বাংলাদেশ ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

কালীগঞ্জে আগুনে পুড়ল এক অসহায় প্রতিবন্ধীর একমাত্র অবলম্বন 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭২৬ বার পড়া হয়েছে

কালীগঞ্জে আগুনে পুড়ল এক অসহায় প্রতিবন্ধীর একমাত্র অবলম্বন 

 সুজন হোসেন, কালীগঞ্জ ( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামের তানজিল ইসলাম একজন অসহায় প্রতিবন্ধী। যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ ব্রাক এনজিও অফিসের সামনে তার একটি ছোট্টো টোং দোকান। বিধবা মা ও ভাইকে নিয়ে কোনো মতে চলতো তার সংসার। কিন্তু গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ তার দোকানে আগুন লেগে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন দোকানের মালিক তানজিল ইসলাম (২৬) বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে। মা কুলসুম বেগমের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে। ছোট দুই সন্তান তানজীল ইসলাম ও আলামিনকে নিয়েই তাদের সংসার।
এই দোকানটিই ছিল তার সংসারের এক মাত্র অবলম্বন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তানজীল এই দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়। তখন থেকেই এই দোকানটি ছিল তার জীবন চলার একমাত্র অবলম্বন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূর থেকে হঠাৎ করে আগুন দেখে এগিয়ে এসে দেখি প্রতিবন্ধী তানজীলের দোকানে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আসতে আসতেই চোখের সামনেই পুড়ে যাই দেকানটি। কয়েকজন পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী দোকানদার তানজীল ইসলাম জানান, গতকাল প্রথম তারাবি হওয়ায় আমি এশার আযানের পরপরই দোকান ভালোভাবে বন্ধ করে মসজিদে যায় নামাজ আদায়ের জন্য। মসজিদ থেকে এসে দেখি আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন প্রতিবন্ধী তানজীল। এই দোকান থেকে অর্জিত আয়ে আমার সংসার চলত।
আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, কোনরকমে ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে এই দোকানের উপর দিয়েই চলছিলাম। আমার দোকানে ৩৫ হাজার টাকার মতো মাল ও নগদ প্রায় চার হাজার টাকা ছিল, যা আগুনে পুড়ে গেছে। বিদ্যুতের মাধ্যমে আগুন লেগেছে বলে আমি ধারনা করছি। সম্ভবত বৈদ্যুতিক কোন ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। আমার সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এখন আমি কিভাবে সংসার চালিয়া  বেঁচে থাকব?
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ জানান, বিদ্যুৎ লাগার সংবাদ শুনে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য ততক্ষণে দোকানটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

কালীগঞ্জে আগুনে পুড়ল এক অসহায় প্রতিবন্ধীর একমাত্র অবলম্বন 

আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
 সুজন হোসেন, কালীগঞ্জ ( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামের তানজিল ইসলাম একজন অসহায় প্রতিবন্ধী। যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ ব্রাক এনজিও অফিসের সামনে তার একটি ছোট্টো টোং দোকান। বিধবা মা ও ভাইকে নিয়ে কোনো মতে চলতো তার সংসার। কিন্তু গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ তার দোকানে আগুন লেগে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন দোকানের মালিক তানজিল ইসলাম (২৬) বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে। মা কুলসুম বেগমের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে। ছোট দুই সন্তান তানজীল ইসলাম ও আলামিনকে নিয়েই তাদের সংসার।
এই দোকানটিই ছিল তার সংসারের এক মাত্র অবলম্বন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তানজীল এই দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়। তখন থেকেই এই দোকানটি ছিল তার জীবন চলার একমাত্র অবলম্বন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূর থেকে হঠাৎ করে আগুন দেখে এগিয়ে এসে দেখি প্রতিবন্ধী তানজীলের দোকানে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আসতে আসতেই চোখের সামনেই পুড়ে যাই দেকানটি। কয়েকজন পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী দোকানদার তানজীল ইসলাম জানান, গতকাল প্রথম তারাবি হওয়ায় আমি এশার আযানের পরপরই দোকান ভালোভাবে বন্ধ করে মসজিদে যায় নামাজ আদায়ের জন্য। মসজিদ থেকে এসে দেখি আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন প্রতিবন্ধী তানজীল। এই দোকান থেকে অর্জিত আয়ে আমার সংসার চলত।
আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, কোনরকমে ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে এই দোকানের উপর দিয়েই চলছিলাম। আমার দোকানে ৩৫ হাজার টাকার মতো মাল ও নগদ প্রায় চার হাজার টাকা ছিল, যা আগুনে পুড়ে গেছে। বিদ্যুতের মাধ্যমে আগুন লেগেছে বলে আমি ধারনা করছি। সম্ভবত বৈদ্যুতিক কোন ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। আমার সর্বস্ব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এখন আমি কিভাবে সংসার চালিয়া  বেঁচে থাকব?
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ জানান, বিদ্যুৎ লাগার সংবাদ শুনে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য ততক্ষণে দোকানটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল।