দীর্ঘ ২৫ বছর অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বৌলাই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার।

বুধবার (২৫ মে) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলন কে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড.আতাউর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাউছার, সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, কিশোরগঞ্জ জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড, মোঃ জিল্লুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এম. এ আফজল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ সংসদ সদস্য,আলহাজ্ব আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, জেলা আ.লীগের সদস্য কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট জিল্লুর রহমান। এতে সভাপতি পদে ১৩জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯জন প্রার্থী হন। তাদের মধ্য থেকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আলোচনা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন মির্জা আজম এমপি।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। এতে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ১১টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন। নেতাকর্মীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

এর আগে ২৫ বছর পর হতে যাওয়া সম্মেলন কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। সম্মেলন কে ঘিরে আওয়ামী লীগের একাধিক গ্রুপ পকেট কমিটি উল্লেখ করে কাউন্সিলরদের তালিকা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন কে ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে নানা জল্পনা কল্পনা ও ক্ষোভ থাকলেও অবশেষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন শেষ হয়।