বাংলাদেশ ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি কুষ্টিয়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় জরায়ু মুখে ক্যানসার (এইচপিভি) টিকা নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রম্য বির্তক ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে বাস চাপায় নিহত ববি শিক্ষার্থী উত্তপ্ত ববি! ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ মাসে অচল ছয় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক ছাদ ভেঙে শ্রেণিকক্ষে খসে পড়ছে পলেস্তারা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মহিলালীগ নেত্রী ভূমিদস্যু আলেয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পংকজ কুমার হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্র নিহত, আহত ১ রামুর কচ্ছপিয়ায় সরকারি রিজার্ভের জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম

ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে

মো. হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পর্যায়ক্রমে ইমাজেন্সি ডাক্তারের সহযোগী হয়ে ডাক্তারের মাধ্যমে নিজেদের কোম্পানির ঔষধ লেখানোর সুবিধা নিচ্ছেন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদেরা। চোখের সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি নিষেধ অমান্য করে ডাক্তারের পাশের চেয়ারে বসে এমন কার্যক্রম চললেও প্রমান চায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান।

 

ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে
ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে

 

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানীর সেলস-রিপ্রেজেনটেটিভরা তাদের মটরসাইকেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যত্রতত্র রেখে অনাকাঙ্খিত জটলা করছেন। এতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। তারা হাসপাতালের ভিতরে ইমার্জেন্সিতে সরকারী চেয়ারে বসে,সরকারী রেজিষ্টারে লেখা-লেখির সহযোগীতার ওযুহাতে  কর্তব্যরত ডাক্তার তার কোম্পানির ঔষধ লিখছেন কিনা তা তদারকি করছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের ভিতরে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে রুগীদের কাছ থেকে ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নিয়ে ছবি তুলছে। সরকারী অফিস সময়ের বেশীর ভাগ সকাল ৯ থেকে ৫ টা পর্যন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসকদের চেম্বার রিপ্রেজেন্টেটিভদের দখলে থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী সাধারণ রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। রিপ্রেজেনটেটিভদের দেওয়া পরামর্শে প্রেসক্রিপশন লেখার কারনে হাসপাতালে ঔষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক রোগী।

হাসপালে সেবা নিতে আসা পৌর এলাকার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুখু মিয়া বলেন, আমি আমার ছোট বাচ্ছাকে সাথে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপালে এসেছি। এসে আধাঘন্টা ধরে ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের সামনে দাড়িয়ে আছি তারপরও ওনার ব্যাস্থতা কাটে না। পরে শুনলাম ডাক্তার সাহেব তার কক্ষে রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে কথা বলছেন।  আধাঘন্টা পর ডাক্তারকে আমার রোগী দেখালাম। ডাক্তার আমার রোগীকে ভালো করে না দেখে ঔষুধ লিখে দিলো আমি প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাহিরে আসতেই এখানে থাকা রিপ্রেজেনটেটিভরা আমার প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিলো। প্রেসক্রিপশনে যে ঔষধ লেখা হয়েছে তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না।

শিবনগর ঘাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোছা নুরজাহান বলেন, আমি আমার বোনকে নিয়ে এসেছি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছি। এখানে ডাক্তার আমার রোগী দেখে ঔষধ লিখেছে। যে ঔষধ হাসপাতালে নাই। আমরা গরিব মানুষ বাহিরে ঔষধ কেনার ক্ষমতা আমাদের নাই।  এমন অভিযোগ করছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগী ও তার পরিবারের লোকজন ।

ইমাজেন্সি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ডাক্তার শামীম বলেন, রোগীর চাপ বেশি থাকায় রিপ্রেজেনটেটিভদের সহযোগীতা নিয়ে ভর্তি রেজিষ্ট্রারে লেখিয়ে নিচ্ছি। এবিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি নেওয়া আছে। এখানে রিপ্রেজেটেটিভ দিয়ে লেখা লেখি করতে হবে কেন সমাজে আরো তো লোক আছে এমন প্রশ্ন করা হলে ডাক্তার শামীম  প্রশ্ন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

ফুলবাড়ী হাসপাতাল রিপ্রেজেটেটিভের দখলে। তারাই এখন ইমাজেন্সিতে বসে তাদের ইচ্ছে মতো ঔষধ লেখাতে পারছেন। রিপ্রেজেটেটিভেদের এমন সুবিধা আপনার অনুমোতিতে পাচ্ছে।

এমন প্রশ্ন করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডাক্তার মো. মশিউর রহমান বলেন, রিপ্রেজেটেটিভগন যাতে সব সময় হাসপাতালের ডাক্তারদের ভিজিট না করাতে আসে। সে জন্য আমি অনেক নোটিশ করেছি। রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে আলোচনা করেছি কিন্তু তারা কোন কথাই শুনতে চাননা। তারা সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হাসপাতালে আনাগোনা করে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলবো। আপনার অনুমোতিতে ইর্মাজেন্সিতে চেয়ারে বসে পর্যায়ক্রমে রিপ্রেজেনটেটিভ সরকারী রেজিষ্টারের লেখা লেখি করে এই প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার মশিউর রহমান বলেন, আমি কাউকে এমন কোন অনুমোতি দেই নাই। ইমার্জেন্সিতে রিপ্রেজেটেটিভ বসার কোন প্রশ্নই আসে না। যদি প্রমান হয়, তাহলে যে ডাক্তার বসিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিএনপি নেতার প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে

