রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম)-
মিঠাপুকুরে দিনদুপুরে প্রাইভেট কার ছিনতাইয়ের চেষ্টায় ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত করলে পথচারীরা বুঝতে পেয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দিলে দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায় এবং এক ছিনতাইকারীকে জনগণ আটক করে।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর দু-টায় মিঠাপুকুরের বলদীপুকুর আনোয়ার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনাঘটে। এ ঘটনায় ড্রাইভার রিপন আহত হন।পরে তাকে পুলিশ উব্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহ এবং ড্রাইভার রিপনের চিৎকারে তারা এগিয়ে এসে দেখেন ছিনতাইকারী এবং ড্রাইভারের মধ্যে হাতাহাতি চলছে।ছিনতাইকারীদের হাতে ছুরি দিয়ে ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।এসময় পথচারীরা এগিয়ে আসলে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে একজনকে ধাওয়া দিয়ে অভিরামনুরপুর ছ”মিল সংলগ্ন আটক করা হয়।আটককৃত ঐ যুবকের নাম আরাফাত (২০) সে উপজেলার ছড়ান বাজারের রুহুল আমিনের ছেলে।
ড্রাইভার রিপন জানান,ফুলবাড়ি থেকে তিন যুবক রংপুর মর্ডাণ মোড় যাওয়ার কথা বলে তার প্রাইভেটকারটি দুই হাজার টাকায় ভাড়া করেন। কিন্তু বলদিপুকুর সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তায় প্রসাব করার কথা বলে তার গলা এবং পিছনে ছুরি ধরে ছিনতাইকারীরা।বাঁধা দিতে গেলে হাতে এবং শরীরে ছুরিকাঘাত করে।ধস্তাধস্তিতে তার হাত কেটে এবং গলায় সামান্য কাটা জখম হয়। পরে পথচারীরা তাকে উব্ধার করে।একটু দেরী হলে তাকে হত্যা করে প্রাইভেটকারটি নিয়ে যেতো ছিনতাইকারীরা।
ঘটনার পরপর মিঠাপুকুর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে গণধোলাইয়ের হাত থেকে ছিনতাইকারী আরাফাতকে উব্ধার করে এবং ছিনতাইয়ের সরঞ্জাম চাকু,পুলিশের স্টীকার সংবলিত ব্যাগ,দড়ি,কসটেপ জব্দ করে। ছিনতাইে জড়িত বাকীদের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ জানান।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিঠাপুকুর থানা পুলিশের এসআই ইমরান আমার সংবাদকে জানান,আমরা ছিনতাইকারীকে থানায় নেওয়ার পর জানাতে পারবো,কারা জড়িত।পুলিশের স্টীকার কিভাবে আসলো এবং মূল পরিকল্পনা কি।