ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, যোগাযোগ: মোবাইল : 01712-446306, 01999-953970
ব্রেকিং নিউজ ::
কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান নেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জননেত্রকোণায় ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ জন বদলগাছিতে শিশু জুঁই ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগটি ৬০ হাজার টাকায় রফদফা একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোরে জোড়া খুন রানীশংকৈল জয়কালী বাজারে ভেজাল দুধ বিক্রী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের অভিযান পটুয়াখালীতে রমজানে খেটে-খাওয়া রোজাদার পথেই পাবে ইফতার কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বদলগাছিতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা ইউপি সদস্যর পকেটে ব্রাহ্মণপাড়ায় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১ জন যশোরে মামলা প্রত্যাহারসহ সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সাউন্ডবাংলা-পল্টনড্ডায় ইফতার ও স্বপ্নালোক-এর মোড়ক উন্মোচন নতুন কৌশলে ডাক্তার কোটিপতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন
ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৬৮২ বার পড়া হয়েছে

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ 

ছোট একটি কুড়েঘর, দরজাসহ চারপাশের বেড়াগুলি ভাঙ্গাচুরা, উপরের টিনগুলিও বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র। অরক্ষিত ও জরার্জীন এ ঘরে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের পরিবার। রামগঞ্জ উপজেলা মধ্যবিঘা গ্রামের নেছার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বৃদ্ধ স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে একটি বসতঘরের জন্য একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট আবেদন করেছি, এমপির কাছেও গিয়েছি, সবাই আশস্ত করেছেন।

 

 

কিন্তু মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া একটি ঘর এখনো পায়নি। অথচয় অনেক স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেটে ৬১১। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থেকে ১৯৯৮ সালে মারা যান। তাঁর স্বামীর এ ঘর, এ ঘর ভিটির জমি ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নেই। ১ ছেলে ও ২ মেয়ে । ছেলেটি শারিরিক প্রতিবন্ধী । তাদের একমাত্র আয়ের উৎস মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। তা দিয়ে চিকিৎসা, ঔষধ,ও ভরন-পোষনে খুব কষ্টের মাঝে দিন কাটছেন।

 

 

এ অবস্থায় একটি ঘর করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি একটি ঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের আবেদন পেয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার সালেহ আহমেদসহ ওই বাড়িতে গিয়েছি। বাস্তবিক তিনি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘর পাওয়ার যোগ্য। সামনে বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে।

 

 

 

 

কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

আপডেট সময় ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ 

ছোট একটি কুড়েঘর, দরজাসহ চারপাশের বেড়াগুলি ভাঙ্গাচুরা, উপরের টিনগুলিও বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র। অরক্ষিত ও জরার্জীন এ ঘরে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের পরিবার। রামগঞ্জ উপজেলা মধ্যবিঘা গ্রামের নেছার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বৃদ্ধ স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে একটি বসতঘরের জন্য একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট আবেদন করেছি, এমপির কাছেও গিয়েছি, সবাই আশস্ত করেছেন।

 

 

কিন্তু মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া একটি ঘর এখনো পায়নি। অথচয় অনেক স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেটে ৬১১। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থেকে ১৯৯৮ সালে মারা যান। তাঁর স্বামীর এ ঘর, এ ঘর ভিটির জমি ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নেই। ১ ছেলে ও ২ মেয়ে । ছেলেটি শারিরিক প্রতিবন্ধী । তাদের একমাত্র আয়ের উৎস মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। তা দিয়ে চিকিৎসা, ঔষধ,ও ভরন-পোষনে খুব কষ্টের মাঝে দিন কাটছেন।

 

 

এ অবস্থায় একটি ঘর করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি একটি ঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের আবেদন পেয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার সালেহ আহমেদসহ ওই বাড়িতে গিয়েছি। বাস্তবিক তিনি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘর পাওয়ার যোগ্য। সামনে বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে।