বাংলাদেশ ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন সন্ধ্যার মধ্যে উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম কুবি শিক্ষার্থীদের রাবিতে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের পুলিশ-বিজিবির ধাওয়া মেহেন্দিগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার। মুন্সীগঞ্জে গায়েবানা জানাযা থেকে ঈমাম ও বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ কোটা আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিবৃতি চলমান পরিস্থিতিতে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি আপাতত স্থগিত: উপাচার্য বিদেশের পাঠানো টাকা চাইতে গিয়ে বিপাকে প্রবাসী স্বামী রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের জানাজায় মানুষের ঢল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার রাস্তায় সমবায় সমিতি ভবনের ট্যাংকির ময়লা: জনদুর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, আহত ৫ হরিপুরে, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে কর্মী মিটিং ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গৌরীপুরে উদীচী কার্য়ালয়ে হামলা ও ভাংচুর স্ত্রীর যৌতুক মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

কোটচাঁদপুর আগুনে পুড়ে শেষ হল ৪ পরিবারের ৫ বিঘা পানের বরজ। 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর আগুনে পুড়ে শেষ হল ৪ পরিবারের ৫ বিঘা পানের বরজ। 

আবুল হাসান কুশনা কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩ নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদ। জালালপুর  গ্রামের দিন মজুর ৪ পরিবারের শেষ সম্বল পানের বরজ  আগুনে পুড়ে  হলো ছাই। সরোজমিনে যেয়ে জানতে পারি জালালপুর,ঘাঘা, তালসার গ্রামের মধ্যবর্তী জলার বিলের মাঠে আগুনের সুত্রপাত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন  ১।  মোঃ আক্কাস আলী বরজের পরিমান ১.৫ বিঘা ২।  মোঃ ইমামুল ইসলাম ১ বিঘা ৩।
মোঃ শহিদ হোসেন  ১.৫ বিঘা ৪। মোঃ মুক্তার হোসেন ১ বিঘা  সর্বমোট ৫ বিঘা। ক্ষতিগ্রস্হ বরজের মালিক গন বলেন আজ ৩১/৩/২২রোজ  বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় আমরা জানতে পারি বরজে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার সাথে সাথে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ফোন দিলে তারা আসেন, আসতে একটু বিলম্বিত হয়।কোটচাঁদপুর  ফায়ার সার্ভিস আসার পুর্বে সব আগুনে পুড়ে ছাই। আগুন দাও দাও করে বরজের বাঁশ পাটখড়ি  খড়কুটো পুড়ে চারপাশে শুধু আগুনের ধোঁয়া।
এই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১ঘন্টা ৪৫ মিনিটের অক্লান্ত চেষ্টায় বরজের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই দিকে কোটচাঁদপুর  ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত ইনচার্য মোঃ আক্কাস আলীর নিকট আগুনের সুত্রপাত  সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাত ৮ টা পাঁচ মিনিটে জানতে পারি । কয়টা ইউনিট কাজ করেছে জানতে চাইলে বলেন দুই টি ইউনিট কাজ করেছি। আগুন সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে এসেছে কি তিনি বলেন আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে সম্পুর্ণ আগুন মুক্ত হলে কাজ সমাপ্ত করেছি। আগুনের সুত্রপাত  কিভাবে হতে পারে সেটা বলতে পারেন নি।এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট জানতে পারি পানের বরজ মালিক গন খুবই গরীব মানুষ। শেষ সম্বল এই পানের বরজ।
বরজ মালিক গন দিন আনে দিন খায় তাদের মাথা তুলে দাঁড়াবার আর যায়গা থাকলো না। এদের পরিবার গুলো এখন না খেয়ে থাকতে হবে কোথায় যাবে এরা। প্রায়ই বরজে আগুন লেগেই আছে কে বা কাহারা কি ভাবে আগুন লাগছে এটা বোঝা যাচ্ছে  না। এদিকে বরজ মালিক দের কান্নাকাটির আওয়াজ আজ আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে একটাই কথা আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে কি খাব কি করবো কোথায় যাব।আমাদের শেষ সম্বল তো আগুনের কাছে হারিয়ে গেল। আসলে বরজে কেন এই আগুন লাগছে প্রায়ই আর সর্বনাশ হয়ে পথে বসছে গরীব বর্গা পান চাষীরা। এর সুত্রপাত কোথায় এটাই এখন সকলের কাছে প্রশ্ন।
বরজে যাহারা কাজ করছে তাদের মধ্যে  বিড়ি সিগারেট খাওয়া মানুষ গুলোর অব্যবস্হাপনায় যত্রতত্র আগুন ব্যবহার করার বলি হচ্ছে নাতো গরীব পান চাষীরা। আসল সমস্যা সমাধানের ব্যবস্হা মাননীয় প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার গরীব পান চাষীরা। এই অবস্থার সুত্রপাত কোথায় জানতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্হ হবে গরীব বর্গা পান চাষীরা আর বিলুপ্ত হবে পান নামক একটি অর্থকারি ফসল। ক্ষতিগ্রস্হ চার পরিবারের এখন একটাই চাওয়া পাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর নিকট ও এলাকার জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন মহোদয়ের কাছে। যদি ক্ষতি পূরণ কিছুটা আসে তাতে কিছুটা হলেও বাঁচতে পাররো পরিবারের সবাই কে নিয়ে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জ সদর ইউএনওর চরডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

