![](https://banglaralonews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আবহাওয়ার বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রকৃতি এবার বিচিত্র ধরনের আচরণ করছে। কখনও মেঘ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামছে। আবার রৌদ্র বাড়লে ভ্যাপসা গরমে দরদর করে ঘাম ঝরে পড়ছে। বৃষ্টিপাতের পরই বয়ে যাচ্ছে শীতল অনুভূতি। মনে হচ্ছে প্রকৃতিতে এখন বয়ে যাচ্ছে শীতের সকাল। গত বুধবার থেকে ভূরুঙ্গামারীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গোটা উপজেলা জুড়ে আকাশ ছিল মেঘলা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি।
কখনো ঝেঁপে, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি। আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির ধরন দেখে বোঝার উপায় নাই এখন আষাঢ় না বসন্ত চলছে। অথচ মাসটা চৈত্র। চৈত্রের মাঝা মাঝিতে এমন বৃষ্টিতে অনেকেই বিষ্মিত। বৃষ্টির সাথে হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের পোষাক পড়ে বাইরে বেড় হতে দেখা গেছে অনককে। অপর দিকে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এ বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হলে বাড়িতে কেটে রাখা গম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।
উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিন বিঘা জমির পাকা গম কেটে বাড়ির উঠানে পালা দিয়ে রেখেছেন। দুই দিন থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি না থামলে গম নষ্টের আশঙ্কা করছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি অস্থায়ী আবহাওয়া। রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় হাল্কা থেখে মাঝাড়ি বৃষ্টি পাতের সম্ভবনা রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, প্রায় ৯০ শতাংশ গম কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষক। এ বৃষ্টি পাতে কৃষকের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং পাট বপনের জন্য তৈরি জমি ও সবজি ক্ষেতের জন্য উপকারি এবং বোরো আবাদে সেচ কম লাগবে চাষিদের।