বাংলাদেশ ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক চকরিয়ায় নদীতে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সিডিয়ের জনসমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা  ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় শিশু আহত

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৭০ বার পড়া হয়েছে

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

 স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি নিয়ম না মেনে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খনন। জমি মালিকদের প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে ওই পুকুর খননের কাজ। ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত প্রায় এক দশক ধরে উপজেলার চিহ্নিত ১৫-২০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে যাচ্ছেন। এতে প্রায় এক দশকে উপজেলার অন্তত ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। তবে সিন্ডিকেট চক্রের দাবি উপজেলা প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েই করা হচ্ছে পুকুর খনন। তবে তারা কেউই লিখিত কোনো অনুমতিপত্র বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণের পরিসংখ্যান মতে, ২০১১ সালে উপজেলা জুড়ে কৃষি জমির পরিমান ছিল ১৬৬০৯ হেক্টর। ওই সালে কমেছে ৭০ হেক্টর, ২০১২ সালে ৮০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৯৫, ২০১৪ সালে ১০৫, ২০১৫ সালে ১২০, ২০১৬ সালে ১৩০, ২০১৭ সালে ১১৫ হেক্টর এবং ১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ হেক্টর। এতে ২০১১-২০২২ সাল পর্যন্ত পুকুর খননের কারণে উপজেলা জুড়ে কমেছে প্রায় ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধা দিলেও বন্ধ হয়না পুকুর খনন। সাময়িক বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরে আবার শুরু হয়। আর কৃষি জমির পাশে পুকুর হলে পাশের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বাধ্য হয়েই সিন্ডিকেট চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে করতে হয় পুকুর খনন। তাই এই সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এমনভাবে চলতে থাকলে উপজেলাজুড়ে হয়তো একদিন কৃষি জমির ব্যাপক সংকট দেখা দিবে এমনটি মনে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনর রশিদ বলেন, পুকুর খনন রোধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ফসলের নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের কারণে এখনো চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ঠিক রয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তমাল হোসেন বলেন, পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইনি নীতিমালা অনুযায়ী পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। এছাড়া এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’

নাটোরে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন হুমকিতে কৃষি জমি

আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
 স্টাফ রিপোর্টার নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি নিয়ম না মেনে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে চলছে পুকুর খনন। জমি মালিকদের প্রলোভন দেখিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছে ওই পুকুর খননের কাজ। ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত প্রায় এক দশক ধরে উপজেলার চিহ্নিত ১৫-২০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র কৃষকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একের পর এক কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে যাচ্ছেন। এতে প্রায় এক দশকে উপজেলার অন্তত ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি কমেছে। তবে সিন্ডিকেট চক্রের দাবি উপজেলা প্রশাসনের কাছে থেকে অনুমতি নিয়েই করা হচ্ছে পুকুর খনন। তবে তারা কেউই লিখিত কোনো অনুমতিপত্র বা প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
গুরুদাসপুর কৃষি সম্প্রসারণের পরিসংখ্যান মতে, ২০১১ সালে উপজেলা জুড়ে কৃষি জমির পরিমান ছিল ১৬৬০৯ হেক্টর। ওই সালে কমেছে ৭০ হেক্টর, ২০১২ সালে ৮০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৯৫, ২০১৪ সালে ১০৫, ২০১৫ সালে ১২০, ২০১৬ সালে ১৩০, ২০১৭ সালে ১১৫ হেক্টর এবং ১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ হেক্টর। এতে ২০১১-২০২২ সাল পর্যন্ত পুকুর খননের কারণে উপজেলা জুড়ে কমেছে প্রায় ১২’শ হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধা দিলেও বন্ধ হয়না পুকুর খনন। সাময়িক বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরে আবার শুরু হয়। আর কৃষি জমির পাশে পুকুর হলে পাশের জমিগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বাধ্য হয়েই সিন্ডিকেট চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে করতে হয় পুকুর খনন। তাই এই সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। এমনভাবে চলতে থাকলে উপজেলাজুড়ে হয়তো একদিন কৃষি জমির ব্যাপক সংকট দেখা দিবে এমনটি মনে করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনর রশিদ বলেন, পুকুর খনন রোধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ফসলের নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের কারণে এখনো চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ঠিক রয়েছে। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তমাল হোসেন বলেন, পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইনি নীতিমালা অনুযায়ী পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। এছাড়া এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।