আপডেট সময় ০২:৪৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

মো. হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পর্যায়ক্রমে ইমাজেন্সি ডাক্তারের সহযোগী হয়ে ডাক্তারের মাধ্যমে নিজেদের কোম্পানির ঔষধ লেখানোর সুবিধা নিচ্ছেন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদেরা। চোখের সামনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি নিষেধ অমান্য করে ডাক্তারের পাশের চেয়ারে বসে এমন কার্যক্রম চললেও প্রমান চায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান।

 

ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে
ফুলবাড়ী সরকারি হাসপাতাল ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের দখলে

 

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানীর সেলস-রিপ্রেজেনটেটিভরা তাদের মটরসাইকেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যত্রতত্র রেখে অনাকাঙ্খিত জটলা করছেন। এতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। তারা হাসপাতালের ভিতরে ইমার্জেন্সিতে সরকারী চেয়ারে বসে,সরকারী রেজিষ্টারে লেখা-লেখির সহযোগীতার ওযুহাতে  কর্তব্যরত ডাক্তার তার কোম্পানির ঔষধ লিখছেন কিনা তা তদারকি করছেন।

এছাড়াও হাসপাতালের ভিতরে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে রুগীদের কাছ থেকে ডাক্তারী ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নিয়ে ছবি তুলছে। সরকারী অফিস সময়ের বেশীর ভাগ সকাল ৯ থেকে ৫ টা পর্যন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসকদের চেম্বার রিপ্রেজেন্টেটিভদের দখলে থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী সাধারণ রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। রিপ্রেজেনটেটিভদের দেওয়া পরামর্শে প্রেসক্রিপশন লেখার কারনে হাসপাতালে ঔষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক রোগী।

হাসপালে সেবা নিতে আসা পৌর এলাকার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দুখু মিয়া বলেন, আমি আমার ছোট বাচ্ছাকে সাথে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপালে এসেছি। এসে আধাঘন্টা ধরে ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের সামনে দাড়িয়ে আছি তারপরও ওনার ব্যাস্থতা কাটে না। পরে শুনলাম ডাক্তার সাহেব তার কক্ষে রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে কথা বলছেন।  আধাঘন্টা পর ডাক্তারকে আমার রোগী দেখালাম। ডাক্তার আমার রোগীকে ভালো করে না দেখে ঔষুধ লিখে দিলো আমি প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাহিরে আসতেই এখানে থাকা রিপ্রেজেনটেটিভরা আমার প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানা টানি শুরু করে দিলো। প্রেসক্রিপশনে যে ঔষধ লেখা হয়েছে তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না।

শিবনগর ঘাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোছা নুরজাহান বলেন, আমি আমার বোনকে নিয়ে এসেছি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছি। এখানে ডাক্তার আমার রোগী দেখে ঔষধ লিখেছে। যে ঔষধ হাসপাতালে নাই। আমরা গরিব মানুষ বাহিরে ঔষধ কেনার ক্ষমতা আমাদের নাই।  এমন অভিযোগ করছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক রোগী ও তার পরিবারের লোকজন ।

ইমাজেন্সি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ডাক্তার শামীম বলেন, রোগীর চাপ বেশি থাকায় রিপ্রেজেনটেটিভদের সহযোগীতা নিয়ে ভর্তি রেজিষ্ট্রারে লেখিয়ে নিচ্ছি। এবিষয়ে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি নেওয়া আছে। এখানে রিপ্রেজেটেটিভ দিয়ে লেখা লেখি করতে হবে কেন সমাজে আরো তো লোক আছে এমন প্রশ্ন করা হলে ডাক্তার শামীম  প্রশ্ন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

ফুলবাড়ী হাসপাতাল রিপ্রেজেটেটিভের দখলে। তারাই এখন ইমাজেন্সিতে বসে তাদের ইচ্ছে মতো ঔষধ লেখাতে পারছেন। রিপ্রেজেটেটিভেদের এমন সুবিধা আপনার অনুমোতিতে পাচ্ছে।

এমন প্রশ্ন করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডাক্তার মো. মশিউর রহমান বলেন, রিপ্রেজেটেটিভগন যাতে সব সময় হাসপাতালের ডাক্তারদের ভিজিট না করাতে আসে। সে জন্য আমি অনেক নোটিশ করেছি। রিপ্রেজেনটেটিভদের সাথে আলোচনা করেছি কিন্তু তারা কোন কথাই শুনতে চাননা। তারা সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত হাসপাতালে আনাগোনা করে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলবো। আপনার অনুমোতিতে ইর্মাজেন্সিতে চেয়ারে বসে পর্যায়ক্রমে রিপ্রেজেনটেটিভ সরকারী রেজিষ্টারের লেখা লেখি করে এই প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার মশিউর রহমান বলেন, আমি কাউকে এমন কোন অনুমোতি দেই নাই। ইমার্জেন্সিতে রিপ্রেজেটেটিভ বসার কোন প্রশ্নই আসে না। যদি প্রমান হয়, তাহলে যে ডাক্তার বসিয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।