বাংলাদেশ ০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পহেলা বৈশাখ রক্তের হোলির বেদনাদায়ক রেকর্ড। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭২৩ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পহেলা বৈশাখ রক্তের হোলির বেদনাদায়ক রেকর্ড। 

মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
আজও নির্মম বাঁশির করুন সুর ড্রাগনের শব্দে স্বজন হারা উৎকন্ঠায় কাটে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মানুষের ১৪ ই এপ্রিল। আজ পহেলা বৈশাখ ভৈরবের গণহত্যা দিবস। খেয়াঘাটে পাকহানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত হন ৫ শতাধিক নারীপুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের এ দিনে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীর পানাউল্লাহচর এলাকায় এক মর্মান্তিক গণহত্যা সংঘটিত হয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাশফায়ারে নিরস্ত্র অসহায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু নিহত হন। পাকহানাদার বাহিনীর ভয়ে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা মৃত লাশগুলো দাফনও করতে পারেননি সেই দিন।
পরবর্তীতে পাঁচ শতাধিক শহীদের লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গণকবর দেওয়া হয়। স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ এ সময়ে দেশের ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন ঘটলেও, ভৈরবের মানুষ ভুলতে পারেনি সেদিনের সেই মর্মান্তিক গণহত্যার দিনটিকে। বর্বরোচিত গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও পাঁচ শতাধিক শহীদের স্বজনদের কাছে আজও তা দুঃস্বপ্নময় ক্ষত।
প্রতি বছরের ১৪ এপ্রিলকে ভৈরবের মানুষ ‘গণহত্যাদিবস’ হিসেবে শোক পালন করে থাকেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস সারা দেশের মতো ভৈরবেও স্বাধীনতা যুদ্ধে আপামর মানুষ পাকিস্তানি হানাদারদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সেই এপ্রিলের ১৪ তারিখ ছিলো পহেলা বৈশাখ। সেদিন ভৈরবের জনগণ পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত। তখনই হঠাৎ করে ভৈরবের আকাশে দেখা যায় চারটি জেট বিমান, একাধিক হেলিকপ্টার এবং স্থলপথে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপার রামনগর ব্রিজের নিচে গানশীপ। পাকিস্তানি বাহিনী ওই এলাকা থেকে গানশিপ দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। দুপুরে সামরিক বাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে উপজেলার মধ্যেরচর এলাকায় পাকিস্তানি সেনা নামে। তারা শহরে প্রবেশ করার সময় পথে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে।
অপরদিকে হেলিকপ্টার থেকে গ্রামে নামার পর কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে শহরে প্রবেশ করার সময় শিবপুর ইউনিয়নের-পানাউল্লারচর নামক খেয়াঘাটে প্রাণভয়ে পলায়নের সময় নিরস্ত্র-নিরপরাধ পাঁচ শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে ব্রাসফায়ারের মাধ্যমে করে হত্যা করে। তাদের নির্মম শিকার কয়েকশ’ মানুষের তাজা রক্তে সেদিন ব্রহ্মপুত্রের ধূসর জল রক্তিম হয়ে ওঠে। সেদিনের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই মুহূর্তের দৃশ্য স্মরণ করে আজও শিউরে ওঠেন। স্বজনরা ফেলেন চোখের জল।
সেদিনের সেই গণকবরের জায়গায় তৈরি হয় স্মৃতিসৌধ। প্রতি বছর এই দিনে ওই স্মৃতিসৌধে স্থানীয়রা ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান এবং নানা আয়োজনে তাদের স্মরণ করেন।

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পহেলা বৈশাখ রক্তের হোলির বেদনাদায়ক রেকর্ড। 

আপডেট সময় ০২:১৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
মাহফুজ হাসান, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
আজও নির্মম বাঁশির করুন সুর ড্রাগনের শব্দে স্বজন হারা উৎকন্ঠায় কাটে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মানুষের ১৪ ই এপ্রিল। আজ পহেলা বৈশাখ ভৈরবের গণহত্যা দিবস। খেয়াঘাটে পাকহানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত হন ৫ শতাধিক নারীপুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের এ দিনে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীর পানাউল্লাহচর এলাকায় এক মর্মান্তিক গণহত্যা সংঘটিত হয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাশফায়ারে নিরস্ত্র অসহায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু নিহত হন। পাকহানাদার বাহিনীর ভয়ে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা মৃত লাশগুলো দাফনও করতে পারেননি সেই দিন।
পরবর্তীতে পাঁচ শতাধিক শহীদের লাশ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গণকবর দেওয়া হয়। স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ এ সময়ে দেশের ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন ঘটলেও, ভৈরবের মানুষ ভুলতে পারেনি সেদিনের সেই মর্মান্তিক গণহত্যার দিনটিকে। বর্বরোচিত গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ও পাঁচ শতাধিক শহীদের স্বজনদের কাছে আজও তা দুঃস্বপ্নময় ক্ষত।
প্রতি বছরের ১৪ এপ্রিলকে ভৈরবের মানুষ ‘গণহত্যাদিবস’ হিসেবে শোক পালন করে থাকেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস সারা দেশের মতো ভৈরবেও স্বাধীনতা যুদ্ধে আপামর মানুষ পাকিস্তানি হানাদারদের প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সেই এপ্রিলের ১৪ তারিখ ছিলো পহেলা বৈশাখ। সেদিন ভৈরবের জনগণ পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত। তখনই হঠাৎ করে ভৈরবের আকাশে দেখা যায় চারটি জেট বিমান, একাধিক হেলিকপ্টার এবং স্থলপথে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপার রামনগর ব্রিজের নিচে গানশীপ। পাকিস্তানি বাহিনী ওই এলাকা থেকে গানশিপ দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। দুপুরে সামরিক বাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে উপজেলার মধ্যেরচর এলাকায় পাকিস্তানি সেনা নামে। তারা শহরে প্রবেশ করার সময় পথে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে।
অপরদিকে হেলিকপ্টার থেকে গ্রামে নামার পর কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে শহরে প্রবেশ করার সময় শিবপুর ইউনিয়নের-পানাউল্লারচর নামক খেয়াঘাটে প্রাণভয়ে পলায়নের সময় নিরস্ত্র-নিরপরাধ পাঁচ শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে ব্রাসফায়ারের মাধ্যমে করে হত্যা করে। তাদের নির্মম শিকার কয়েকশ’ মানুষের তাজা রক্তে সেদিন ব্রহ্মপুত্রের ধূসর জল রক্তিম হয়ে ওঠে। সেদিনের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই মুহূর্তের দৃশ্য স্মরণ করে আজও শিউরে ওঠেন। স্বজনরা ফেলেন চোখের জল।
সেদিনের সেই গণকবরের জায়গায় তৈরি হয় স্মৃতিসৌধ। প্রতি বছর এই দিনে ওই স্মৃতিসৌধে স্থানীয়রা ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান এবং নানা আয়োজনে তাদের স্মরণ করেন।