কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার ১নং থেতরাই ইউনিয়নের ইউপি পরিষদের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভেংগে ফেলেছেন অত্র ইউনিয়নের খামার গ্রামের সেকেন্দার আলীর পুত্র মোঃ সালাহ উদ্দিন (৪০)।
জানা যায়, রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ইউনিয়নের সচিব জনাব রাসেল ফরহাদ বলেন আমরা প্রতিদিনের ন্যায় অফিসে বসে কাজ করিতেছি হঠাৎ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের ভিতরে ভাংচুর চলতেছে। আমার কক্ষ থেকে গিয়ে দেখি সালাহ উদ্দিন নামের এক ছেলে অফিস কক্ষের আসবাব পত্র ভেংগে ফেলতেছে। সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন স্যার কে এবং থানায় অবগত করি। উলিপুর থানা থেকে আসা এ এস আই জনাব রুহুল আমীন ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং ভাংচুরের সত্যতা পান।
ঘটনা স্থলে থাকা গ্রাম পুলিশ ফুলবাবু, আকবর, এমদাদুল, নাজমুল,মলিন, হাফিজুর এবং দাপাদার শাহালম বলেন, সালাহ উদ্দিন ইউপি পরিষদের সামনে এসে বলে চেয়ারম্যান কোথায় উনি নাকি আমার পা ভেঙ্গে দিবে। তারা উত্তরে বলেছে এখন তো চেয়ারম্যান উপস্থিত নেই আসলে দেখা যাবে কি হয়েছে। ওই সময় চেয়ারম্যানের ভাতিজা হাবিবুল্লাহ (২৩) বলেন আপনি তো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেছবুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম স্টাটাস দেন যা ভালো মানায় না। এ সব কথা বলতেই কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মারামারি শুরু হয়। পরে তাকে ইউপি পরিষদের ভিতরে আটকিয়ে রাখে যে চেয়ারম্যান না আসা পর্যন্ত ছেড়ে দেয়া হবেনা। পরে এক পর্যায় একই গ্রামের গোলাম রব্বানি মেম্বারের ছেলে মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (৪০) সালাহ উদ্দদিন কে উদ্ধার করতে আসলে সালাহ উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে পরিষদের ভিতরে থাকা আসবাব পত্র ভেঙ্গে ফেলেন। যানা যায়, ছালাহ উদ্দিন বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি করেন।
এ বিষয়ে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আতাউর রহমান আতা বলেন, আমি ইউপি অফিস কক্ষে ছিলাম না। আমি এ সব ঘটনা থানায় জানিয়েছি ওসি মহোদয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন আমি ঘটনা স্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে জানতে পারব।