মোহাম্মদ ছালাহ্ উদ্দিন উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধি;
গত শনিবার ছাব্বিশে মার্চ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার একান্নতম বার্ষিকী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক শত দুই জন্ম বার্ষিকী মহা সমারোহে পালিত হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে অরল্যান্ডোর মাসালা কিচেনকে অপরূপে সজ্জিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ক্যানভ্যাস, লাল সুবুজের পতাকা, বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি ও আলোক রশ্মির স্ফুরণ ঘটিয়ে চত্বরটিকে সুসজ্জিতকরণ করা হয়। একদিকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির একান্নতম বছর পূর্তি অন্যদিকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একশতদুই তম জন্ম বাষিকী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ অরল্যান্ডোর বাঙালিদের জীবনে একত্রে আসেনি।
সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শেলীর সঞ্চালনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশণের পর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যাঁরা, সেই তিরিশ লক্ষ শহীদ ও জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরে আমাদের গৌরবের স্বাধীনতা মুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্মের উপর আলোচনা হয়। নিপীড়িত বাঙালি ও বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে জাতি সাতচল্লিশ বছর পূর্বে, কিন্তু তাঁর আত্মত্যাগ সংগ্রাম সাধনা মানবিকতায় তিনি মিশে আছেন সতেরো কোটি বাঙালির অনুভূতি ও অন্তরাত্মায়।
এই অপ্রতিদ্বন্দী কিংবদন্তি উনিশশো বিশ সালের সতেরো মার্চে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে বাঙালি মুক্তির আলোক রশ্মির প্রতিসরণ ঘটান। একজন পিতা নির্মম নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করে বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত করেছেন। পিতা কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেত্রত্ব বিশ্বে বিরল। মনোজ্ঞ আলোচনা সভা পরিচালনা সালেহ করিমুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন শওকত আরা বেগম জসীম উদ্দিন করিমুজ্জামান আবিদ আমির আকম রুমেল, ইলিয়াস ঠাকুর, নূর শামসুস তোহা, আজিজুর রাহমান শাওন প্রজা। প্রবাসে জাতীয় দিবসে সকলকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান জানান ফকরুল আহসান শেলী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনতে যুগ যুগ ধরে জীবনপাত কারী, একাত্তরের বীর শহীদ ও জাতির জনকবঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মোয়াজ্জেম ইকবাল স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমকে সকলে বুকের মাঝে জাগিয়ে রাখার উদ্দত্ত আহবান জানিয়ে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্ত করেন। মূল অনুষ্ঠানের অন্য পাশে জাতির জনকের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসকে স্মরণ করে প্রবাসের শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা লিপি নবনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। বিপুল সংখ্যক শিশুরা এতে অংশ নেয়।
তাদের সকলক পুরুস্কৃত করা হয়। তারা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার কথা, কচি প্রাণে মাইকে এসে জয়বাংলার স্লোগানে স্লোগানে দর্শকদের বিমোহিত করে। কবিতা আসরে মুক্তি যুদ্দ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু জীবন্ত হয়ে উঠে তালাত নবনীর কণ্ঠে। দেশপ্রেমের অবিনাশী গান দিয়ে সাঁজানো মনোরম গীতিআলখো প্রাণ জুড়িয়ে দেন তালাত চৌধুরী পল্লী ইসলাম। গানের মাঝে রসনা নিবারণে সুস্বাধু খাদ্য পরিবেশনে যথাথ ভূমিকা রাখেন ইউনুস জুয়েল চৌধুরী শাজাহান কনক রেজা শাহেদ আলম মাইনুল প্রমুখ।
মনোরম মঞ্চ সজ্জায় রেজা হোসাইন করিম মুন নবনী লিপির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীনতার বীর শহীদ ও জাতীর জনকের আত্মার মাগফেরাত কামণা মোনাযাত করেন মোহাম্মদ জসীম। স্মরণে শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান রাত বারোটায় সমাপ্ত হয় যা অর্ল্যান্ডো বাসীর নিকট গৌরব ও আনন্দের মাইলফলক হিসেবে চিহৃত হয়ে থাকবে।