রবিউল ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ আজ জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২২। সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতেও দিবসটি পালিত হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্ম পরিবেশ, সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ’।
দিবসটি উদযাপন‘ উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল বেলা ১১ টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক চত্তরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এরপর বর্ণাঢ্য র্যালী করা হয়। র্যালী শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, সপুরা সিল্কের মালিক, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সাজ্জাদ আলী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল খাঁন চৌধুরী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক-আব্দুস সোহেল, জাতীয় শ্রমিক লীগের রাজশাহী জেলা শাখার আব্দুল্লাহ খান প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, সেফটি খাতে বিনিয়োগ মানে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন। শ্রমিকরা নিরাপদ মানে প্রতিষ্ঠান নিরাপদ। শ্রমিকদের কোন বিপদ না হলে সেই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে মালিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর অন্তর্ভুক্ত কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে ২৩টি কার্যালয় উক্ত দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে। তার অংশ হিসেবে রাজশাহী কার্যালয় বর্নাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা অভ্র শুরসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রপডাউন ব্যানার, ফেস্টুন প্লাকার্ডসহ দিবসটি পালন করেছে।
আলোচনা সভায় উপ মহাপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরসহ সকল শিল্প সেক্টরের কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে পরিদপ্তর থেকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে এবং জনবল ৩ গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। গার্মেন্টস, প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল সেক্টরের দুর্ঘটনা রোধের লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজশাহীতে Gccupational Safety and Health Institute স্থাপণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে ইতোমধ্যে সারাদেশে ৫০০০ এবং রাজশাহীতে ১৮১টি কারখানার দুর্ঘটনা রোধ করে পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট কারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ পরবর্তীতে পর্যায়ক্রম পরিদর্শন করা হবে।