বাংলাদেশ ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ফেসবুকে অশ্লীল ছবি প্রকাশ, মামলা হলে আসামী ধরছে না পুলিশ নওগাঁয় ফেন্সিডিল মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন দুই ঘন্টা সারাদেশের সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে পুনরায় চালু। ভূল্লীতে উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনামুল হক বিজয়ী কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন:পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ঠাকুরগাঁও পৌরঃ উপনির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন ফারজানা আক্তার পাখি তীব্র গরমে যখন বাংলাদেশ উত্তপ্ত সিলেট এত শীতল কেন ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন তীব্র গরমে ছাতা,জুস নিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকদের পাশে সমাজ সেবক সুজন ভান্ডারিয়া হাসপাতালের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ গোপালপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে মোঃ লিটন মোল্যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত নেত্রকোনায় আচরনবিধি লংঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাগর থেকে রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে রহস্যময়বস্তু মুখী নদীর পাড়ে মাদকের জমজমাট ব্যবসা।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ ও নার্সদের অবহেলায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ১৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ ও নার্সদের অবহেলায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের

 

 

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। নামেই আধুনিক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে জেলার প্রায় ২৩ লক্ষাধিক মানুষের প্রধান সরকারি চিকিৎসা সেবা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় লোকবল, ঔষধ ও উপকরণ সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে হাসপাতালটি।

 

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসক, কর্মচারী ও নার্সদের দূর্ব্যবহারে অতিষ্ট রোগী ও স্বজনরা। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত খাবার খুবই নিন্মমানের বলে অভিযোগ করেছেন বহু রোগী। অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী মাঝে মাঝে বিনা ছুটিতে থাকেন অনুপস্থিত। এ সময় দৈনিক হাজিরায় স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হয় ভাড়াটে বহিরাগতদের দিয়ে।

 

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে মাদকসেবী-ব্যবসায়ী ও দালালদের উৎপাতের বিষয়টি এখন চরম আকার ধারন করেছে। সন্ধ্যার পরপরই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বসে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মিলন মেলা। অনেক সময়ই এদের উৎপাতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। যে কারণে মাঝে মাঝে ঘটে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। শুধু তাই নয়, দালালদের দৌড়াত্ব যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাগিয়ে নিতে টানা হেঁচড়ার ঘটনা যেন নিত্যদিনের চিত্র।

 

 

 

এ কাজে দালালদের সহযোগিতা করে থাকেন খোদ কর্মকর্তা কর্মচারীরাই। তারা আরও জানান, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির অবিবেচক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের উৎপাতে চিকিৎসকরাই এখন বিব্রত। কাক ডাকা ভোর থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শুরু হয় তাদের উপচেপরা ভিড়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে রোগীদের সাথে তাদের অশ্লীল কাড়া-কাড়ির দৃশ্যটি নূন্যতম শিষ্টাচারকেও হার মানায়। হাসপাতাল সুত্র জানায়, অনেকাংশেই ভেঙ্গে পড়েছে হাসপাতালের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বা ‘চেইন অব কমান্ড’। দায়িত্ব পালনে ‘টপ টু বটম’ কেউই শুনছেন না কারো কথা। কোন্দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যে কারণে সেবা ও প্রশাসনিক কাজে সৃষ্টি হয়েছে মন্থরগতি ও চরম হযবরল অবস্থা। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। মূলত জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম টিকিয়ে রাখা হয়েছে কিঞ্চিত সেবা।

 

 

 

সুত্র আরও জানায়, হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ সার্টিফিকেট বাণিজ্য। প্যাথলজিক্যাল বিভাগ, জরুরী বিভাগ ও প্রশাসনিক শাখার কযেকজন কর্মচারীর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সার্টিফিকেট বাণিজ্যের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট । ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (এম.সি) ও ভূয়া টেস্ট রিপোর্ট সরবরাহ করে এরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ-লাখ টাকা। এ নিয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন কর্তাবাবুরা। এতে করে একদিকে যেমন আইনি মোকাবেলায় হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন নিরপরাধ মানুষ। অপরদিকে, সুবিধা নিচ্ছে অপরাধীরা।

