ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
বুড়িচংয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ছিনতাই;আটক ২ ছিনতাইকারী তানোরে শিক্ষা বৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ তানোরে কৃতি শিক্ষার্থী ও নবীণ বরণ’বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নাগরপুরে সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত নুরতাজের ৫ম বার্ষিকী জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ কাউখালী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষনা উপলক্ষে মতবিনিময় এবং প্রেস কনফারেন্স জেলা বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রুপরেখা’ শীর্ষক সভা মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মাদ্রাসা কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ নাজিরপুরকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করতে নির্বাহী কর্মকর্তার প্রেস ব্রিফিং গৌরীপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার লক্ষে প্রেস ব্রিফিং গৌরীপুরে ছুরিকাঘাতে আহত ছাত্রলীগ সম্পাদক রাজাপুরে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ রাজাপুরে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হওয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা ও প্রেসব্রিফিং মাধবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর দগ্ধ আফজালের মৃত্যু

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূল শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পোনা নদীর পাশের্^ নদমূলা-মাঝি বাড়ী বাজার সংলগ্ন খাল ও লিয়াকত মার্কেট সংলগ্ন দাসের খালের দু-পারের প্রভাবশালীদের দখলে যাচ্ছে। ওই এলাকায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর, দোকান পাট সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সরকারি খাল দুটি দখল হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খাল দখলকারীরা অনেকেই কোনো অনুমতি নেয়নি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। সরকারি খাল দখলে কোনো প্রকার পাকা স্থাপনা করতে পারবে না বা খাল ভরাট করা যাবে না যেনেও কেউ থেমে নেই।

 

 

খাল ভরাট সহ দোকান পাট ও ভবনও নির্মাণ কওে চলছে তারা। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পাকা ভবন বা বাড়িঘর নির্মাণের কোনো বন্দোবস্ত দেয়নি। নদমূলা মাঝি বাড়ীর খাল একটি অংশ ও ৩৫০ মিটার দাসের খালের অধিকাংশ খাল দখল হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু সরকারি জায়গা দখল করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ অধিকাংশ গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, দখলদাররা প্রথমে খালের মধ্যে ছাপড়া দিয়ে তার পর কিছু কিছু জায়গায় খাল বন্ধ করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বন্ধের পথে দাসের খালটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার উপক্রম হবে। এ ছাড়া এই খালের মাধ্যমে বিভিন্ন ইরি চাষাবাদের পানি সরবরাহ বন্ধ হলে দিন দিন কমে যাবে ধানচাষ ও কৃষি ক্ষেত খমার । আর এতে দেখা দিবে খাদ্য ঘাটতি এবং বিলীন হয়ে যাবে দেশি মাছ।

 

 

 

এখনই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাবে জন গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি খাল দুটি। এতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে অদূর ভবিষ্যতে, আর মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে সচেতন মহলের ধারণা। দখলদার ইদ্রিস আলী জানান , তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে দাসের খালের মধ্যে পাকা পিলার দিয়ে একটি পোল নির্মানের কাজ শুরু করেন। তবে, সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি। উপজেলা এলজিইডি উপ- সহকারী প্রকৌশলী মুহা: শফিকুজ্জামান জানান, গত ১৭ সালের ১৩ অক্টোবার ৩৫০ মিটার দাসের খালটি খনন ও সিসি ব্লক স্লোপ প্রোটেকশন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন তৎকালীন পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

 

 

কিন্তু ওই খাল অধিকাংশ ভরাট থাকায় ডিজাইন না মিলায় কাজটি স্থগিত হয়ে যায়। যা আর কার্যকর হয়নি। উপজেলা নদমূলা ইউনিয়নের তহশিলদার সিহাব বলেন, দখলদাররা কুটকৌশলী। তাদের বারবার বাধা দিলেও রাতের আধারে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে। ওইসব এলাকা পরিমাপ না থাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুমানা আফরোজ জানান, কয়েক দিন আগে দাসের খাল দখল করে এক ব্যক্তি রড সিমেন্ট দিয়ে পিলার গাথলে খবর পেয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি যারা খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করেছে তা অতিদ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।

 

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বুড়িচংয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ছিনতাই;আটক ২ ছিনতাইকারী

সরকারি খাল দখলে চলছে মহোৎসব ভান্ডারিয়ায় নদমূলা ও দাসের খাল দখল করে দোকান বাড়িঘর নির্মাণ

আপডেট সময় ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূল শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের পোনা নদীর পাশের্^ নদমূলা-মাঝি বাড়ী বাজার সংলগ্ন খাল ও লিয়াকত মার্কেট সংলগ্ন দাসের খালের দু-পারের প্রভাবশালীদের দখলে যাচ্ছে। ওই এলাকায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে বাড়িঘর, দোকান পাট সহ পাকা স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। সরকারি খাল দুটি দখল হলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে খাল দখলকারীরা অনেকেই কোনো অনুমতি নেয়নি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। সরকারি খাল দখলে কোনো প্রকার পাকা স্থাপনা করতে পারবে না বা খাল ভরাট করা যাবে না যেনেও কেউ থেমে নেই।

 

 

খাল ভরাট সহ দোকান পাট ও ভবনও নির্মাণ কওে চলছে তারা। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পাকা ভবন বা বাড়িঘর নির্মাণের কোনো বন্দোবস্ত দেয়নি। নদমূলা মাঝি বাড়ীর খাল একটি অংশ ও ৩৫০ মিটার দাসের খালের অধিকাংশ খাল দখল হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু সরকারি জায়গা দখল করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ অধিকাংশ গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা জানায়, দখলদাররা প্রথমে খালের মধ্যে ছাপড়া দিয়ে তার পর কিছু কিছু জায়গায় খাল বন্ধ করে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বন্ধের পথে দাসের খালটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার উপক্রম হবে। এ ছাড়া এই খালের মাধ্যমে বিভিন্ন ইরি চাষাবাদের পানি সরবরাহ বন্ধ হলে দিন দিন কমে যাবে ধানচাষ ও কৃষি ক্ষেত খমার । আর এতে দেখা দিবে খাদ্য ঘাটতি এবং বিলীন হয়ে যাবে দেশি মাছ।

 

 

 

এখনই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাবে জন গুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি খাল দুটি। এতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে অদূর ভবিষ্যতে, আর মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে বলে সচেতন মহলের ধারণা। দখলদার ইদ্রিস আলী জানান , তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে দাসের খালের মধ্যে পাকা পিলার দিয়ে একটি পোল নির্মানের কাজ শুরু করেন। তবে, সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি। উপজেলা এলজিইডি উপ- সহকারী প্রকৌশলী মুহা: শফিকুজ্জামান জানান, গত ১৭ সালের ১৩ অক্টোবার ৩৫০ মিটার দাসের খালটি খনন ও সিসি ব্লক স্লোপ প্রোটেকশন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন তৎকালীন পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

 

 

কিন্তু ওই খাল অধিকাংশ ভরাট থাকায় ডিজাইন না মিলায় কাজটি স্থগিত হয়ে যায়। যা আর কার্যকর হয়নি। উপজেলা নদমূলা ইউনিয়নের তহশিলদার সিহাব বলেন, দখলদাররা কুটকৌশলী। তাদের বারবার বাধা দিলেও রাতের আধারে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে। ওইসব এলাকা পরিমাপ না থাকায় দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুমানা আফরোজ জানান, কয়েক দিন আগে দাসের খাল দখল করে এক ব্যক্তি রড সিমেন্ট দিয়ে পিলার গাথলে খবর পেয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। সম্প্রতি যারা খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করেছে তা অতিদ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।