বাংলাদেশ ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসুচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরের ও বাইরের দেশি শ্রমিকরা। আজ শনিবার খনির কয়লা সরবারাহ গেটের ভিতরে ও বাইয়ে অবস্থান কর্মসুচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে পরিবারসহ তারা এই বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার তারা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুই দফা দাবী নিয়ে একটি স্মালকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রমিকরা, দাবী না মানায় এই অবস্থান কর্মসুচি করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় ভিতরের শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আমিন হোসেন, সেরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন।

 

 

 

অপরদিকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম,শ্রমিক নেতা মো.সাইফুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এদিকে আন্দোলন চলাকালে খনির ভিতরে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে দেখা করতে কয়লা সরবারাহ গেটে আসেন শ্রমিকদের স্ত্রী ও সন্তানরা। দেখা করতে আসা নাসরিন আক্তার, শিরিনা, শায়লা আক্তার নামে কয়েকজন শ্রমিকের স্ত্রী জানান,সামনে ঈদ আমাদের স্বামীদের ভিতরে কাজ করছেন, তাদের বাহিরে বের হতে দিচ্ছেন না। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।” রবিউল ইসলাম জানান,চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে মোট এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারীতে ৪০০ জন শ্রমিককে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়।

 

 

 

বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ ভেতরের শ্রমিকরদের খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ছুটি দেওয়ার সময় প্রতি মাসে শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন,ঈদ উপলক্ষে ইতমধ্যে বাহিরের ৮৫০জন শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫হাজার টাকা করে মোট ৫৫লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খনির একটি ফেস চালু রয়েছে যা শেষের পথে। তাই জনবল কম লাগছে, সেই সাথে থাকার জায়গাও কম।

 

 

 

আরো একটি ফেস চালু করার প্রস্তুতি চলছে,যা মাস দুইয়েক সময় লাগবে। ওই ফেসটি চালু হলেই বাহিরের শ্রমিকদের পর্যায় ক্রমে কাজে নেয়া হবে। ভেতরের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনির বাহিরে বের হয়ে তারা বাড়ী থেকে কাজ করতে চায়।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

চতুর্থ দিনেও বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচি পালন॥

আপডেট সময় ০৬:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

 

 

মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানের দাবিতে চতুর্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসুচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরের ও বাইরের দেশি শ্রমিকরা। আজ শনিবার খনির কয়লা সরবারাহ গেটের ভিতরে ও বাইয়ে অবস্থান কর্মসুচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। পুর্বঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টা থেকে খনির মূল ফটকে পরিবারসহ তারা এই বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার তারা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুই দফা দাবী নিয়ে একটি স্মালকলিপি দিয়ে দাবি মেনে নিতে বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শ্রমিকরা, দাবী না মানায় এই অবস্থান কর্মসুচি করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় ভিতরের শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক আমিন হোসেন, সেরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন।

 

 

 

অপরদিকে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম,শ্রমিক নেতা মো.সাইফুল ইসলাম,ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এদিকে আন্দোলন চলাকালে খনির ভিতরে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে দেখা করতে কয়লা সরবারাহ গেটে আসেন শ্রমিকদের স্ত্রী ও সন্তানরা। দেখা করতে আসা নাসরিন আক্তার, শিরিনা, শায়লা আক্তার নামে কয়েকজন শ্রমিকের স্ত্রী জানান,সামনে ঈদ আমাদের স্বামীদের ভিতরে কাজ করছেন, তাদের বাহিরে বের হতে দিচ্ছেন না। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।” রবিউল ইসলাম জানান,চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে মোট এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে কর্মরত এক হাজার ১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারীতে ৪০০ জন শ্রমিককে কাজ করার শর্তে ফেরত নেয়।

 

 

 

বাকি ৭৪৭ জনকে কাজে যোগদানের সুযোগ না দিয়ে বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। সামনে ঈদ ভেতরের শ্রমিকরদের খনির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ছুটি দেওয়ার সময় প্রতি মাসে শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। ওই টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে তা আর দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান খান বলেন,ঈদ উপলক্ষে ইতমধ্যে বাহিরের ৮৫০জন শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫হাজার টাকা করে মোট ৫৫লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খনির একটি ফেস চালু রয়েছে যা শেষের পথে। তাই জনবল কম লাগছে, সেই সাথে থাকার জায়গাও কম।

 

 

 

আরো একটি ফেস চালু করার প্রস্তুতি চলছে,যা মাস দুইয়েক সময় লাগবে। ওই ফেসটি চালু হলেই বাহিরের শ্রমিকদের পর্যায় ক্রমে কাজে নেয়া হবে। ভেতরের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খনির বাহিরে বের হয়ে তারা বাড়ী থেকে কাজ করতে চায়।