বাংলাদেশ ০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় শনিবারের ছুটি ও আমাদের অবস্থান মির্জাগঞ্জে বিনাদোষে দুই নারীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যে নারী। নবীনগরে সড়ক ও খালের জায়গা দখলের চলছে মহোৎসব! চট্টগ্রামে সহ সারা দেশে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘সিইউজে’ সিংগাইরে সাংবাদিকের চাঁদাবাজি,দুই জন আটক দিনাজপুরে সজনের ডাটার বাম্পার ফলন সাংবাদিক হামলার মামলায় সুদেব মাষ্টার জেল হাজতে প্রেরণ চট্টগ্রাম টেকপাড়া ও এয়াকুব নগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ পিরোজপুরের চরখালী ফেরীতে মেট্রোপলিটন পরিবহনের ধাক্কায় ফেরী থেকে একাধিক মোটরসাইকেল নদীতে কটিয়াদীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বালিয়াডাঙ্গীতে খাপড়া ওয়ার্ড দিবসে শহীদদের স্মরণে সিপিবির লাল পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। স্কুলের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 
ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ 

ছোট একটি কুড়েঘর, দরজাসহ চারপাশের বেড়াগুলি ভাঙ্গাচুরা, উপরের টিনগুলিও বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র। অরক্ষিত ও জরার্জীন এ ঘরে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের পরিবার। রামগঞ্জ উপজেলা মধ্যবিঘা গ্রামের নেছার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বৃদ্ধ স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে একটি বসতঘরের জন্য একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট আবেদন করেছি, এমপির কাছেও গিয়েছি, সবাই আশস্ত করেছেন।

 

 

কিন্তু মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া একটি ঘর এখনো পায়নি। অথচয় অনেক স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেটে ৬১১। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থেকে ১৯৯৮ সালে মারা যান। তাঁর স্বামীর এ ঘর, এ ঘর ভিটির জমি ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নেই। ১ ছেলে ও ২ মেয়ে । ছেলেটি শারিরিক প্রতিবন্ধী । তাদের একমাত্র আয়ের উৎস মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। তা দিয়ে চিকিৎসা, ঔষধ,ও ভরন-পোষনে খুব কষ্টের মাঝে দিন কাটছেন।

 

 

এ অবস্থায় একটি ঘর করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি একটি ঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের আবেদন পেয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার সালেহ আহমেদসহ ওই বাড়িতে গিয়েছি। বাস্তবিক তিনি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘর পাওয়ার যোগ্য। সামনে বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে।

 

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি কামনায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

ছোট একটি কুড়েঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -একাধিকবার আবেদন করে মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার!!

আপডেট সময় ০৫:০১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

 

 

 

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতাঃ 

ছোট একটি কুড়েঘর, দরজাসহ চারপাশের বেড়াগুলি ভাঙ্গাচুরা, উপরের টিনগুলিও বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র। অরক্ষিত ও জরার্জীন এ ঘরে ঝুকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের পরিবার। রামগঞ্জ উপজেলা মধ্যবিঘা গ্রামের নেছার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বৃদ্ধ স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে একটি বসতঘরের জন্য একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট আবেদন করেছি, এমপির কাছেও গিয়েছি, সবাই আশস্ত করেছেন।

 

 

কিন্তু মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া একটি ঘর এখনো পায়নি। অথচয় অনেক স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাঁর স্বামী নুরুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেটে ৬১১। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থেকে ১৯৯৮ সালে মারা যান। তাঁর স্বামীর এ ঘর, এ ঘর ভিটির জমি ছাড়া আর কোন সম্পত্তি নেই। ১ ছেলে ও ২ মেয়ে । ছেলেটি শারিরিক প্রতিবন্ধী । তাদের একমাত্র আয়ের উৎস মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। তা দিয়ে চিকিৎসা, ঔষধ,ও ভরন-পোষনে খুব কষ্টের মাঝে দিন কাটছেন।

 

 

এ অবস্থায় একটি ঘর করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি একটি ঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের আবেদন পেয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার সালেহ আহমেদসহ ওই বাড়িতে গিয়েছি। বাস্তবিক তিনি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘর পাওয়ার যোগ্য। সামনে বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে।