বাংলাদেশ ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ। পা দিয়ে লিখে আলিম পাশ করলো রাসেল নাইক্ষ‍্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন: ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষায় এবারও শীর্ষস্থানে নলছিটি সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভান্ডারিয়ায় শিল্পপতি সৈয়দ সোহেল রানার ওপর সন্ত্রাসী হামলা: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ভান্ডারিয়ায় পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সেচ যন্ত্র দোন রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
  • ১৮৫১ বার পড়া হয়েছে

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সেচ যন্ত্র দোন রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ

শত শত বছর আগে থেকেই মানুষ কৃষিকাজে পানি সেচের জন্য নানা কৌশল ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি ছিল ‘দোন’-এর সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি সরবরাহ করা। তবে আধুনিক প্রযুক্তির সেচযন্ত্রের ভিড়ে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে সনাতনী সেচযন্ত্র ‘দোন’। এ যন্ত্রটি মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও তা কেবল স্বল্প পরিসরের জমি সেচ কাজে ব্যবহার করেন কৃষকরা। আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো।

 

জানা যায়, আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খালবিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে ‘দোন’ ছিল অতুলনীয়।

 

গ্রামবাংলার কৃষকের আদি চিন্তা- চেতনার ফল ছিল এ কাঠের দোন আবিষ্কার। আম অথবা কাঁঠালজাতীয় গাছের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানে খোদাই করে ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কোনো কোনো স্থানে নারিকেল, তাল, জিগা, সুপারি ও পাইন গাছ দিয়েও এ দোন তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে কাঠের তক্তা দিয়েও এ দোন তৈরি করা হয়। এতে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া অন্য কোনো খরচ হয় না। ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে দোনের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে।

 

 

এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় দোনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। যেসব জায়গায় ভূপৃষ্ঠের পানি সহজলভ্য সেরকম কিছু এলাকায় শুকনো মৌসুমে দোনের ব্যবহার মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। গ্রাম বাংলার নদীগুলোতে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এ নদী থেকে দোনের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো।

 

 

এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। তবে যখন পানি থাকে তখন দোন ব্যবহার করে বোরো ফসলের জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেওয়া হয়। দেশে বর্তমানে সব জমি শতভাগ সেচের আওতায় আসায় সনাতনী ‘দোন’-এর সাহায্যে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কৃষকরা এখন আর দোন ব্যবহার করে না। তবে কালেভদ্রে কিছু ‘দোন’ চোখে পড়ে। পানি শুকিয়ে গেলে ‘দোন’ অকেজো হয়ে পড়ে।

 

 

দোল বিষয় জানতে চাইলে নব্বই বষসের আঃ বর জানান, ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে দোনের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় দোনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। যেসব জায়গায় ভূপৃষ্ঠের পানি সহজলভ্য সেরকম কিছু এলাকায় শুকনো মৌসুমে দোনের ব্যবহার মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। রামগঞ্জ উপজেলা করপাড়া এলাকার কৃষক আবদুল রহিম বলেন, নদীতে একসময় সারা বছর পানি থাকত।

 

 

এ নদী থেকে দোনের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। তবে যখন পানি থাকে তখন দোন ব্যবহার করে বোরো ফসলের জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। রামগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা জানায়, দেশে বর্তমানে সব জমি শতভাগ আধুনিক সেচের আওতায় আসায় সনাতনী ‘দোন’-এর সাহায্যে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কৃষকরা এখন আর দোন ব্যবহার করে না। তবে কালেভদ্রে কিছু ‘দোন’ চোখে পড়ে। পানি শুকিয়ে গেলে ‘দোন’ অকেজো হয়ে পড়ে বলেও জানান তিনি।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

নলছিটির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির চাঁদাবাজী।। মহাসচিবের কাছে অভিযোগ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সেচ যন্ত্র দোন রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে

