বাংলাদেশ ১২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
 রোগ মুক্তি কামনায় ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের  উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মায়ের হত্যার বিচার করতে, বিপাশা হতে চায় পুলিশ বিএনপি জামায়াত সবাই কইব বিয়া কর-বিয়া কর, চুন কিন্তু কেউ দিত না নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত  খনিজ পদার্থের সন্ধানে পীরগঞ্জে কূপ খনন উদ্বোধন পিরোজপুরের নেছারাবাদে অসহায় ও দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব  রাঙ্গাবালীতে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম এর আহ্বায়ক কমিটি গঠন নেত্রকোণা সংসদীয়  ৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ৩৬ জন মধুপুরে আবারও বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম রাজস্থীতে শান্তি চুক্তি ২৬ বছর পূর্তি উদযাপন  কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় রায়গঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ভূট্টা চাষ নেত্রকোণায় মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম শীর্ষক জেলা কর্মশালা শেষ হলো ফেনী ইউনিভার্সিটি সিএসই ডিপার্টমেন্টের শীত উৎসবের  এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে সিলেট শিবিরের সংবর্ধনা

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি নিয়ম না মেনে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খনন। জমি মালিকদের প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে ওই পুকুর খননের কাজ। ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত প্রায় এক দশক ধরে উপজেলার চিহ্নিত ১৫-২০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে যাচ্ছেন। এতে প্রায় এক দশকে উপজেলার অন্তত ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। তবে সিন্ডিকেট চক্রের দাবি উপজেলা প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েই করা হচ্ছে পুকুর খনন। তবে তারা কেউই লিখিত কোনো অনুমতিপত্র বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণের পরিসংখ্যান মতে, ২০১১ সালে উপজেলা জুড়ে কৃষি জমির পরিমান ছিল ১৬৬০৯ হেক্টর। ওই সালে কমেছে ৭০ হেক্টর, ২০১২ সালে ৮০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৯৫, ২০১৪ সালে ১০৫, ২০১৫ সালে ১২০, ২০১৬ সালে ১৩০, ২০১৭ সালে ১১৫ হেক্টর এবং ১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ হেক্টর। এতে ২০১১-২০২২ সাল পর্যন্ত পুকুর খননের কারণে উপজেলা জুড়ে কমেছে প্রায় ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধা দিলেও বন্ধ হয়না পুকুর খনন। সাময়িক বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরে আবার শুরু হয়। আর কৃষি জমির পাশে পুকুর হলে পাশের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বাধ্য হয়েই সিন্ডিকেট চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে করতে হয় পুকুর খনন। তাই এই সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এমনভাবে চলতে থাকলে উপজেলাজুড়ে হয়তো একদিন কৃষি জমির ব্যাপক সংকট দেখা দিবে এমনটি মনে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনর রশিদ বলেন, পুকুর খনন রোধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ফসলের নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের কারণে এখনো চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ঠিক রয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তমাল হোসেন বলেন, পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইনি নীতিমালা অনুযায়ী পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। এছাড়া এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।

 রোগ মুক্তি কামনায় ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের  উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
 স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি নিয়ম না মেনে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খনন। জমি মালিকদের প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে ওই পুকুর খননের কাজ। ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত প্রায় এক দশক ধরে উপজেলার চিহ্নিত ১৫-২০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে যাচ্ছেন। এতে প্রায় এক দশকে উপজেলার অন্তত ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। তবে সিন্ডিকেট চক্রের দাবি উপজেলা প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েই করা হচ্ছে পুকুর খনন। তবে তারা কেউই লিখিত কোনো অনুমতিপত্র বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণের পরিসংখ্যান মতে, ২০১১ সালে উপজেলা জুড়ে কৃষি জমির পরিমান ছিল ১৬৬০৯ হেক্টর। ওই সালে কমেছে ৭০ হেক্টর, ২০১২ সালে ৮০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৯৫, ২০১৪ সালে ১০৫, ২০১৫ সালে ১২০, ২০১৬ সালে ১৩০, ২০১৭ সালে ১১৫ হেক্টর এবং ১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ হেক্টর। এতে ২০১১-২০২২ সাল পর্যন্ত পুকুর খননের কারণে উপজেলা জুড়ে কমেছে প্রায় ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধা দিলেও বন্ধ হয়না পুকুর খনন। সাময়িক বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরে আবার শুরু হয়। আর কৃষি জমির পাশে পুকুর হলে পাশের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বাধ্য হয়েই সিন্ডিকেট চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে করতে হয় পুকুর খনন। তাই এই সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এমনভাবে চলতে থাকলে উপজেলাজুড়ে হয়তো একদিন কৃষি জমির ব্যাপক সংকট দেখা দিবে এমনটি মনে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনর রশিদ বলেন, পুকুর খনন রোধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ফসলের নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের কারণে এখনো চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ঠিক রয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তমাল হোসেন বলেন, পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইনি নীতিমালা অনুযায়ী পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। এছাড়া এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।