নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সৌদি প্রবাসী সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ আরও ০২ জনকে সাত দিনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানাধীন মুন্সিরহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ১৮.৩০ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাতপুর থানাধীন ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজার নামক স্থানে কতিপয় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী একতাবদ্ধ হয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সৌদি প্রবাসী মোজাহিদুল ইসলাম সোহানকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী আহত সোহানকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১৪, সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে অদ্য ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ অনুমানিক রাত ০১:২০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানাধীন মুন্সিরহার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার এফআইআর নং ০২/১৫০, তারিখঃ ০২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা:১৪৩/ ৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪ /৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০;) এর মূলে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ আরও ০২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ১। দিদার আলী (২৭), পিতা-মৃতঃ ইমান উদ্দিন, ২। জাহিদ (২১), পিতা-মফিজ উদ্দিন, ৩। বাবলু মিয়া (২৪), পিতা-মৃতঃ সাহাব উদ্দিন, সর্বসাং- লতিবপুর, থানা- নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।