বাংলাদেশ ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ।।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • ১৬৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 কুুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়ী-ঘরে হামলা, ভাঙ্গচুর-লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ অক্টোবর/২২ইং রাত আনুমানিক ৮ টায় উপজেলার তিস্তানদীর উপকন্ঠে কর্পূরা চাপরার পাড় নামক গ্রামে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  
প্রাপ্ত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ঐ গ্রামের মৃত মোবারক আলীর প্রতিবন্ধী পুত্র আঃ মজিদ (৬০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী কর্পূরা কদমতলা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র আঃ হান্নান ও তার ছেলে একরামুলের জমির ভাগ- বাটোয়ারা  নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসলে আঃ হান্নান গং বিভিন্ন সময় আঃ মজিদ ও তার পবিরারের লোকজনকে  প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসে।
এমতাবস্তায় বিগত ৮ সেপ্টেবর/২২ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টায় আঃ হান্নান তার পুত্র একরামুলের সহায়তায় আঃ মজিদকে কৌশলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তিস্তা নদীর দূর্গম চরের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যেতে ধরলে আঃ মজিদ তা বুঝতে পেরে প্রাণ বাঁচাতে কৌশলে সেখান থেকে নিকটস্থ একটি বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেয়। আঃ হান্নান ও একরামুল পিছনে ধাঁওয়া করে মার-মার, ধর-ধর শব্দে ঐ বাড়ীতে প্রবেশ করে আঃ মজিদের উপর হামলে পরে এবং বেধরক কিলঘুসি-মারপিট করে এক পর্যায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে গলা চিপে ধরে  মজিদ হত্যার চেষ্টা করা হয় । 
এ সময় স্থানীয়রা শোরগোল শোনে দৌঁড়ে এসে আঃ মজিদকে উদ্ধার করে অসুস্থ্য অবস্থায় উলিপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় আঃ মজিদ পরের দিন উলিপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা একাধীকবার আপোষের চেষ্টা করলেও আঃ হান্নান তা মানেনি, উপরন্ত থানায় অভিযোগ করায় আঃ মজিদ ও তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরে।
এরোই ধারাবাহীগতায় ঘটনার দিন গত ২৪ অক্টবর/২২ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় আঃ মজিদসহ গ্রামের লোকজন স্থানীয় বাজারে অবস্থান করার সুযোগে আঃ হান্নান ও একরামুল তাদের সঙ্গীয় গুন্ডা বাহিনী নিয়ে স্বদল বলে আসহায় আঃ মজিদের বাড়ী-ঘরে হামলা করে  ভাংচুর-লুটপাট করে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে।
এসময় আঃ মজিদের স্ত্রী রওশনারা বেগম তাদের হেন কর্মকান্ডে বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করে পরনের কাপরসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে টেনে-হেচড়ে  শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গায়ের স্বর্ণলোঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যপারে পরের দিন ২৬ অক্টবর আঃ মজিদ বাদী হয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে অসহায় পরিবারটির মাঝে ভূমি দস্যু হান্নান বাহিনীর আক্রমনের আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়ছে। সৃষ্ট এ ঘটনার পর ঐ এলাকায় টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করায় যে কোনো সময় একটি বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘের আসঙ্কা করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ।।

আপডেট সময় ০৭:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

 

 

 

 কুুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়ী-ঘরে হামলা, ভাঙ্গচুর-লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ অক্টোবর/২২ইং রাত আনুমানিক ৮ টায় উপজেলার তিস্তানদীর উপকন্ঠে কর্পূরা চাপরার পাড় নামক গ্রামে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  
প্রাপ্ত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ঐ গ্রামের মৃত মোবারক আলীর প্রতিবন্ধী পুত্র আঃ মজিদ (৬০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী কর্পূরা কদমতলা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের পুত্র আঃ হান্নান ও তার ছেলে একরামুলের জমির ভাগ- বাটোয়ারা  নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসলে আঃ হান্নান গং বিভিন্ন সময় আঃ মজিদ ও তার পবিরারের লোকজনকে  প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসে।
এমতাবস্তায় বিগত ৮ সেপ্টেবর/২২ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টায় আঃ হান্নান তার পুত্র একরামুলের সহায়তায় আঃ মজিদকে কৌশলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তিস্তা নদীর দূর্গম চরের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যেতে ধরলে আঃ মজিদ তা বুঝতে পেরে প্রাণ বাঁচাতে কৌশলে সেখান থেকে নিকটস্থ একটি বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেয়। আঃ হান্নান ও একরামুল পিছনে ধাঁওয়া করে মার-মার, ধর-ধর শব্দে ঐ বাড়ীতে প্রবেশ করে আঃ মজিদের উপর হামলে পরে এবং বেধরক কিলঘুসি-মারপিট করে এক পর্যায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে গলা চিপে ধরে  মজিদ হত্যার চেষ্টা করা হয় । 
এ সময় স্থানীয়রা শোরগোল শোনে দৌঁড়ে এসে আঃ মজিদকে উদ্ধার করে অসুস্থ্য অবস্থায় উলিপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় আঃ মজিদ পরের দিন উলিপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা একাধীকবার আপোষের চেষ্টা করলেও আঃ হান্নান তা মানেনি, উপরন্ত থানায় অভিযোগ করায় আঃ মজিদ ও তার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পরে।
এরোই ধারাবাহীগতায় ঘটনার দিন গত ২৪ অক্টবর/২২ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় আঃ মজিদসহ গ্রামের লোকজন স্থানীয় বাজারে অবস্থান করার সুযোগে আঃ হান্নান ও একরামুল তাদের সঙ্গীয় গুন্ডা বাহিনী নিয়ে স্বদল বলে আসহায় আঃ মজিদের বাড়ী-ঘরে হামলা করে  ভাংচুর-লুটপাট করে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি সাধন করে।
এসময় আঃ মজিদের স্ত্রী রওশনারা বেগম তাদের হেন কর্মকান্ডে বাঁধা নিষেধ করলে তাকে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করে পরনের কাপরসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে টেনে-হেচড়ে  শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং গায়ের স্বর্ণলোঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যপারে পরের দিন ২৬ অক্টবর আঃ মজিদ বাদী হয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বর্তমানে অসহায় পরিবারটির মাঝে ভূমি দস্যু হান্নান বাহিনীর আক্রমনের আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়ছে। সৃষ্ট এ ঘটনার পর ঐ এলাকায় টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করায় যে কোনো সময় একটি বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘের আসঙ্কা করা হয়েছে।