আল-আমিন হোসাইন, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পিরোজপুরে রাকিবুল হাসানের (৩০) লাশের পরিবর্তে এল একই সঙ্গে নিহত কুমিল্লার সাইফুল ইসলামের লাশ।
লাশের বক্সের গায়ে নামের ভুলের কারণে অন্যজনের লাশ নিয়ে এসেছেন বলে জানায় প্রবাসী রাকিবুলের পরিবার। রাকীবুল হাসান পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের চালনা নামাজপুর গ্রামের আ.মালেক শেখের ছেলে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার চালনা নামাজপুর গ্রামের শেখ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৫টার পর রাকিবুলের গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
রাকিবুল হাসান চালনা নামাজপুর গ্রামের আবদুল মালেক শেখের ছেলে। রাকিবুলের ছয় মাসের জমজ শিশুসহ তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে রাকিব চাকরির আশায় ওমানে পাড়ি জমান।
রাকিবের বাবা আ. মালেক শেখ জানান, গত ৬ এপ্রিল ওমান শহরে ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হন রাকিবুল হাসান ও কুমিল্লার সাইফুল ইসলাম। বুধবার সকালে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে কফিনে ঢাকা রাকিবের মৃতদেহ ফ্রিজিং গাড়িতে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে আনা হয়। এ সময় রাকিবের বাড়ির লোকজন কফিন খোলার পর অন্য একজনের লাশ দেখতে পান। পরে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারেন, নিহত রাকিবুল হাসানের সঙ্গে ওমান শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার সাইফুল ইসলাম নামে আরও এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়। একই সময় বিমানযোগে দুজনের লাশ দেশে আসে। পরে বিমানবন্দরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় রাকিবের লাশ সাইফুলের পরিবারের এবং সাইফুলের লাশ রাকিবের পরিবারের কাছে চলে আসে।
রাকিবের বাবার অভিযোগ, নাম দেখে তারা লাশ নিয়ে যান। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে তাদের পরিবারকে এই হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জ. ম মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনা শোনার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে পরিবারকে আশ্বস্থ করা হয়েছে। পরে তাৎক্ষনিক কুমিল্লার সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত রাকিবের মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়ি পিরোজপুরে এবং সাইফুলের মরদেহ বহনকারী গাড়ি কুমিল্লায় পাঠান হয়েছে।