 

 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অযত্ন আর অবহেলায় মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই ভেঙ্গে গেছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ভবনের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী। তলায় তলায় জমে আছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। কোন কোন তলায় সন্ধ্যার পর জমে উঠে মাদকসেবীদের আড্ডা।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি মেসডার সভাপতি শিমুল, সম্পাদক মোতালেব 

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের নোংরা পরিবেশ ও নার্সদের অবহেলায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের

আপডেট সময় ১২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

 

 

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। নামেই আধুনিক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে জেলার প্রায় ২৩ লক্ষাধিক মানুষের প্রধান সরকারি চিকিৎসা সেবা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় লোকবল, ঔষধ ও উপকরণ সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে হাসপাতালটি।

 

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসক, কর্মচারী ও নার্সদের দূর্ব্যবহারে অতিষ্ট রোগী ও স্বজনরা। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত খাবার খুবই নিন্মমানের বলে অভিযোগ করেছেন বহু রোগী। অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারী মাঝে মাঝে বিনা ছুটিতে থাকেন অনুপস্থিত। এ সময় দৈনিক হাজিরায় স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো হয় ভাড়াটে বহিরাগতদের দিয়ে।

 

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে মাদকসেবী-ব্যবসায়ী ও দালালদের উৎপাতের বিষয়টি এখন চরম আকার ধারন করেছে। সন্ধ্যার পরপরই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বসে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মিলন মেলা। অনেক সময়ই এদের উৎপাতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। যে কারণে মাঝে মাঝে ঘটে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। শুধু তাই নয়, দালালদের দৌড়াত্ব যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভাগিয়ে নিতে টানা হেঁচড়ার ঘটনা যেন নিত্যদিনের চিত্র।

 

 

 

এ কাজে দালালদের সহযোগিতা করে থাকেন খোদ কর্মকর্তা কর্মচারীরাই। তারা আরও জানান, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির অবিবেচক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের উৎপাতে চিকিৎসকরাই এখন বিব্রত। কাক ডাকা ভোর থেকেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শুরু হয় তাদের উপচেপরা ভিড়। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে রোগীদের সাথে তাদের অশ্লীল কাড়া-কাড়ির দৃশ্যটি নূন্যতম শিষ্টাচারকেও হার মানায়। হাসপাতাল সুত্র জানায়, অনেকাংশেই ভেঙ্গে পড়েছে হাসপাতালের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বা ‘চেইন অব কমান্ড’। দায়িত্ব পালনে ‘টপ টু বটম’ কেউই শুনছেন না কারো কথা। কোন্দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যে কারণে সেবা ও প্রশাসনিক কাজে সৃষ্টি হয়েছে মন্থরগতি ও চরম হযবরল অবস্থা। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। মূলত জোড়াতালি দিয়ে কোনরকম টিকিয়ে রাখা হয়েছে কিঞ্চিত সেবা।

 

 

 

সুত্র আরও জানায়, হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ সার্টিফিকেট বাণিজ্য। প্যাথলজিক্যাল বিভাগ, জরুরী বিভাগ ও প্রশাসনিক শাখার কযেকজন কর্মচারীর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সার্টিফিকেট বাণিজ্যের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট । ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (এম.সি) ও ভূয়া টেস্ট রিপোর্ট সরবরাহ করে এরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ-লাখ টাকা। এ নিয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন কর্তাবাবুরা। এতে করে একদিকে যেমন আইনি মোকাবেলায় হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন নিরপরাধ মানুষ। অপরদিকে, সুবিধা নিচ্ছে অপরাধীরা।

 

 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অযত্ন আর অবহেলায় মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই ভেঙ্গে গেছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ভবনের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী। তলায় তলায় জমে আছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। কোন কোন তলায় সন্ধ্যার পর জমে উঠে মাদকসেবীদের আড্ডা।