কোটচাঁদপুর আগুনে পুড়ে শেষ হল ৪ পরিবারের ৫ বিঘা পানের বরজ। 

আপডেট সময় ০৬:৪৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২
আবুল হাসান কুশনা কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩ নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদ। জালালপুর  গ্রামের দিন মজুর ৪ পরিবারের শেষ সম্বল পানের বরজ  আগুনে পুড়ে  হলো ছাই। সরোজমিনে যেয়ে জানতে পারি জালালপুর,ঘাঘা, তালসার গ্রামের মধ্যবর্তী জলার বিলের মাঠে আগুনের সুত্রপাত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন  ১।  মোঃ আক্কাস আলী বরজের পরিমান ১.৫ বিঘা ২।  মোঃ ইমামুল ইসলাম ১ বিঘা ৩।
মোঃ শহিদ হোসেন  ১.৫ বিঘা ৪। মোঃ মুক্তার হোসেন ১ বিঘা  সর্বমোট ৫ বিঘা। ক্ষতিগ্রস্হ বরজের মালিক গন বলেন আজ ৩১/৩/২২রোজ  বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় আমরা জানতে পারি বরজে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার সাথে সাথে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ফোন দিলে তারা আসেন, আসতে একটু বিলম্বিত হয়।কোটচাঁদপুর  ফায়ার সার্ভিস আসার পুর্বে সব আগুনে পুড়ে ছাই। আগুন দাও দাও করে বরজের বাঁশ পাটখড়ি  খড়কুটো পুড়ে চারপাশে শুধু আগুনের ধোঁয়া।
এই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১ঘন্টা ৪৫ মিনিটের অক্লান্ত চেষ্টায় বরজের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই দিকে কোটচাঁদপুর  ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত ইনচার্য মোঃ আক্কাস আলীর নিকট আগুনের সুত্রপাত  সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাত ৮ টা পাঁচ মিনিটে জানতে পারি । কয়টা ইউনিট কাজ করেছে জানতে চাইলে বলেন দুই টি ইউনিট কাজ করেছি। আগুন সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে এসেছে কি তিনি বলেন আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে সম্পুর্ণ আগুন মুক্ত হলে কাজ সমাপ্ত করেছি। আগুনের সুত্রপাত  কিভাবে হতে পারে সেটা বলতে পারেন নি।এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট জানতে পারি পানের বরজ মালিক গন খুবই গরীব মানুষ। শেষ সম্বল এই পানের বরজ।
বরজ মালিক গন দিন আনে দিন খায় তাদের মাথা তুলে দাঁড়াবার আর যায়গা থাকলো না। এদের পরিবার গুলো এখন না খেয়ে থাকতে হবে কোথায় যাবে এরা। প্রায়ই বরজে আগুন লেগেই আছে কে বা কাহারা কি ভাবে আগুন লাগছে এটা বোঝা যাচ্ছে  না। এদিকে বরজ মালিক দের কান্নাকাটির আওয়াজ আজ আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে একটাই কথা আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে কি খাব কি করবো কোথায় যাব।আমাদের শেষ সম্বল তো আগুনের কাছে হারিয়ে গেল। আসলে বরজে কেন এই আগুন লাগছে প্রায়ই আর সর্বনাশ হয়ে পথে বসছে গরীব বর্গা পান চাষীরা। এর সুত্রপাত কোথায় এটাই এখন সকলের কাছে প্রশ্ন।
বরজে যাহারা কাজ করছে তাদের মধ্যে  বিড়ি সিগারেট খাওয়া মানুষ গুলোর অব্যবস্হাপনায় যত্রতত্র আগুন ব্যবহার করার বলি হচ্ছে নাতো গরীব পান চাষীরা। আসল সমস্যা সমাধানের ব্যবস্হা মাননীয় প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার গরীব পান চাষীরা। এই অবস্থার সুত্রপাত কোথায় জানতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্হ হবে গরীব বর্গা পান চাষীরা আর বিলুপ্ত হবে পান নামক একটি অর্থকারি ফসল। ক্ষতিগ্রস্হ চার পরিবারের এখন একটাই চাওয়া পাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর নিকট ও এলাকার জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন মহোদয়ের কাছে। যদি ক্ষতি পূরণ কিছুটা আসে তাতে কিছুটা হলেও বাঁচতে পাররো পরিবারের সবাই কে নিয়ে।