বাংলাদেশ ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

শাহজাদপুরে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ দু’বছরেই ভেঙে গেছে।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭২৯ বার পড়া হয়েছে

শাহজাদপুরে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ দু’বছরেই ভেঙে গেছে।

মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রূপসী-ঘাটাবাড়ি-জালালপুর সড়কের ঘাটাবাড়ি এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কং ক্রিট ব্রিজটি গত বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া ব্রীজটি এখন ওই এলাকার ৫ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের কারণ। এ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে রিক্সা-ভ্যান,সিএনজি ছাড়াও পণ্যবাহী পরিবহণ চলাচল করতে পারছেনা।

ফলে জনদূর্ভোগেরযেন শেষ নেই। এলাকাবাসী জানান, সম্পূর্ণ অপরিকিল্পতভাবে গত আড়াই  বছর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্য কংক্রিট ব্রিজটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই সামান্য পানির চাপে ব্রিজের দুই পাশের মাটি ধসে যায়। গত বন্যার পানি কমে যাওয়ার সময় ব্রিজটির মাঝ বরাবর ভেঙে দুই সাইডে হেলে যায়। ব্রীজের উত্তর দক্ষিণ পাশে সৃষ্টি হয় বিশাল দুটি গর্ত আর এতেই যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের । ব্রীজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার এবং  ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় ব্রীজটির করুন দশা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, গত বন্যার পানির চাপে ব্রিজটির দুই পাশের মাঠি ধসে যায়। এরপর ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে নতুন করে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করা না হলে বছরের পর বছর এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এছাড়া এ সড়কের আরও দুটি স্থানে গত বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। এ দুটি স্থানও দ্রুত সময়ের মধ্যে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে।
এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি পিআইও সাহেবকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পর  ওইখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করার কথা ছিল । এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা। ফলে এ অঞ্চলের হাজারও মানুষের দূর্ভোগ কমছেনা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই সময় ব্রিজটি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও বন্যার পানির চাপে ব্রীজটির শেষ রক্ষা হয়নি। বিষয়টি আমরা অবগত খুব শীঘ্রই ওই খানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

শাহজাদপুরে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজ দু’বছরেই ভেঙে গেছে।

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রূপসী-ঘাটাবাড়ি-জালালপুর সড়কের ঘাটাবাড়ি এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কং ক্রিট ব্রিজটি গত বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া ব্রীজটি এখন ওই এলাকার ৫ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের কারণ। এ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে রিক্সা-ভ্যান,সিএনজি ছাড়াও পণ্যবাহী পরিবহণ চলাচল করতে পারছেনা।

ফলে জনদূর্ভোগেরযেন শেষ নেই। এলাকাবাসী জানান, সম্পূর্ণ অপরিকিল্পতভাবে গত আড়াই  বছর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্য কংক্রিট ব্রিজটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই সামান্য পানির চাপে ব্রিজের দুই পাশের মাটি ধসে যায়। গত বন্যার পানি কমে যাওয়ার সময় ব্রিজটির মাঝ বরাবর ভেঙে দুই সাইডে হেলে যায়। ব্রীজের উত্তর দক্ষিণ পাশে সৃষ্টি হয় বিশাল দুটি গর্ত আর এতেই যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় এলাকার হাজার হাজার মানুষের । ব্রীজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার এবং  ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় ব্রীজটির করুন দশা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, গত বন্যার পানির চাপে ব্রিজটির দুই পাশের মাঠি ধসে যায়। এরপর ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে নতুন করে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করা না হলে বছরের পর বছর এলাকাবাসীর যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এছাড়া এ সড়কের আরও দুটি স্থানে গত বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। এ দুটি স্থানও দ্রুত সময়ের মধ্যে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে।
এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি পিআইও সাহেবকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পর  ওইখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করার কথা ছিল । এখন পর্যন্ত তার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা। ফলে এ অঞ্চলের হাজারও মানুষের দূর্ভোগ কমছেনা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই সময় ব্রিজটি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও বন্যার পানির চাপে ব্রীজটির শেষ রক্ষা হয়নি। বিষয়টি আমরা অবগত খুব শীঘ্রই ওই খানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।