গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) তাঁত ও বস্ত্র মেলা বন্ধের দাবিতে কালীগঞ্জের  ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ তাঁত শিল্প ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং পুনাক গাজীপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে তাঁত ও বস্ত্র মেলা বন্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ীদের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) কালীগঞ্জ খোদেজা শপিং কমপ্লেক্স সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা গিয়ে শেষ হয়। পরে কালীগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক, জনি আহমেদ, প্রিন্স মোর্শেদ, তরিকুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ, প্রমুখ।

কালীগঞ্জ ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিগত ৩টি বছর (কোভিট ১৯) করোনার কারণে আমরা মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দারদেনার কারনে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে পথে বসেছেন। সারা বছরে দুটি ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের এই ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দার কর্য করে দোকানে বিনিয়োগ করেছি। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাসব্যাপী পুনাকের তাঁত ও বস্ত্র মেলা কালীগঞ্জ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভীষণভাবে পুঁজি লোকসানের মুখে পড়বে বলেও জানান তারা।

পরে মানববন্ধন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র এসএম রবীন হোসেন ও কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমানের কাছে ব্যবসায়ীরা স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমানের কাছে সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে ব্যবসায়ীরা একটি অনুলিপি দিয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। ডিসি মহোদয় অনুমতি দিয়েছেন উনারা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেনের সেল ফোনে এ বিষযে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মেলা সম্পর্কে ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা না বলে কিছু বলতে পারবোনা। তবে আমি ব্যবসায়ীদের ডিসি মহোদয়ের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান বলেন, যেহেতু ডিসি অফিস থেকে মেলার অনুমোদন দিয়েছে। তাই তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলবেন বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।