মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মিরাজ হোসেন (২৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আশস্কজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় হামলাকারী রুম্মান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেতমোড় ইউনিয়নের পূর্ব রাজপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগীর মা আমিনা বেগম ৫ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ। আহত মিরাজ হোসেন উপজেলার পূর্ব রাজপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র, হামরাকারী রুম্মান (২৩) উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের হেমায়েতের পুত্র ও সোহরাব (৪৫) পূর্ব রাজপারা গ্রামের মৃত সোবাহান খায়ের ছেলে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পূর্ব বিরোধের জেরে এজাহার নামীয় আসামিরা শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরাজ ও তার পরিবারকে উদ্দ্যেশ্য করে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ।

মিরাজ এতে বাধা দিলে রুম্মান ও সোহরাব তাদের দলবল নিয়ে মিরাজ ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়।এসময় আসামী রুম্মান তার হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে মিরাজের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে মিরাজের মাথা ও কান মারত্মক জখম হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। আটক করা হয় একজনকে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

আহতের মা আমিনা বেগম জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালান হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ কবির হোসেন বলেন,উভয় পক্ষের বিরোধের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুরোধ করলে পক্ষ দ্বয় প্রথমে যার যার বাড়ি চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আমি সমাধানের উদ্দেশ্যে মিরাজের পিতা ও প্রতিপক্ষ সোহরাবকে ডাকি তখন হঠাৎ আমার বাধা ও অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ সোহরাবের ভাগিনা রুম্মান মিরাজের পিতার উপরে হামলা চালায়, এতে পুনরায় উভয়পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়, তখন মিরাজ গুরুতর জখম হয়।

মঠবাড়িয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মারামারির ঘটনায় এজাহার নামীয় প্রধান আসামি রুম্মান ওরফে হাসানকে শুক্রবার রাতে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।