মোঃ আমিরুল ইসলাম, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন চাষিরা। এদিকে বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে এক বিঘা জমিতে আট থেকে নয় হাজার টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এবার উপজেলাজুড়ে কাটারি,ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২, ব্রি-১০০,ব্রি-২৮,
ব্রি-২৯,হাইবীড ধানসহ অন্যান্য জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, বাজারে আমন মৌসুমের ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা। ফলে সব মিলিয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।
উপজেলার মশিপুর গ্রামের কৃষক হযরত আলি জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাজারে ধানে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ জমিতেই ধান রোপন করেছেন কৃষকরা।
আরেক কৃষক ইয়ামিন ও জাফর জানান, বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ওষুধের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে বিঘা প্রতি আট থেকে নয় হাজার টাকা খরচ গুনতে হচ্ছে। এসবের দাম কমে গেলে কৃষকরা ধান চাষে অধিক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়ে গেছে। আশা করছি, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হবে।