ফারজানা আফরিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
পহেলা মে সারাবিশ্ব ব্যাপী শ্রমিকদের ঐতিহাসিক রক্তাক্ত আন্দোলনকে স্মরণীয় করার জন্য শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। শ্রমিকদের রক্তাক্ত আন্দোলন ও নিরলস প্রচেষ্টার জন্য আজকে শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০ টি দেশে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। পহেলা মে সারাদেশে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সবকিছুই বন্ধ থাকে। অন্যান্য দেশে এই দিনটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।
আমারিকার শিকাগো শহর ছিল শিল্পায়নের অন্যতম কেন্দ্র। নিজেদের ভরণপোষণের দায়ভার নেওয়ার জন্য শিকাগোতে জার্মান, ইউরোপ ও মার্কিন শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে আসতো। কিন্তু তখনকার সময়ে শ্রমিকের দিয়ে রাতদিন টানা কাজ করাতো, যেখানে তাদের সামান্য মজুরিতে কাজ করতে হতো। যেহেতো তাদের আলাদা কোনো সংগঠন ছিল না তাই তাদেরকে সব মুখ বুজে সহ্য করতে হতো।
কিন্তু একসময় শ্রমিকরা গর্জে উঠে তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রমিক সংগঠনরা একত্রিত হয়ে ১৪-১৬ ঘন্টার কাজের বেড়াজাল থেকে ৮ ঘন্টার কর্মঘন্টার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে। শ্রমিকদের দাবি ছিল ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা নিজের জন্য আর বাকি ৮ ঘন্টা নিজের জন্য।
শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ও আন্দোলন প্রচেষ্টার ফলে শ্রমিকরা ৮ ঘন্টা কর্মঘণ্টা ও ন্যায্য পারিশ্রমিক আদায়ে সক্ষম হয়েছে।