জবি প্রতিনিধি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। এ দেশের উন্নয়নের জোয়ার এবং শেখ হাসিনা সরকারের জোয়ার কেউ থামাতে পারবে না।
আজ (রোববার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগ কর্তৃক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, জগন্নাথের নাম শুনলেই আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন হয়েছে আজ, তার সবকিছুই ছাত্রলীগের অর্জন। ছাত্রলীগ কাউকে ভয় করে না এবং রাজপথে লড়াই করতে জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যার কালো দাগটি হয়তো সমস্ত বঙ্গপসাগরের পানি দিয়ে মুছে যাবে না। তিনি যখন দেশে ফিরে এসেছে তখন সারাদেশের মানুষ নতুন করে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন, কোভিড মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রথম। শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা, রেমিট্যান্সসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণে আজ বাংলাদেশ। আজ সেই গ্রামীন জনগোষ্ঠী থেকে সকলের কাছে বঙ্গবন্ধুর বেটি অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এজন্য দেশে-বিদেশে আজ পর্যন্ত ৪০টির বেশি সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. কাজী মো. নাজিবুল্লাহ হিরু বলেন, সেদিন আকাশভাঙ্গা কান্নার মধ্য দিয়ে লাখো লাখো মানুষের চোখের জলের বিনিময়ে নিজের চোখের জল পেলে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন নতুন বাংলাদেশের। তিনি বলেছিলেন, বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত দিবেন, এই দেশ থেকে বিচারহীনতা দূর করবেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে এদেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকে সারা বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন বিশ্বনেত্রী।
তিনি আরও বলেন, আজকে আবারও শিক্ষাঙ্গনকে উত্তপ্ত করা চেষ্টা চলছে। আমি অত্যান্ত শংকিত আবারও শিক্ষাঙ্গনে সেই ২০১৪ সনের অগ্নি সন্ত্রাস ফিরে আসে কিনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল ভাই-বোনদের এবিষয় সর্তক থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা রক্তের হোলিখেলায় পিচ্ছিল পথগুলো যখন রক্তাক্ত ছিল তিনি তখন ফিরে এসেছেন তখন মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনার স্বপ্নের আশা জাগিয়ে তুলেন। সেইদিন কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২১ বছরের মতো ভ্যানগার্ড হয়ে তার পাশে ছিলেন।
এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শেখ হাসিনার জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি সরকার ২০০১ -২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। তারা আজ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দেখে ভয়ে থমকে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। তারা এতো বছরের ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন দেশে কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের উদহারন দিতে পারে না। রাজনীতিতে শেখ হাসিনা শুধু চমক নয়, উন্নয়নে তিনি চমক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় এবং ইব্রাহিম ফরাজির সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন, সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ও সভাপতি আল – নাহিয়ান খান জয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
এসময় নতুন ক্যাম্পাসের প্রসঙ্গে কোষাধ্যক্ষ একটা পুলিশ ফাঁড়ির তৈরি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তা দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেন এবং প্রয়োজনে সেখানে একটি থানা বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।