আপডেট সময় ০৮:১৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ

শত শত বছর আগে থেকেই মানুষ কৃষিকাজে পানি সেচের জন্য নানা কৌশল ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি ছিল ‘দোন’-এর সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি সরবরাহ করা। তবে আধুনিক প্রযুক্তির সেচযন্ত্রের ভিড়ে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে সনাতনী সেচযন্ত্র ‘দোন’। এ যন্ত্রটি মাঝেমধ্যে দেখা গেলেও তা কেবল স্বল্প পরিসরের জমি সেচ কাজে ব্যবহার করেন কৃষকরা। আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো।

 

জানা যায়, আগেকার দিনে ফসলি জমিতে পানি সেচের জন্য টিন বা বাঁশের তৈরি সেঁউতি ও কাঠের দোন ব্যবহার করা হতো। নদী, খালবিল বা জলাশয় থেকে টিন বা বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি সেঁউতি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হতো। আর উঁচু-নিচু জমিতে পানি সেচ দিতে ‘দোন’ ছিল অতুলনীয়।

 

গ্রামবাংলার কৃষকের আদি চিন্তা- চেতনার ফল ছিল এ কাঠের দোন আবিষ্কার। আম অথবা কাঁঠালজাতীয় গাছের মাঝের অংশের কাঠ কেটে নিয়ে তার মাঝখানে খোদাই করে ড্রেন তৈরি করে পানি সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। কোনো কোনো স্থানে নারিকেল, তাল, জিগা, সুপারি ও পাইন গাছ দিয়েও এ দোন তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে কাঠের তক্তা দিয়েও এ দোন তৈরি করা হয়। এতে পানি সেচ দিতে শ্রমিক ছাড়া অন্য কোনো খরচ হয় না। ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে দোনের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে।

 

 

এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় দোনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। যেসব জায়গায় ভূপৃষ্ঠের পানি সহজলভ্য সেরকম কিছু এলাকায় শুকনো মৌসুমে দোনের ব্যবহার মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। গ্রাম বাংলার নদীগুলোতে একসময় সারা বছর পানি থাকত। এ নদী থেকে দোনের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো।

 

 

এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। তবে যখন পানি থাকে তখন দোন ব্যবহার করে বোরো ফসলের জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেওয়া হয়। দেশে বর্তমানে সব জমি শতভাগ সেচের আওতায় আসায় সনাতনী ‘দোন’-এর সাহায্যে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কৃষকরা এখন আর দোন ব্যবহার করে না। তবে কালেভদ্রে কিছু ‘দোন’ চোখে পড়ে। পানি শুকিয়ে গেলে ‘দোন’ অকেজো হয়ে পড়ে।

 

 

দোল বিষয় জানতে চাইলে নব্বই বষসের আঃ বর জানান, ক্রস আকারে দুটি বাঁশের শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে তার সঙ্গে লম্বা অন্য একটি বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়। এক অংশে দোনের মাথা অন্য অংশে মাটির ভরা (ওজন) তুলে দিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুললে একসঙ্গে অনেক পানি উঠে আসে। এভাবে অনবরত পানি সেচ দিলে দ্রুত সেচের কাজ হয়ে যায়। আধুনিক শ্যালো, ডিপ, এলএলপি প্রভৃতি সেচযন্ত্র আসায় দোনের ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। যেসব জায়গায় ভূপৃষ্ঠের পানি সহজলভ্য সেরকম কিছু এলাকায় শুকনো মৌসুমে দোনের ব্যবহার মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। রামগঞ্জ উপজেলা করপাড়া এলাকার কৃষক আবদুল রহিম বলেন, নদীতে একসময় সারা বছর পানি থাকত।

 

 

এ নদী থেকে দোনের সাহায্যে ফসলের ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। এখন নদী হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। তবে যখন পানি থাকে তখন দোন ব্যবহার করে বোরো ফসলের জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। রামগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা জানায়, দেশে বর্তমানে সব জমি শতভাগ আধুনিক সেচের আওতায় আসায় সনাতনী ‘দোন’-এর সাহায্যে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কৃষকরা এখন আর দোন ব্যবহার করে না। তবে কালেভদ্রে কিছু ‘দোন’ চোখে পড়ে। পানি শুকিয়ে গেলে ‘দোন’ অকেজো হয়ে পড়ে বলেও জানান তিনি।