ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে পূর্ব বিরোধের জেরধরে তরমুজ চুরির অভিযোগ দিয়ে মো. কামাল হোসেন (৩৬) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা রাতেই আহত যুবককে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শশীভূষন থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গেলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করে মঙ্গলবার দিনভর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করেছে। নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে ক্ষোভ- নিন্দার ঝড় উঠে। নড়েচড়ে বসে পুলিশও। যদিও মঙ্গলবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি।
নির্যাতনের শিকার কামাল হোসেন জানান, প্রতিবেশী মামুন ও নাসিমকে নিয়ে গ্রামের খালে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। খালের পাড়েই আমজাদ হোসেনের তরমুজ ক্ষেত। আমজাদসহ ১২/১৫ জন তরমুজ পাহারায় ছিল। হঠাৎ করে আমজাদের নেতৃত্বে ওই ১৪/১৫ জন চোর চোর করে কামাল ও তার অপর দুই সঙ্গীর উপর হামলা করে। এসময় আতংকিত হয়ে মামুন আর নাসিম দৌড়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা কামালকে আটক করে এবং হাত-পা বেঁধে বেধকড় মারধর করে। মারধরের সময় কামালকে বিবস্ত্র করা হয়। এসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরেছে। ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন এবং গুরুতর আহত কামালকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে রাতেই শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান । এদিকে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামাল জানান, আমজাদ জমি লগ্নী নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। ওই জমি কামালও লগ্নী নিতে চেয়েছিলেন।
এই জমির লগ্নী নেয়া নিয়ে কামাল এবং আমজাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। যা গ্রামের লোকজন আগে থেকেই অবহিত ছিলেন। ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা চিারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। গ্রামবাসীরা নিরীহ নিরপরাধ যুবক কামালকে তরমুজ চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধকড় মারধরের সাথে জড়িত আমজাদ এবং তার সঙ্গীদেও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। এ ঘটনার অভিযুক্ত আমজাত ও তার সঙ্গিরা গাঁÑঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। শশীভূষন থানার অফিসার ইরচার্জ (ওসি) মো, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর আগেই এাকাবাসী কামালকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যান। এ বিষয়ে আর কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।