বাংলাদেশ ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

অভয়নগরে মাঠকর্মীদের সম্মানী পরিশোধে কালক্ষেপণ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ১৬৭৮ বার পড়া হয়েছে
 প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর কাজ পাঁচমাস আগে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সম্মানীর টাকা দিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্মানীর দাবিতে গত ২২ মে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জরিপকারীরা আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, গত ২০২০ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য ৪৮ জন নলকূপ পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
উপজেলায় মোট ২০ হাজার নলকুপ পরীক্ষা করার কথা। নিয়োগকৃতদের প্রতি ২ জনকে নিয়ে টিম করে প্রতি ইউনিয়নে ৩টি টিমের ৬ জন পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের প্রতি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫ শত নলকূপ পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়।
প্রকল্পটি ২০২০ সালে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে জানুয়ারিতে প্রকল্প সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্মানীবাবদ  প্রতি নলকূপে ১শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। সুত্রমতে জানুয়ারিতেই ১১ হাজার ২৪৫ টি নলকুপ পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
 উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রাজু আাহম্মেদ নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার  সহকর্মী মনিরা খাতুন ৫৯৯ টি নলকূপ পরীক্ষা করেছি । তাতে আমাদের দুজনের ৫৯ হাজার ৯০০টাকা পাওনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে ৮ হাজার ৪০০ টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা কবে পাব তা জানি না। সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে জেসমিন আরা জুই ও রাহাজুল মিনা জানান, জানুয়ারি মাসে পরীক্ষক হিসাবে কাজ করছি আমরা দুজনে ৬০০টি নলকূপ পরিক্ষা করেছি। দুজনে ৬০ হাজার টাকা পাব কিন্তু পেয়েছি ৮ হাজার ৪০০ টাকা। কয়েকবার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে ধন্না দিলে তিনি বলেন টাকা এখনও আসেনি, আসলে পেয়ে যাবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: মাহ্মুদুল আলা বলেন, অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর টাকা, এই অর্থ বছরে যা এসেছে তাই দিয়েছি, সামনের অর্থ বছরের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে।
এবিষয়ে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: জাহিদ পারভেজ বলেন, জরিপকারীদের কিছু টাকা দিয়েছি ফান্ড সংকটের কারনে বাকি টাকা দিতে দেরি হচ্ছে । আশা করা যাচ্ছে জুলাই মাসের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

অভয়নগরে মাঠকর্মীদের সম্মানী পরিশোধে কালক্ষেপণ

আপডেট সময় ১০:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
 প্রিয়ব্রত ধর, অভয়নগর যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর কাজ পাঁচমাস আগে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সম্মানীর টাকা দিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্মানীর দাবিতে গত ২২ মে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জরিপকারীরা আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, গত ২০২০ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় অভয়নগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে আর্সেনিক পরীক্ষার জন্য ৪৮ জন নলকূপ পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
উপজেলায় মোট ২০ হাজার নলকুপ পরীক্ষা করার কথা। নিয়োগকৃতদের প্রতি ২ জনকে নিয়ে টিম করে প্রতি ইউনিয়নে ৩টি টিমের ৬ জন পরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের প্রতি ইউনিয়নে ২ হাজার ৫ শত নলকূপ পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হয়।
প্রকল্পটি ২০২০ সালে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে জানুয়ারিতে প্রকল্প সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সম্মানীবাবদ  প্রতি নলকূপে ১শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। সুত্রমতে জানুয়ারিতেই ১১ হাজার ২৪৫ টি নলকুপ পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
 উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের রাজু আাহম্মেদ নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার  সহকর্মী মনিরা খাতুন ৫৯৯ টি নলকূপ পরীক্ষা করেছি । তাতে আমাদের দুজনের ৫৯ হাজার ৯০০টাকা পাওনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে ৮ হাজার ৪০০ টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা কবে পাব তা জানি না। সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে জেসমিন আরা জুই ও রাহাজুল মিনা জানান, জানুয়ারি মাসে পরীক্ষক হিসাবে কাজ করছি আমরা দুজনে ৬০০টি নলকূপ পরিক্ষা করেছি। দুজনে ৬০ হাজার টাকা পাব কিন্তু পেয়েছি ৮ হাজার ৪০০ টাকা। কয়েকবার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে ধন্না দিলে তিনি বলেন টাকা এখনও আসেনি, আসলে পেয়ে যাবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: মাহ্মুদুল আলা বলেন, অভয়নগরে আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতাধীন ৪৮ জন মাঠ জরিপকারীর টাকা, এই অর্থ বছরে যা এসেছে তাই দিয়েছি, সামনের অর্থ বছরের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে।
এবিষয়ে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: জাহিদ পারভেজ বলেন, জরিপকারীদের কিছু টাকা দিয়েছি ফান্ড সংকটের কারনে বাকি টাকা দিতে দেরি হচ্ছে । আশা করা যাচ্ছে জুলাই মাসের মধ্যে সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে ।