প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর কাজ পাঁচমাস আগে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সম্মানীর টাকা দিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্মানীর দাবিতে গত ২২ মে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জরিপকারীরা আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, গত ২০২০ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য ৪৮ জন নলকূপ পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
উপজেলায় মোট ২০ হাজার নলকুপ পরীক্ষা করার কথা। নিয়োগকৃতদের প্রতি ২ জনকে নিয়ে টিম করে প্রতি ইউনিয়নে ৩টি টিমের ৬ জন পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের প্রতি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫ শত নলকূপ পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়।
প্রকল্পটি ২০২০ সালে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে জানুয়ারিতে প্রকল্প সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্মানীবাবদ প্রতি নলকূপে ১শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। সুত্রমতে জানুয়ারিতেই ১১ হাজার ২৪৫ টি নলকুপ পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রাজু আাহম্মেদ নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার সহকর্মী মনিরা খাতুন ৫৯৯ টি নলকূপ পরীক্ষা করেছি । তাতে আমাদের দুজনের ৫৯ হাজার ৯০০টাকা পাওনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে ৮ হাজার ৪০০ টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা কবে পাব তা জানি না। সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে জেসমিন আরা জুই ও রাহাজুল মিনা জানান, জানুয়ারি মাসে পরীক্ষক হিসাবে কাজ করছি আমরা দুজনে ৬০০টি নলকূপ পরিক্ষা করেছি। দুজনে ৬০ হাজার টাকা পাব কিন্তু পেয়েছি ৮ হাজার ৪০০ টাকা। কয়েকবার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে ধন্না দিলে তিনি বলেন টাকা এখনও আসেনি, আসলে পেয়ে যাবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: মাহ্মুদুল আলা বলেন, অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর টাকা, এই অর্থ বছরে যা এসেছে তাই দিয়েছি, সামনের অর্থ বছরের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে।
এবিষয়ে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: জাহিদ পারভেজ বলেন, জরিপকারীদের কিছু টাকা দিয়েছি ফান্ড সংকটের কারনে বাকি টাকা দিতে দেরি হচ্ছে । আশা করা যাচ্ছে জুলাই মাসের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে ।