বাংলাদেশ ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

ভূরুঙ্গামারীতে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন, চড়া মূল্যেও মিলছে না কৃষি শ্রমিক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ১৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

ভূরুঙ্গামারীতে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন, চড়া মূল্যেও মিলছে না কৃষি শ্রমিক

 

 

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা জুড়ে বোরো ধান কাটা মারায়ের ভরা মৌসুম চলছে। মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু নানা কারণে কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধানের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া, বৈরী আবহাওয়া, চড়া দামেও কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে বোরো ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ম‍ৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

 

 

 

সেখানে ১৬ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি -বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে হাইব্রীড ৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর, উফসি ৭ হাজার ৪২৮ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছেন কৃষক। আর ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯২.৯২ মেট্রিক টন।

 

 

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎপাদনের খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। আর ধানের ন‍্যায‍্য মূল‍্য না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।এই অবস্থায় কৃষকরা উচ্চ মূল্যে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার বোরো ধান চাষাবাদে লাভের মুখ দেখতে পারবে না বর্গাচাষীরা। বর্তমানে হাট-বাজারগুলোতে নতুন ধান প্রতিমণ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

 

 

 

এতে কোন মতে উৎপাদন খরচ তুলতে পারলেও লাভের মুখ দেখবে না কৃষক। উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের বর্গাচাষী রইচ উদ্দিন, মোজাম্মেল ও জয়নাল বলেন, চুক্তি ছাড়া একক কোন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এক বিঘা জমির ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকদেরকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও  এক বিঘা(৩২ শতাংশ) জমিতে চারা রোপন থেকে কাঁটা মাড়াই পর্যন্ত যত টাকা খরচ হয়েছে। উক্ত জমির মালিককে ছয় মণ ধান পরিশোধ করার পরে সবটুকু ধান বিক্রি করে খরচের টাকা তোলা সম্ভব না।

 

 

 

কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, তিন বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি। ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। চুক্তি ছাড়া কেউ দিন হাজিরা কামলা দিতে চায় না।তাই কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে সাথে নিয়ে জমিতে ধান কাটতে নামছি। ধানের দাম আশানুরুপ না। কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন‍্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সংশিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের খোঁজ খবর রেখেছি। এবার চৈত্র- বৈশাখ মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ক্ষেতের আইল কেটে বৃষ্টির পানি বের করে দেয়া, সময়মত সার কিটনাশক প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ দেয়ায় উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভূরুঙ্গামারীতে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন, চড়া মূল্যেও মিলছে না কৃষি শ্রমিক

আপডেট সময় ০৪:০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

 

 

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা জুড়ে বোরো ধান কাটা মারায়ের ভরা মৌসুম চলছে। মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু নানা কারণে কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধানের উপযুক্ত মূল্য না পাওয়া, বৈরী আবহাওয়া, চড়া দামেও কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে বোরো ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ম‍ৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

 

 

 

সেখানে ১৬ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি -বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে হাইব্রীড ৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর, উফসি ৭ হাজার ৪২৮ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছেন কৃষক। আর ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯২.৯২ মেট্রিক টন।

 

 

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শ্রমিক মজুরী বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎপাদনের খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। আর ধানের ন‍্যায‍্য মূল‍্য না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।এই অবস্থায় কৃষকরা উচ্চ মূল্যে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। এবার বোরো ধান চাষাবাদে লাভের মুখ দেখতে পারবে না বর্গাচাষীরা। বর্তমানে হাট-বাজারগুলোতে নতুন ধান প্রতিমণ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

 

 

 

এতে কোন মতে উৎপাদন খরচ তুলতে পারলেও লাভের মুখ দেখবে না কৃষক। উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের বর্গাচাষী রইচ উদ্দিন, মোজাম্মেল ও জয়নাল বলেন, চুক্তি ছাড়া একক কোন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এক বিঘা জমির ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকদেরকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও  এক বিঘা(৩২ শতাংশ) জমিতে চারা রোপন থেকে কাঁটা মাড়াই পর্যন্ত যত টাকা খরচ হয়েছে। উক্ত জমির মালিককে ছয় মণ ধান পরিশোধ করার পরে সবটুকু ধান বিক্রি করে খরচের টাকা তোলা সম্ভব না।

 

 

 

কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, তিন বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি। ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। চুক্তি ছাড়া কেউ দিন হাজিরা কামলা দিতে চায় না।তাই কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে সাথে নিয়ে জমিতে ধান কাটতে নামছি। ধানের দাম আশানুরুপ না। কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন‍্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সংশিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের খোঁজ খবর রেখেছি। এবার চৈত্র- বৈশাখ মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ক্ষেতের আইল কেটে বৃষ্টির পানি বের করে দেয়া, সময়মত সার কিটনাশক প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ দেয়ায় উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।