলেও এবার চাল বরাদ্দ আসছে ১১ হাজার জেলে নামে। এতে ১২ হাজার জেলে পূর্নবাসনের চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মত এ বছরও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ সহ সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশ মানতে নদীতে যেতে পারছেন না জেলেরা। জাল-নৌকা তুলে ঘাটে নিয়ে রেখেছেন। কেউ বা বিকল্প পেশা খুজছেন। তবে পেটর টানে কিছু সংখ্যক জেলে নদীতে নামলেও তাদের আটক হয়ে জেল-জরিমানা গুনতে হচ্ছে হচ্ছে।
লালমোহনের বাতির খাল মৎস্য ঘাটের মোঃ আলমগীর মাঝি জানান,আমার নৌকার ১৮ জন নিয়ে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত আছি।মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা ধরা দেনা থাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট দিন কাটছে।এখনো জেলে পূর্নবাসনের চাল পাইনি।
আরেক জেলের মতো সিরাজ ও মোঃ রিপন জানান, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমরা জাল বুনে দিন পার করছি।কবে থেকে জেলে পুর্নবাসনের চাল পাবো তা এখনও অনিশ্চিত। সরকারে কাছে আমাদের দাবী আমরা যেন দূরত্ব চাল পাই সে ব্যবস্থা করে দেয়।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, আগামী তিন-চার দিনের ভিতরে জেলেদের চাউল বিতরণ করা হবে। তখন জেলেদের এই সমস্যা আর থাকবে না।
তিনি আরো জানান, যে পরিমাণ চাল বরাদ্দ আছে।তা পরিমানের ছাড়াও কম। ২৩ হাজারোও বেশি জেলে আছে।বরাদ্দ আসছে ১১ হাজারের।যদি পরবর্তীতে বরাদ্দ আসে, তাহলে বাকি জেলেদেরকে দেয়া হবে। আর যদি না আসে তাহলে মৎস্য অফিস কি ভাবে দিবো।